শিরোনাম :
Logo কুবিতে ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক সংকট, নিয়োগে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের Logo স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এক তরুণের যাত্রা Logo ‎খুবির অমিত্রাক্ষরের নেতৃত্বে সৌরভ – বৈশাখী ‎ Logo ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’র বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রীসংস্থার প্রতিবাদ কর্মসূচি Logo সেনাবাহিনীকে নিয়ে ভুয়া তথ্যে সয়লাব, রয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমও Logo পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ‘ভিপি নুর’ বিশৃঙ্খলা করেছেন, ডিএনসিসির বিবৃতি Logo পররাষ্ট্র সচিব নিজেই তার অবস্থান থেকে সরে যেতে চান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo হিন্দু-মুসলমান সবার ব্যক্তিক ও সামষ্টিক সত্তার ‘অভেদসুন্দর’ সাম্য সৃষ্টি করেছিলেন নজরুল- কবি আবদুল হাই শিকদার Logo ‘বিএনপিপন্থি তিন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো’ Logo ১৮২৩ কোটি টাকা পাচার রোধে ম্যারিকোর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন

স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এক তরুণের যাত্রা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্যাম্পাসে যাঁর লেখনি একসময় শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে ফিরত, আজ সেই প্রতিবাদী কলমের শব্দই শোনা যাচ্ছে জাতীয় পত্রিকার পাতায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. রেদওয়ান ইসলাম রিদয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সীমা অতিক্রম করে পৌঁছে গেছেন দেশের পাঠকসমাজের হৃদয়ে তার সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মাধ্যমে।

গণমাধ্যমে তার প্রবেশটা হঠাৎ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত ও অধ্যবসায়ী অভিযাত্রার ফসল। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের নির্বাচন ব্যবস্থা, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি, রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং সামাজিক বৈষম্য সব বিষয়েই ধারাবাহিকভাবে তার লেখায় উঠে এসেছে প্রাসঙ্গিকতা ও স্পষ্ট ভাষা। একইসঙ্গে ছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর গভীর বিশ্লেষণ, তরুণ সমাজকে ভাবতে বাধ্য করছে।

রিদয়ের লেখালেখির শুরু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত ক্যাম্পাস সংস্কৃতির পরিসরেই। তার প্রথম অনুসন্ধানী প্রতিবেদন “জরুরি ওষুধ পেতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি” ক্যাম্পাস পত্রিকায় প্রকাশের পরই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি। সেই প্রতিবেদন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করে ছাত্রদের চিকিৎসাসেবা নিয়ে বিদ্যমান অনিয়ম।

তবে রিদয়ের স্বপ্ন ছিল আরও বড়। তিনি চেয়েছিলেন জাতীয় পত্রিকায় নিজের নাম দেখতে, এবং সেই লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ ছিল ২০২৫ সালে প্রকাশিত বিশ্লেষণধর্মী লেখা “বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্বাচন ব্যবস্থায় সংকট ও সম্ভাবনা”। লেখাটি তাকে চিনিয়ে দেয় রাজনৈতিক চিন্তার এক নবীন অথচ পরিপক্ব কণ্ঠস্বর হিসেবে।

এরপরেই আসে আলোচিত কাজ ২০২৪ সালের জুলাইয়ের রক্তঝরা গণঅভ্যুত্থান নিয়ে তার লেখা “জুলাইয়ের অঙ্গীকার”, যা স্থান পায় জাতীয় দৈনিক আমার দেশ-এ। ওই লেখার পরিপ্রেক্ষিতে রেদওয়ান ইসলাম রিদয়কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন “জুলাইয়ের রক্তস্নাত পথচিহ্ন যদি নতুন প্রজন্মকে জাগাতে পারে,তবেই লেখা সার্থক ”

এইসব পত্রিকা-প্রকাশনার বাইরেও একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে সাহিত্যের মঞ্চে। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ বর্ণশুদ্ধ প্রকাশনার প্রথম সংকলন “বর্ণ”-এ জায়গা করে নেয় তার একই শিরোনামের কবিতা “জুলাইয়ের অঙ্গীকার”। এই কবিতা তাকে কেবল একজন প্রজ্ঞাবান লেখক নয়, বরং একজন সংবেদনশীল সাহিত্যিক হিসেবেও প্রতিষ্ঠা করেছে।

