শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল, সম্পাদক সারোয়ার Logo বিজেপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo ইবিতে অতিরিক্ত ছুটি কমাতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান Logo পঞ্চগড়ে করোতোয়া নদীর পাড়ে মিলল এক ব্যক্তির মরদেহ, পারিবারিক কলহে আত্মহত্যার আশঙ্কা Logo শেরপুর সরকারি কলেজে জাতীয় কবি নজরুলের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন Logo চুয়াডাঙ্গায় নোংরা পরিবেশে মসলা সংরক্ষণ, জরিমানা ৩০ হাজার টাকা Logo চুয়াডাঙ্গায় নকল নবীশদের মানববন্ধন Logo নিজ জেলা সফরে গেলেন জামায়াত আমির Logo কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে তারেক রহমানের সংগ্রামী বার্তা Logo সামান্য ভুল-ত্রুটি থাকলেও বিএনপি কখনও স্বৈরাচারী হয়নি: মঈন খান

লামায় এনজিও কর্মী নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার না দেয়ায় স্মারকলিপি

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:১২:১৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ মে ২০১৮
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

ফরিদ উদ্দিন,লামা. বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানে লামায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) তৈমু ও তাজিংডং এ কর্মী নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার না দেয়ায় প্রতিকার চেয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে লামার স্থানীয় জনগণ। সোমবার সকালে শতাধিক শিক্ষিত বেকার ছেলে-মেয়েরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করা হবে।
অভিযোগ উঠেছে এইসব এনজিওতে দায়িত্বরত অধিকাংশ কর্তা ব্যক্তিরা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার হওয়ায় তারা স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, কারচুপি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে কৌশলে বাদ দিয়ে তাদের পছন্দমত লোকজন নিয়োগ করছে। এতে করে জেলার সব চেয়ে জনবহুল ও বৃহত্তর লামা উপজেলায় ক্রমেই শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের সংখ্যা বেড়ে চলছে।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, এনজিও তৈমু ‘স্যাপলিং’ প্রকল্পের অধিনে লামা উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন গজালিয়া, সরই, রুপসীপাড়া ও লামা সদরে ৪০ জন ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর, ৭২ জন স্বাস্থ্য কর্মী ও ৭ জন সিল্টক এজেন্ট নিয়োগে গত ৩০ এপ্রিল ২০১৮ইং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি এনজিও তাজিংডং লামা পৌরসভা, ফাঁসিয়াখালী, আজিজনগর ও ফাইতং ইউনিয়নে ৪০ জন ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর, ৬৮ জন স্বাস্থ্য কর্মী, ৫ জন সিল্টক এজেন্ট নিয়োগে গত ২৫ এপ্রিল ২০১৮ইং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিগত দিনে অত্র উপজেলায় বিভিন্ন এনজিওতে কর্মরতদের ৯০ ভাগের বেশী রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সহ অন্য জেলার নাগরিকরা সুযোগ পেয়েছে। তাই স্থানীয় শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে নিয়োগ প্রদান ও ইতোপূর্বে অন্য জেলা থেকে লামার কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদের এই উপজেলা থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবী করেছে।
অপরদিকে এনজিও সংস্থাগুলোর অধিনে নিয়োগ প্রাপ্তরা অন্য জেলার নাগরিক হওয়ায় নানা ধরনের বিভ্রান্তিও হচ্ছে। নৃ-জনগোষ্ঠির চেহারা ও ভাষাগত প্রায়ই মিল থাকার অজুহাতে পাহাড়ে ভিনদেশিদের কোন অপ-তৎপরতা হচ্ছে কিনা তাও ভাবার বিষয়। স্থানীয় শিক্ষিত প্রজম্মের মতে বৃহত্তর লামা উপজেলায় শিক্ষার দিক থেকে এখন পাহাড়ী-বাঙ্গালী ছেলে-মেয়েরা অনেকখানি এগিয়ে আছে। দেশের বিভিন্ন নাম করা কলেজ-ইউনির্ভাসিটি, ভোকেশনাল ইনিষ্টিটিউট থেকে বিভিন্ন পেশায় ডিপ্লোমাধারীর সংখ্যা অনেক রয়েছে। নানান কারণে সরকারি চাকরি পাওয়ারও নিশ্চিয়তা হয়তো অনেকের নেই। তাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে পরিবারের উপর চাপ কমানোই তাদের লক্ষ্য। আরো উৎকন্ঠার বিষয় হচ্ছে পাহাড়ে কর্মরত এনজিও গুলোতে চাকরীরত বাঙ্গালী ছেলে-মেয়েদের সংখ্যা শতকরা ৫ ভাগেরও কম। যার দরুণ বাঙ্গালী শিক্ষিত বেকার যুবকের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করার দাবী করেছে বাঙ্গালী শিক্ষিত বেকার যুবকরা। বাস্তবতার নিরিখে লামা উপজেলায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির কোটায় নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্থানীয়দের প্রাধান্য দেয়া উচিৎ বলে দাবী উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ১২/৪/২০১২ খ্রিঃ বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ঠ এনজিও’র ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী শীর্ষক পরিপত্র জারি করা হয়। যা পরিপত্রের ৫(জ) অনুচ্ছেদে ‘উন্নয়নমূলক বা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পূর্বে পার্বত্য জেলাসমূহের সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিরাজমান সমস্যা ও এলাকার অধিবাসীদের প্রকৃত প্রয়োজন চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ জান্নাত রুমি বলেন, স্মারকলিপির বিষয়টি দ্রæত জেলা প্রশাসককে কাছে প্রেরণ করা হবে। তিনি এনজিও সমূহকে সরকারী নিয়ম নীতি মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে বলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল, সম্পাদক সারোয়ার

