খুলনার কয়রায় বাড়িতে ঢুকে এক ব্যবসায়ীকে বেঁধে রেখে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে ডাকাত দলের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার মধ্য রাতে উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের মসজিদকুড় গ্রামের রুহুল কুদ্দুস সরদারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার সকালে সরেজমিনে ভুক্তভোগী রুহুল কুদ্দুস সরদারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আধাপাকা ঘরের বারান্দায় খাটের ওপর শুয়ে আছেন তিনি। গ্রামের অনেক মানুষ ভিড় করে আছে আশেপাশে। সবাই ডাকাতির ঘটনা নিয়ে একে-অপরের সাথে নানান কথা বলাবলি করছিলেন। বাড়ির পাশেই রুহুল কুদ্দুসের মুদির দোকান।
কাছে যেতেই উঠে বসে রুহুল কুদ্দুস বললেন, পরিবারের অন্য সদস্যরা গতকাল এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। রাতে একাই ছিলাম বাড়িতে। রাত সাড়ে বারোটার দিকে হটাৎ কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা ৫জন ডাকাত বাড়িতে ঢোকে। কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাকে বেঁধে ফেলে। এ সময় ঘরে থাকা ৮৫ হাজার টাকা ও প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার লুটে নেয় তারা। ঘরে ছেলের নতুন মোটরসাইকেলটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা ছিল। ডাকাতরা গাড়ির চাবি চাইলে আমি চাবি ঘরে নেই বলার পার তারা কিল ঘুষি লাথি মেরে আমাকে বারান্দায় মেঝেতে ফেলে রেখে চলে যায়।
রুহুল কুদ্দুস বলেন, আমাদের এলাকায় এরকম ডাকাতির ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এজন্য আমরাও অতটা প্রস্তুত ছিলাম না। আমার বাড়িটাও ফাঁকা জায়গায়, আসেপাশের মানুষের বাড়িঘরও বেশ দূরে। সারারাত হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বারান্দায় পড়ে ছিলাম। সকালে আমার স্ত্রী আর মেয়ে বাড়িতে এসে আমার বাঁধন খুলে দিয়েছে।
ডাকাতির বিষয় পুলিশকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে রুহুল কুদ্দুস বলেন, পার্শ্ববর্তী আমাদী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে দারোগা এসে সকালে ঘুরে গিয়েছেন। সবকিছুর ভিডিও ধারণ করে নিয়ে গেছেন তিনি। আমার ছেলেটা সেনাবাহিনীতে চাকরি করে। সে খবর পেয়ে ছুটি নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হয়েছে। ছেলেটা আসলে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেবো। তবে ডাকাতদের কাউকে আমি চিনতে পারিনি। ৫ জনের মধ্যে ২ জন কথা বলেছিল। তাদের কথা বলার ধরনও আলাদা। আমাদের এই অঞ্চলের মতো না।
এ বিষয়ে কয়রা থানার আমাদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) ওসমান গনী বলেন, আমরা জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।