শিরোনাম :
Logo সাম্য হত্যা বিচারের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ Logo চুয়াডাঙ্গায় ৪৪ দিনের তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডে শীর্ষে Logo আলমডাঙ্গায় চার প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দামুড়হুদায় ধান শুকানোর সময় ছাঁদ থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু Logo হাসনাতদের বেলায় ঠান্ডা পানি স্প্রে;জবি শিক্ষার্থীদের বেলায় টিয়ার শেল,সাউন্ড গ্রেনেড,লাঠি চার্জ Logo দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা জবি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের, পুলিশের বিচার দাবি Logo মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন জরুরি। Logo জীবননগরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ আটক ১ Logo ইবিতে যে দিন দেওয়া হবে ডিনস অ্যাওয়ার্ড Logo চুয়াডাঙ্গায় তাবদাহে ব্যাপকহারে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী

খোয়াই নদীর চর থেকে এক ডাকাতের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সুমন আলী খাঁন, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের যাদবপুর খোয়াই নদীর চর থেকে আব্দুল কদ্দুছ (৪০) নামের এক ডাকাতের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার বিকাল ৪টায় সদর থানার এসআই মির্জা মাহমুদুল করিমের নেতৃত্বে পুলিশ ওই এলাকার ভিংরাজ মিয়ার দখলীয় চর থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
কদ্দুছ লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের চরগাও গ্রামের মৃত জবান উল্লার পুত্র। এ সময় তার পকেট থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, ওই সময় চরে খেলতে যায় স্থানীয় শিশুরা। তারা সেখানে লাশটি দেখতে পেয়ে এলাকাবাসিকে জানায়। এলাকাবাসি পুলিশকে খবর দেয়। চরগাও গ্রামের মৃত সুরত আলীর পুত্র সবুর ইসলাম জানান, তার সেচ প্রকল্পের পাহারাদার ছিল কদ্দুছ।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি তিনি বুল্লা ইউপির ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কাশেমকে জানান। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন বেনুর মাধ্যমে বিষয়টি লাখাই থানাকে অবহিত করেন।
এরপর থেকে পুলিশ কদ্দুছকে খোঁজতে থাকে বিভিন্ন স্থানে। গতকাল খবর পেয়ে তারা এখানে ছুটে আসেন। তবে হাসপাতালে তার নিকটতম কোন আত্মীয় স্বজনকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন জানান, কদ্দুছ ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল। এদিকে লাখাই থানার ওসি মোঃ বজলার রহমান জানান, আব্দুল কদ্দুছের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা ও চুরিসহ ৪টি মামলা রয়েছে।
অপরদিকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারক এসআই মির্জা মাহমুদুল করিম জানান, কদ্দুছের গলা, ঘাড়, মুখ, পেটসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর ২০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি (তদন্ত) ডালিম আহমেদ জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। তবে যেহেতু এটি একটি হত্যাকান্ড, সেহেতু অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাম্য হত্যা বিচারের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

খোয়াই নদীর চর থেকে এক ডাকাতের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৫:২০:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

মোঃ সুমন আলী খাঁন, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের যাদবপুর খোয়াই নদীর চর থেকে আব্দুল কদ্দুছ (৪০) নামের এক ডাকাতের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার বিকাল ৪টায় সদর থানার এসআই মির্জা মাহমুদুল করিমের নেতৃত্বে পুলিশ ওই এলাকার ভিংরাজ মিয়ার দখলীয় চর থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
কদ্দুছ লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের চরগাও গ্রামের মৃত জবান উল্লার পুত্র। এ সময় তার পকেট থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, ওই সময় চরে খেলতে যায় স্থানীয় শিশুরা। তারা সেখানে লাশটি দেখতে পেয়ে এলাকাবাসিকে জানায়। এলাকাবাসি পুলিশকে খবর দেয়। চরগাও গ্রামের মৃত সুরত আলীর পুত্র সবুর ইসলাম জানান, তার সেচ প্রকল্পের পাহারাদার ছিল কদ্দুছ।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি তিনি বুল্লা ইউপির ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কাশেমকে জানান। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন বেনুর মাধ্যমে বিষয়টি লাখাই থানাকে অবহিত করেন।
এরপর থেকে পুলিশ কদ্দুছকে খোঁজতে থাকে বিভিন্ন স্থানে। গতকাল খবর পেয়ে তারা এখানে ছুটে আসেন। তবে হাসপাতালে তার নিকটতম কোন আত্মীয় স্বজনকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন জানান, কদ্দুছ ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল। এদিকে লাখাই থানার ওসি মোঃ বজলার রহমান জানান, আব্দুল কদ্দুছের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা ও চুরিসহ ৪টি মামলা রয়েছে।
অপরদিকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারক এসআই মির্জা মাহমুদুল করিম জানান, কদ্দুছের গলা, ঘাড়, মুখ, পেটসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর ২০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি (তদন্ত) ডালিম আহমেদ জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। তবে যেহেতু এটি একটি হত্যাকান্ড, সেহেতু অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।