লামায় এনজিও কর্মী নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার না দেয়ায় স্মারকলিপি

আপডেট সময় : ০৯:১২:১৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ মে ২০১৮

ফরিদ উদ্দিন,লামা. বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানে লামায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) তৈমু ও তাজিংডং এ কর্মী নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার না দেয়ায় প্রতিকার চেয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে লামার স্থানীয় জনগণ। সোমবার সকালে শতাধিক শিক্ষিত বেকার ছেলে-মেয়েরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করা হবে।
অভিযোগ উঠেছে এইসব এনজিওতে দায়িত্বরত অধিকাংশ কর্তা ব্যক্তিরা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার হওয়ায় তারা স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, কারচুপি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে কৌশলে বাদ দিয়ে তাদের পছন্দমত লোকজন নিয়োগ করছে। এতে করে জেলার সব চেয়ে জনবহুল ও বৃহত্তর লামা উপজেলায় ক্রমেই শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের সংখ্যা বেড়ে চলছে।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, এনজিও তৈমু ‘স্যাপলিং’ প্রকল্পের অধিনে লামা উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন গজালিয়া, সরই, রুপসীপাড়া ও লামা সদরে ৪০ জন ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর, ৭২ জন স্বাস্থ্য কর্মী ও ৭ জন সিল্টক এজেন্ট নিয়োগে গত ৩০ এপ্রিল ২০১৮ইং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি এনজিও তাজিংডং লামা পৌরসভা, ফাঁসিয়াখালী, আজিজনগর ও ফাইতং ইউনিয়নে ৪০ জন ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর, ৬৮ জন স্বাস্থ্য কর্মী, ৫ জন সিল্টক এজেন্ট নিয়োগে গত ২৫ এপ্রিল ২০১৮ইং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিগত দিনে অত্র উপজেলায় বিভিন্ন এনজিওতে কর্মরতদের ৯০ ভাগের বেশী রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সহ অন্য জেলার নাগরিকরা সুযোগ পেয়েছে। তাই স্থানীয় শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে নিয়োগ প্রদান ও ইতোপূর্বে অন্য জেলা থেকে লামার কোটায় নিয়োগ প্রাপ্তদের এই উপজেলা থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবী করেছে।
অপরদিকে এনজিও সংস্থাগুলোর অধিনে নিয়োগ প্রাপ্তরা অন্য জেলার নাগরিক হওয়ায় নানা ধরনের বিভ্রান্তিও হচ্ছে। নৃ-জনগোষ্ঠির চেহারা ও ভাষাগত প্রায়ই মিল থাকার অজুহাতে পাহাড়ে ভিনদেশিদের কোন অপ-তৎপরতা হচ্ছে কিনা তাও ভাবার বিষয়। স্থানীয় শিক্ষিত প্রজম্মের মতে বৃহত্তর লামা উপজেলায় শিক্ষার দিক থেকে এখন পাহাড়ী-বাঙ্গালী ছেলে-মেয়েরা অনেকখানি এগিয়ে আছে। দেশের বিভিন্ন নাম করা কলেজ-ইউনির্ভাসিটি, ভোকেশনাল ইনিষ্টিটিউট থেকে বিভিন্ন পেশায় ডিপ্লোমাধারীর সংখ্যা অনেক রয়েছে। নানান কারণে সরকারি চাকরি পাওয়ারও নিশ্চিয়তা হয়তো অনেকের নেই। তাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে পরিবারের উপর চাপ কমানোই তাদের লক্ষ্য। আরো উৎকন্ঠার বিষয় হচ্ছে পাহাড়ে কর্মরত এনজিও গুলোতে চাকরীরত বাঙ্গালী ছেলে-মেয়েদের সংখ্যা শতকরা ৫ ভাগেরও কম। যার দরুণ বাঙ্গালী শিক্ষিত বেকার যুবকের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করার দাবী করেছে বাঙ্গালী শিক্ষিত বেকার যুবকরা। বাস্তবতার নিরিখে লামা উপজেলায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির কোটায় নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্থানীয়দের প্রাধান্য দেয়া উচিৎ বলে দাবী উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ১২/৪/২০১২ খ্রিঃ বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ঠ এনজিও’র ক্ষেত্রে অনুসরণীয় কার্যপ্রণালী শীর্ষক পরিপত্র জারি করা হয়। যা পরিপত্রের ৫(জ) অনুচ্ছেদে ‘উন্নয়নমূলক বা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পূর্বে পার্বত্য জেলাসমূহের সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিরাজমান সমস্যা ও এলাকার অধিবাসীদের প্রকৃত প্রয়োজন চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ জান্নাত রুমি বলেন, স্মারকলিপির বিষয়টি দ্রæত জেলা প্রশাসককে কাছে প্রেরণ করা হবে। তিনি এনজিও সমূহকে সরকারী নিয়ম নীতি মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে বলেন।