শিরোনাম :
Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ Logo কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত Logo ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo নির্মম ভাবে সোহাগ হত্যার ঘটনায় ইবিতে বিক্ষোভ Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিক অপু চৌধুরীকে সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে মসজিদে খতিবকে কুপিয়ে জখম Logo আম্মা-আব্বা আমাকে মাফ করে দিবেন; আমি আপনাদের ভালো মেয়ে হতে পারি নাই

ছেলেদের বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের বাঁদিকে, কেন বলুন তো?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:৫৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৯২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ছেলেদের পোশাকে বোতাম থাকে ডানদিকে। আর মেয়েদের বাঁদিকে। এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব শোনা যায়, গল্পও। কোনওটাই খণ্ডন করার নয়। তেমনই কয়েকটি তত্ত্ব যুক্তি প্রকাশ করেছে এই সময়। যার প্রথমেই আছে, নেপোলিয়ান বোনাপার্টের গল্প। বিশ্বখ্যাত এ যোদ্ধার যে কোনও ছবিতেই দেখা যায়, তার ডান হাত কোর্টের ভিতরে ঢোকানো। এটা তখনই হয়, যদি কোটের বোতাম বাঁদিক থেকে ডানদিকে খুলতে হয়। মেয়েদের ডানহাতও নাকি সেভাবেই থাকত। যার জন্য অনেকেই নেপোলিয়ানকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন । তা নেপোলিয়ানের কানেও গিয়েছিল। এর পর তাঁরই নির্দেশে মেয়েদের জামার বোতাম বাঁ-দিকে করে দেয়া হয়। রাজা-মহারাজাই হোন, বা অতি সাধারণ কেউ, পুরুষরা আদিকাল থেকে নিজের পোশাক নিজেরাই পরতেন। কিন্তু সম্পন্ন পরিবারের মেয়েদের জন্য বাড়িতে দাসী থাকত। তারাই মেয়েদের জামা পরিয়ে দিতেন। যেহেতু সেই দাসীদের বেশির ভাগই ডানহাতি বলে ধরে নেওয়া যায়, তাদের সুবিধার জন্যই মেয়েদের জামার বোতাম বাঁদিকে রাখা হতো। রাজাই হোক বা সেনানি, তাদের ডান হাতে ধরতে হয়েছে তলোয়ার। খালি বলতে বাঁ হাত। বাঁ হাতে বোতাম খোলাপরার সুবিধার জন্যই জামার বোতাম বসানো হত ডান দিকে। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে যেহেতু বাঁদিকে ধরতে হয়, তাই ডান হাত খালি থাকে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় ডান হাতে বোতাম খুলতে হয়। সেক্ষেত্রে বোতাম ডানদিকে থাকলে খুলতে কষ্ট হতো। তা মাথায় রেখেই বাঁদিকে বোতাম বসানো হয়। পুরুষরা ঘোড়া নিয়ে ছুটলে রাস্তার বাঁদিক ঘেঁষেই যেতেন, যাতে ডান দিকে তলোয়ার চালাতে সুবিধা হয়। সেই তলোয়ার গোঁজা থাকত বাঁ-কোমরে। বের করার সময় তলোয়ার যাতে জামা বা কোটের বোতামের খাঁজে আটকে না যায়, তার জন্যই বোতাম বসানো হতো ডানদিকে। মেয়েরা যখন ঘোড়ায় চড়ত বা এখন বাইকে বসেন, দুটো পা-ই সাধারণত বাঁদিকে থাকে। শার্টের ভিতরে যাতে হাওয়া না ঢুকতে পারে, তার জন্যই বোতাম বসানো হয় বাঁদিকে। আরও একটি তত্ত্ব হল, মেয়েরা যে পুরুষদের থেকে কোনও অংশে কম নন, তা বোঝানোর জন্যই পুরুষের মতো জামা পরেছেন। তার পরেও বৈচিত্র্যর কথা ভেবে পরিকল্পিত ভাবেই মেয়েরা জামার বাঁদিকে বোতাম বসিয়েছেন। দর্জিকে একসঙ্গে গাদাগুচ্ছের জামা বানাতে হত। পুরুষ ও মহিলাদের জামা যাতে মিশে না যায়, চট করে আলাদা করে নেওয়ার সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

ছেলেদের বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের বাঁদিকে, কেন বলুন তো?

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৫৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

ছেলেদের পোশাকে বোতাম থাকে ডানদিকে। আর মেয়েদের বাঁদিকে। এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব শোনা যায়, গল্পও। কোনওটাই খণ্ডন করার নয়। তেমনই কয়েকটি তত্ত্ব যুক্তি প্রকাশ করেছে এই সময়। যার প্রথমেই আছে, নেপোলিয়ান বোনাপার্টের গল্প। বিশ্বখ্যাত এ যোদ্ধার যে কোনও ছবিতেই দেখা যায়, তার ডান হাত কোর্টের ভিতরে ঢোকানো। এটা তখনই হয়, যদি কোটের বোতাম বাঁদিক থেকে ডানদিকে খুলতে হয়। মেয়েদের ডানহাতও নাকি সেভাবেই থাকত। যার জন্য অনেকেই নেপোলিয়ানকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন । তা নেপোলিয়ানের কানেও গিয়েছিল। এর পর তাঁরই নির্দেশে মেয়েদের জামার বোতাম বাঁ-দিকে করে দেয়া হয়। রাজা-মহারাজাই হোন, বা অতি সাধারণ কেউ, পুরুষরা আদিকাল থেকে নিজের পোশাক নিজেরাই পরতেন। কিন্তু সম্পন্ন পরিবারের মেয়েদের জন্য বাড়িতে দাসী থাকত। তারাই মেয়েদের জামা পরিয়ে দিতেন। যেহেতু সেই দাসীদের বেশির ভাগই ডানহাতি বলে ধরে নেওয়া যায়, তাদের সুবিধার জন্যই মেয়েদের জামার বোতাম বাঁদিকে রাখা হতো। রাজাই হোক বা সেনানি, তাদের ডান হাতে ধরতে হয়েছে তলোয়ার। খালি বলতে বাঁ হাত। বাঁ হাতে বোতাম খোলাপরার সুবিধার জন্যই জামার বোতাম বসানো হত ডান দিকে। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে যেহেতু বাঁদিকে ধরতে হয়, তাই ডান হাত খালি থাকে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় ডান হাতে বোতাম খুলতে হয়। সেক্ষেত্রে বোতাম ডানদিকে থাকলে খুলতে কষ্ট হতো। তা মাথায় রেখেই বাঁদিকে বোতাম বসানো হয়। পুরুষরা ঘোড়া নিয়ে ছুটলে রাস্তার বাঁদিক ঘেঁষেই যেতেন, যাতে ডান দিকে তলোয়ার চালাতে সুবিধা হয়। সেই তলোয়ার গোