শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল, সম্পাদক সারোয়ার Logo বিজেপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা Logo ইবিতে অতিরিক্ত ছুটি কমাতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান Logo পঞ্চগড়ে করোতোয়া নদীর পাড়ে মিলল এক ব্যক্তির মরদেহ, পারিবারিক কলহে আত্মহত্যার আশঙ্কা Logo শেরপুর সরকারি কলেজে জাতীয় কবি নজরুলের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন Logo চুয়াডাঙ্গায় নোংরা পরিবেশে মসলা সংরক্ষণ, জরিমানা ৩০ হাজার টাকা Logo চুয়াডাঙ্গায় নকল নবীশদের মানববন্ধন Logo নিজ জেলা সফরে গেলেন জামায়াত আমির Logo কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে তারেক রহমানের সংগ্রামী বার্তা Logo সামান্য ভুল-ত্রুটি থাকলেও বিএনপি কখনও স্বৈরাচারী হয়নি: মঈন খান

৫ দিনের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে ফি‌রে এসে‌ছে কর্ম ব্যস্ততা

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৭:১৪:১৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮
  • ৭৩১ বার পড়া হয়েছে
এবিএস রনি, শার্শা (যশোর) প্র‌তি‌নি‌ধি: চলতি সপ্তাহে সাপ্তাহিক ছুটি পহেলা মে ও শবে-বরাত উপলক্ষে লম্বা পাঁচদিন ছুটি শেষে দেশের সবচেয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে আবারও কর্ম-ব্যস্ততা ফিরে এসেছে। পণ্য খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বন্দরের কমকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকেরা।
বৃহস্পতিবার (মে ০৩) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ পথে ভারতের পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাস্টমস, বন্দর, সিঅ্যান্ডএফ, ট্রান্সপোর্ট, ব্যাংক ও ইন্সুরেন্স অফিস খুলেছে। পণ্য ছাড়করণের কাজে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অফিস খুলেছে বন্দরের পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। পাঁচদিন ছুটিতে এসব দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো অনেকটা অর্থ কষ্টের মধ্যে পড়েছিল। এখন পণ্য খালাস শুরু হওয়ায় তাদের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক দেখা যায়।
এদিকে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানি হওয়া পণ্য থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে গত পাঁচদিন ছুটির কবলে পড়ায় প্রায় ১শ’ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ থেকে পিছিয়ে পড়ছে সরকার। লম্বা ছুটির পর অফিস খোলায় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ট্রাক ভাড়া অনান্য সময়ের চেয়ে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়তে দেখা যায়।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, লম্বা ছুটির কারণে বাণিজ্যে স্থাবিরতা নেমে এসেছিল। এতে বন্দর থেকে পণ্য ছাড় করতে না পেরে দেশের বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কাজ ব্যহত হয়েছে। টানা ছুটি কবলে পড়লে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেক্ষেত্রে জরুরি পণ্য ছাড়করণে বন্দরে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার বিকল্প ব্যবস্থা সচল রাখার দরকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জানা যায়, অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৭৫ শতাংশ আসেবে না পোলবন্দর দিয়ে।বেনাপোল থেকে ভারতের বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। মাত্র আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় একটি ট্রাক কলকাতা থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পারে। তেমনি একই সময়ে বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক পৌঁছায় কলকাতায়। এ কারণে আমদানিকাদের বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারে বরাবরই আগ্রহ বেশি।প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩শ’থেকে সাড়ে ৩৫০ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়ে থাকে। ভারতে রফতানি হয় দেড়শ থেকে ২শ ট্রাক পণ্য। এছাড়াও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কাচাঁমালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সরকার রাজস্ব আহরণ করে থাকে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক(ট্রাফিক)আমিনুল ইসলাম বাণিজ্য সচলের বিষয়ে জানান, যারা ছুটিতে গিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে তারা কর্মস্থলে ফিরে যথারীতি অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু করেছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দরে আটকে থাকা পণ্যগুলো দ্রুত খালাস করতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল, সম্পাদক সারোয়ার

৫ দিনের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে ফি‌রে এসে‌ছে কর্ম ব্যস্ততা

আপডেট সময় : ০৭:১৪:১৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮
এবিএস রনি, শার্শা (যশোর) প্র‌তি‌নি‌ধি: চলতি সপ্তাহে সাপ্তাহিক ছুটি পহেলা মে ও শবে-বরাত উপলক্ষে লম্বা পাঁচদিন ছুটি শেষে দেশের সবচেয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে আবারও কর্ম-ব্যস্ততা ফিরে এসেছে। পণ্য খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বন্দরের কমকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকেরা।
বৃহস্পতিবার (মে ০৩) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ পথে ভারতের পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাস্টমস, বন্দর, সিঅ্যান্ডএফ, ট্রান্সপোর্ট, ব্যাংক ও ইন্সুরেন্স অফিস খুলেছে। পণ্য ছাড়করণের কাজে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অফিস খুলেছে বন্দরের পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। পাঁচদিন ছুটিতে এসব দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো অনেকটা অর্থ কষ্টের মধ্যে পড়েছিল। এখন পণ্য খালাস শুরু হওয়ায় তাদের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক দেখা যায়।
এদিকে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানি হওয়া পণ্য থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে গত পাঁচদিন ছুটির কবলে পড়ায় প্রায় ১শ’ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ থেকে পিছিয়ে পড়ছে সরকার। লম্বা ছুটির পর অফিস খোলায় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ট্রাক ভাড়া অনান্য সময়ের চেয়ে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়তে দেখা যায়।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, লম্বা ছুটির কারণে বাণিজ্যে স্থাবিরতা নেমে এসেছিল। এতে বন্দর থেকে পণ্য ছাড় করতে না পেরে দেশের বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কাজ ব্যহত হয়েছে। টানা ছুটি কবলে পড়লে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেক্ষেত্রে জরুরি পণ্য ছাড়করণে বন্দরে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার বিকল্প ব্যবস্থা সচল রাখার দরকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জানা যায়, অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৭৫ শতাংশ আসেবে না পোলবন্দর দিয়ে।বেনাপোল থেকে ভারতের বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। মাত্র আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় একটি ট্রাক কলকাতা থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পারে। তেমনি একই সময়ে বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক পৌঁছায় কলকাতায়। এ কারণে আমদানিকাদের বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারে বরাবরই আগ্রহ বেশি।প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩শ’থেকে সাড়ে ৩৫০ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়ে থাকে। ভারতে রফতানি হয় দেড়শ থেকে ২শ ট্রাক পণ্য। এছাড়াও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কাচাঁমালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সরকার রাজস্ব আহরণ করে থাকে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক(ট্রাফিক)আমিনুল ইসলাম বাণিজ্য সচলের বিষয়ে জানান, যারা ছুটিতে গিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে তারা কর্মস্থলে ফিরে যথারীতি অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু করেছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীরা যাতে বন্দরে আটকে থাকা পণ্যগুলো দ্রুত খালাস করতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।