সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের বহির্গমন ছাড়পত্র (ক্লিয়ারেন্স) আবেদন সরাসরি গ্রহণ না করায় বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)-তে আন্দোলন করেছেন রিক্রুটিং এজেন্সিদের সংগঠন বায়রার সদস্যরা।
আজ বুধবার (৫ মার্চ) বিএমইটি কার্যালয়ে এ আন্দোলনের সময় কর্মকর্তাদের সঙ্গে এজেন্সি প্রতিনিধিদের উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন এজেন্সি প্রতিনিধি বিএমইটি মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফরের দপ্তরে গিয়ে আলোচনা করছেন।
ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়ায় বারবার সমস্যা সৃষ্টি করছে। আজ হঠাৎ করে বলা হচ্ছে, সব আবেদন অনলাইনে জমা দিতে হবে, কিন্তু আগে থেকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। ফলে কোনো ম্যানুয়াল আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে না, যা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে।
রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধিরা জানান, বিএমইটি আকস্মিকভাবে সৌদি ভিসার ক্ষেত্রে সত্ত্বায়ন (অনুমোদন) প্রক্রিয়া চালু করেছে, যা অন্তত এক মাস আগেই জানানো উচিত ছিল। আগে দিনে ৪০-৫০টি আবেদন জমা দেওয়া যেত, এখন মাত্র একটি আবেদন অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে।
ব্রাদার্স ম্যানপাওয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন জানান, অনলাইনে দিনে একটির বেশি আবেদন করা যাচ্ছে না, অথচ আমাদের অনেক কর্মীর টিকিট কাটা হয়ে গেছে। ক্লিয়ারেন্স কার্ড না পেলে তাদের ফ্লাইট মিস হবে।
এ বিষয়ে বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কর্মসংস্থান) মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, বায়রার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, দ্রুত সমাধান জানানো হবে।
এর আগে সকাল ১১:৩০টায় ক্ষুব্ধ বায়রা সদস্যরা বিএমইটি কার্যালয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।