শিরোনাম :
Logo বিজেপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo ইবিতে অতিরিক্ত ছুটি কমাতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান Logo পঞ্চগড়ে করোতোয়া নদীর পাড়ে মিলল এক ব্যক্তির মরদেহ, পারিবারিক কলহে আত্মহত্যার আশঙ্কা Logo শেরপুর সরকারি কলেজে জাতীয় কবি নজরুলের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন Logo চুয়াডাঙ্গায় নোংরা পরিবেশে মসলা সংরক্ষণ, জরিমানা ৩০ হাজার টাকা Logo চুয়াডাঙ্গায় নকল নবীশদের মানববন্ধন Logo নিজ জেলা সফরে গেলেন জামায়াত আমির Logo কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে তারেক রহমানের সংগ্রামী বার্তা Logo সামান্য ভুল-ত্রুটি থাকলেও বিএনপি কখনও স্বৈরাচারী হয়নি: মঈন খান Logo ‘স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে তৃণমূল থেকে যোগ্যরা উঠে আসবে’

অন্তবর্তী সরকার যত দিন চাইবে, ততদিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:৪০:১৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনীর মাঠে কতদিন থাকবে এই সিদ্ধান্ত অন্তবর্তী সরকারের। বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটাই জানিয়েছেন সেনাসদরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান। তার মতে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তে। সরকার নির্ধারণ করবে, সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে।

সেনাবাহিনী মাঠে থাকা অবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে কিনা, ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধের বিষয়ে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের আদেশ রয়েছে। যেকোনও ধরনের পরিস্থিতিতে যেন আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হতে না দেই, আমাদের সেই চেষ্টা রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেন না ঘটে এ ক্ষেত্রেও আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে।’

৫ আগস্টের পর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সড়কেও কাজ করছে সেনাবাহিনী। আর সড়কে ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় থাকলেও ট্রাফিক ব্যবস্থা এখনও নিয়ন্ত্রণহীন।

ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়ে অনেক কাজ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে ট্রাফিকিংয়ের বিষয়টি সামনে আসেনি। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্বটা পুলিশের। স্থায়ী সমাধানের চিন্তা করলে সেখানে সরকারের অনেকগুলো সংস্থার সংশ্লিষ্টতা আছে। যদি এমন কোনও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়, যেখানে আমাদের সহায়তার প্রয়োজন, আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি। আমরাও মনে করি এটার স্থায়ী একটা সমাধান দরকার।’

বিভিন্ন দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে গার্মেন্টস শিল্পে সংকট চলছে।

এ বিষয়ে কর্ণেল ইন্তেখাব হায়দার খান জানান, সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ৬০০-এর বেশি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে দেশের ২০৮৯টি গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে প্রায় সবগুলোই এ মুহূর্তে চালু রয়েছে। এর পাশাপাশি ৭০০-এর বেশি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক জিয়া সম্প্রতি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সামাজিকমাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন।  এ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, ‘এ বিষয়ে এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর কাছে কোনও তথ্য নেই। তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ছাড়া প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত তিন মাসে ছয় হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র এবং প্রায় ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আড়াই হাজার জনকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিজেপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা

অন্তবর্তী সরকার যত দিন চাইবে, ততদিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে

আপডেট সময় : ০২:৪০:১৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনীর মাঠে কতদিন থাকবে এই সিদ্ধান্ত অন্তবর্তী সরকারের। বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটাই জানিয়েছেন সেনাসদরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান। তার মতে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তে। সরকার নির্ধারণ করবে, সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে।

সেনাবাহিনী মাঠে থাকা অবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে কিনা, ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধের বিষয়ে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের আদেশ রয়েছে। যেকোনও ধরনের পরিস্থিতিতে যেন আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হতে না দেই, আমাদের সেই চেষ্টা রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেন না ঘটে এ ক্ষেত্রেও আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে।’

৫ আগস্টের পর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সড়কেও কাজ করছে সেনাবাহিনী। আর সড়কে ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় থাকলেও ট্রাফিক ব্যবস্থা এখনও নিয়ন্ত্রণহীন।

ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়ে অনেক কাজ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে ট্রাফিকিংয়ের বিষয়টি সামনে আসেনি। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্বটা পুলিশের। স্থায়ী সমাধানের চিন্তা করলে সেখানে সরকারের অনেকগুলো সংস্থার সংশ্লিষ্টতা আছে। যদি এমন কোনও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়, যেখানে আমাদের সহায়তার প্রয়োজন, আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি। আমরাও মনে করি এটার স্থায়ী একটা সমাধান দরকার।’

বিভিন্ন দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে গার্মেন্টস শিল্পে সংকট চলছে।

এ বিষয়ে কর্ণেল ইন্তেখাব হায়দার খান জানান, সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ৬০০-এর বেশি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে দেশের ২০৮৯টি গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে প্রায় সবগুলোই এ মুহূর্তে চালু রয়েছে। এর পাশাপাশি ৭০০-এর বেশি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক জিয়া সম্প্রতি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সামাজিকমাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন।  এ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, ‘এ বিষয়ে এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর কাছে কোনও তথ্য নেই। তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ছাড়া প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত তিন মাসে ছয় হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র এবং প্রায় ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আড়াই হাজার জনকে।