রেদওয়ান ইসলাম রিদয় আজও নিজেকে গড়ছেন। তার প্রত্যাশা—এই কলম যেন হয়ে ওঠে সংকটে থাকা মানুষের কণ্ঠস্বর, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃপ্ত প্রতিবাদ। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ক্লাসরুম থেকে শুরু করে জাতীয় পত্রিকার কলাম পর্যন্ত তার এই পথচলা কেবল একটি ব্যক্তির সাফল্য নয় এটি হাজারো স্বপ্নবাজ তরুণের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

রাবির এই স্বপ্নবাজ তরুণ জন্মগ্রহন করেন রাজশাহী জেলার মতিহার থানায় তিনি বর্তমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কুবিতে ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক সংকট, নিয়োগে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের

স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এক তরুণের যাত্রা

আপডেট সময় : ১০:২০:৩২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্যাম্পাসে যাঁর লেখনি একসময় শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে ফিরত, আজ সেই প্রতিবাদী কলমের শব্দই শোনা যাচ্ছে জাতীয় পত্রিকার পাতায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. রেদওয়ান ইসলাম রিদয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সীমা অতিক্রম করে পৌঁছে গেছেন দেশের পাঠকসমাজের হৃদয়ে তার সৃজনশীলতা, বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মাধ্যমে।

গণমাধ্যমে তার প্রবেশটা হঠাৎ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত ও অধ্যবসায়ী অভিযাত্রার ফসল। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের নির্বাচন ব্যবস্থা, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি, রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং সামাজিক বৈষম্য সব বিষয়েই ধারাবাহিকভাবে তার লেখায় উঠে এসেছে প্রাসঙ্গিকতা ও স্পষ্ট ভাষা। একইসঙ্গে ছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর গভীর বিশ্লেষণ, তরুণ সমাজকে ভাবতে বাধ্য করছে।

রিদয়ের লেখালেখির শুরু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত ক্যাম্পাস সংস্কৃতির পরিসরেই। তার প্রথম অনুসন্ধানী প্রতিবেদন “জরুরি ওষুধ পেতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি” ক্যাম্পাস পত্রিকায় প্রকাশের পরই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি। সেই প্রতিবেদন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করে ছাত্রদের চিকিৎসাসেবা নিয়ে বিদ্যমান অনিয়ম।

তবে রিদয়ের স্বপ্ন ছিল আরও বড়। তিনি চেয়েছিলেন জাতীয় পত্রিকায় নিজের নাম দেখতে, এবং সেই লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ ছিল ২০২৫ সালে প্রকাশিত বিশ্লেষণধর্মী লেখা “বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্বাচন ব্যবস্থায় সংকট ও সম্ভাবনা”। লেখাটি তাকে চিনিয়ে দেয় রাজনৈতিক চিন্তার এক নবীন অথচ পরিপক্ব কণ্ঠস্বর হিসেবে।

এরপরেই আসে আলোচিত কাজ ২০২৪ সালের জুলাইয়ের রক্তঝরা গণঅভ্যুত্থান নিয়ে তার লেখা “জুলাইয়ের অঙ্গীকার”, যা স্থান পায় জাতীয় দৈনিক আমার দেশ-এ। ওই লেখার পরিপ্রেক্ষিতে রেদওয়ান ইসলাম রিদয়কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন “জুলাইয়ের রক্তস্নাত পথচিহ্ন যদি নতুন প্রজন্মকে জাগাতে পারে,তবেই লেখা সার্থক ”

এইসব পত্রিকা-প্রকাশনার বাইরেও একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে সাহিত্যের মঞ্চে। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ বর্ণশুদ্ধ প্রকাশনার প্রথম সংকলন “বর্ণ”-এ জায়গা করে নেয় তার একই শিরোনামের কবিতা “জুলাইয়ের অঙ্গীকার”। এই কবিতা তাকে কেবল একজন প্রজ্ঞাবান লেখক নয়, বরং একজন সংবেদনশীল সাহিত্যিক হিসেবেও প্রতিষ্ঠা করেছে।

রেদওয়ান ইসলাম রিদয় আজও নিজেকে গড়ছেন। তার প্রত্যাশা—এই কলম যেন হয়ে ওঠে সংকটে থাকা মানুষের কণ্ঠস্বর, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃপ্ত প্রতিবাদ। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ক্লাসরুম থেকে শুরু করে জাতীয় পত্রিকার কলাম পর্যন্ত তার এই পথচলা কেবল একটি ব্যক্তির সাফল্য নয় এটি হাজারো স্বপ্নবাজ তরুণের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

রাবির এই স্বপ্নবাজ তরুণ জন্মগ্রহন করেন রাজশাহী জেলার মতিহার থানায় তিনি বর্তমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।