শিরোনাম :
Logo বিজেপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo ইবিতে অতিরিক্ত ছুটি কমাতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান Logo পঞ্চগড়ে করোতোয়া নদীর পাড়ে মিলল এক ব্যক্তির মরদেহ, পারিবারিক কলহে আত্মহত্যার আশঙ্কা Logo শেরপুর সরকারি কলেজে জাতীয় কবি নজরুলের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন Logo চুয়াডাঙ্গায় নোংরা পরিবেশে মসলা সংরক্ষণ, জরিমানা ৩০ হাজার টাকা Logo চুয়াডাঙ্গায় নকল নবীশদের মানববন্ধন Logo নিজ জেলা সফরে গেলেন জামায়াত আমির Logo কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে তারেক রহমানের সংগ্রামী বার্তা Logo সামান্য ভুল-ত্রুটি থাকলেও বিএনপি কখনও স্বৈরাচারী হয়নি: মঈন খান Logo ‘স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে তৃণমূল থেকে যোগ্যরা উঠে আসবে’

ইবিতে অতিরিক্ত ছুটি কমাতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্রাতিরিক্ত ছুটি কমিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার সংস্কারের জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৫ মে) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল হকের মাধ্যমে ভিসি স্যার বরাবর স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ- সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, তানভীর মন্ডলসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত ছুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ, সাপ্তাহিক ছুটি বাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ছুটি ২৮ দিন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪১ দিন। অথচ সাপ্তাহিক ছুটি বাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ দিনেরও বেশি ছুটি রযেছে।

এ ধরনের অতিরিক্ত ছুটি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং সেশনজটের শিকার হওয়ার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিকভাবে তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করার সুবিধার্থে এই অতিরিক্ত ছুটি হ্রাস করা জরুরি।

এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী বলেন, “আমরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি নিয়ে পর্যালোচনা করেছি এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। আসলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি অনেক বেশি। শিক্ষার্থী ভাই বোনেরা এই বিষয় নিয়ে ভীষণ বিরক্ত এবং বিব্রত। আমরা যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক দাবিগুলো মাননীয় ভিসি স্যারের কাছে উত্থাপন করেছিলাম সেখানেও ছুটি কমানোর বিষয়টি উল্লেখ ছিল। কিন্তু আগের একাডেমিক ক্যালেন্ডারটা পূর্বে হওয়ার কারণে পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি।”

তিনি আরো বলেন, “আগামীকাল একাডেমিক কাউন্সিলের সভা রয়েছে। সেখানে ক্যালেন্ডার নিয়ে আলোচনা হবে। সেই আলোচনা সভায় সাপ্তাহিক ছুটি বাদে অন্যান্য ছুটি সমূহ ৪০ দিনের নিচে কমিয়ে নিয়ে আসার দাবি করেছি আমরা। আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে আশাহত করবে না। তবে আমাদের দাবি ও চাওয়া পূরণ না হলে ইনশাআল্লাহ আমরা ভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ মাত্রাতিরিক্ত ছুটি কমিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার সংস্কারের ব্যাপারে তিনি সর্বোচ্চ আশ্বস্ত করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিজেপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা

ইবিতে অতিরিক্ত ছুটি কমাতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় : ০৪:৫২:৪৫ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্রাতিরিক্ত ছুটি কমিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার সংস্কারের জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৫ মে) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল হকের মাধ্যমে ভিসি স্যার বরাবর স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ- সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, তানভীর মন্ডলসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত ছুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ, সাপ্তাহিক ছুটি বাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ছুটি ২৮ দিন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪১ দিন। অথচ সাপ্তাহিক ছুটি বাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ দিনেরও বেশি ছুটি রযেছে।

এ ধরনের অতিরিক্ত ছুটি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং সেশনজটের শিকার হওয়ার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিকভাবে তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করার সুবিধার্থে এই অতিরিক্ত ছুটি হ্রাস করা জরুরি।

এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী বলেন, “আমরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি নিয়ে পর্যালোচনা করেছি এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। আসলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি অনেক বেশি। শিক্ষার্থী ভাই বোনেরা এই বিষয় নিয়ে ভীষণ বিরক্ত এবং বিব্রত। আমরা যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক দাবিগুলো মাননীয় ভিসি স্যারের কাছে উত্থাপন করেছিলাম সেখানেও ছুটি কমানোর বিষয়টি উল্লেখ ছিল। কিন্তু আগের একাডেমিক ক্যালেন্ডারটা পূর্বে হওয়ার কারণে পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি।”

তিনি আরো বলেন, “আগামীকাল একাডেমিক কাউন্সিলের সভা রয়েছে। সেখানে ক্যালেন্ডার নিয়ে আলোচনা হবে। সেই আলোচনা সভায় সাপ্তাহিক ছুটি বাদে অন্যান্য ছুটি সমূহ ৪০ দিনের নিচে কমিয়ে নিয়ে আসার দাবি করেছি আমরা। আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে আশাহত করবে না। তবে আমাদের দাবি ও চাওয়া পূরণ না হলে ইনশাআল্লাহ আমরা ভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ মাত্রাতিরিক্ত ছুটি কমিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার সংস্কারের ব্যাপারে তিনি সর্বোচ্চ আশ্বস্ত করেছেন।