দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভিযান চালিয়ে মোট ১৭০ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা মূল্যমানের বিভিন্ন ধরনের চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- দুই কেজি ৫২৯ গ্রাম স্বর্ণ, ৮৫ কেজি ৪০০ গ্রাম রুপা, আট হাজার ৭৮৪টি শাড়ি, ছয় হাজার ৮১১টি থ্রি-পিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, সাত হাজার ২০৪টি তৈরি পোশাক, ১২ হাজার ২০২ মিটার থান কাপড়, তিন লাখ ৩৯ হাজার ৯২০টি কসমেটিক্স সামগ্রী, সাত হাজার ১৬৬টি ইমিটেশন গহনা, ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৩৯টি আতশবাজি, ছয় হাজার ৭৮২ ঘনফুট কাঠ, দুই হাজার ৪৩৪ কেজি চা পাতা, ৪৮ হাজার ৮৩৯ কেজি সুপারি, দুই লাখ ৬৯ হাজার ৮২৪ কেজি চিনি, চার হাজার ০৯৩ কেজি সার, ৩২ লিটার ডিজেল, ২৩ হাজার ৮২০ কেজি কয়লা, এক হাজার ৩১০ ঘনফুট পাথর, ১১৫ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৫৫৯টি মোবাইল, তিন হাজার ৮৫২টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৩০ হাজার ৬২৪টি চশমা, ৬৭ হাজার ১৩৫ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৬৭০ কেজি ভোজ্য তেল, চার হাজার ৩৩৬ কেজি পিঁয়াজ, দুই হাজার ৪৮৩ কেজি রসুন, ১৩ হাজার ৪০৬ কেজি জিরা, দুই হাজার ৮৩৫ কেজি কিসমিস, এক লাখ ৯১ হাজার ৫৯১ পিস চকোলেট, নয়টি ট্রাক, ১১টি পিকআপ, দুইটি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, একটি কাভার্ড ভ্যান, একটি ট্রাক্টর, ৪৬টি নৌকা, ২৭টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৪৪টি মোটরসাইকেল এবং ৩১টি বাইসাইকেল।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩৪ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২৮১ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৯৩১জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।