শিরোনাম :
Logo কুবিতে ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক সংকট, নিয়োগে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের Logo স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এক তরুণের যাত্রা Logo ‎খুবির অমিত্রাক্ষরের নেতৃত্বে সৌরভ – বৈশাখী ‎ Logo ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’র বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রীসংস্থার প্রতিবাদ কর্মসূচি Logo সেনাবাহিনীকে নিয়ে ভুয়া তথ্যে সয়লাব, রয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমও Logo পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ‘ভিপি নুর’ বিশৃঙ্খলা করেছেন, ডিএনসিসির বিবৃতি Logo পররাষ্ট্র সচিব নিজেই তার অবস্থান থেকে সরে যেতে চান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo হিন্দু-মুসলমান সবার ব্যক্তিক ও সামষ্টিক সত্তার ‘অভেদসুন্দর’ সাম্য সৃষ্টি করেছিলেন নজরুল- কবি আবদুল হাই শিকদার Logo ‘বিএনপিপন্থি তিন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো’ Logo ১৮২৩ কোটি টাকা পাচার রোধে ম্যারিকোর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন

ঝালকাঠিতে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে পন্ড

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠিতে গভীর রাতে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে পন্ড সহ মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুছলেকা আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকেলে সদর উপজেলাধীন ২ নং বিনয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রীর (১৭) (চলমান ২০১৮ সালের বানিজ্য বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী) বিয়ের লগ্নের পূর্বে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন মেয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করেন সেই সাথে মেয়ের বাবার কাছ থেকে বাল্য বিয়ে দিবোনা বলে মর্মে মুছলেকা আদায় করেন।

এ বিষয় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রগাম অফিসার নাছরিন আক্তার জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরে আমাদের কাছে সংবাদ আসে বিনিয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রীর আজকে সন্ধ্যায় গোধূলী লগ্নে বিয়ে হতে চলছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের জেলা মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন স্যার বিকেলে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের সত্যতা জানতে পারেন। এ সময় স্যার মেয়ের বাবার কাছ থেকে বাল্য বিয়ে দিবনা মর্মে মুছলেকা আদায় করেন। পরে রাতে আমার কাছে আবারও সংবাদ আসে গভীর রাতে ঐ ছাত্রীর পুনরায় বিয়ে হতে চলছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমি ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি জানালে তিনি রাত আনুমানিক দশটার সময় সদর থানার এসআই হারুনকে ঘটনা স্থানে পাঠালে এসআই হারুন বিয়ে বাড়ী গেলে পুলিশের টের পেয়ে বিয়ে করতে আসা পিরোজপুর জেলাধীন নাজিরপুর উপজেলার মালিখালি ইউনিয়ের খাগড়াখালি গ্রামের মৃত মনিদ্র হালদারের ছেলে গোপাল হালদারের এবং তার সাথে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ঐ রাতেই বিয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুবিতে ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক সংকট, নিয়োগে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের

ঝালকাঠিতে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে পন্ড

আপডেট সময় : ০৫:৩২:৪০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠিতে গভীর রাতে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে পন্ড সহ মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুছলেকা আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকেলে সদর উপজেলাধীন ২ নং বিনয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রীর (১৭) (চলমান ২০১৮ সালের বানিজ্য বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী) বিয়ের লগ্নের পূর্বে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন মেয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করেন সেই সাথে মেয়ের বাবার কাছ থেকে বাল্য বিয়ে দিবোনা বলে মর্মে মুছলেকা আদায় করেন।

এ বিষয় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রগাম অফিসার নাছরিন আক্তার জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুরে আমাদের কাছে সংবাদ আসে বিনিয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রীর আজকে সন্ধ্যায় গোধূলী লগ্নে বিয়ে হতে চলছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের জেলা মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন স্যার বিকেলে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের সত্যতা জানতে পারেন। এ সময় স্যার মেয়ের বাবার কাছ থেকে বাল্য বিয়ে দিবনা মর্মে মুছলেকা আদায় করেন। পরে রাতে আমার কাছে আবারও সংবাদ আসে গভীর রাতে ঐ ছাত্রীর পুনরায় বিয়ে হতে চলছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে আমি ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি জানালে তিনি রাত আনুমানিক দশটার সময় সদর থানার এসআই হারুনকে ঘটনা স্থানে পাঠালে এসআই হারুন বিয়ে বাড়ী গেলে পুলিশের টের পেয়ে বিয়ে করতে আসা পিরোজপুর জেলাধীন নাজিরপুর উপজেলার মালিখালি ইউনিয়ের খাগড়াখালি গ্রামের মৃত মনিদ্র হালদারের ছেলে গোপাল হালদারের এবং তার সাথে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ঐ রাতেই বিয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।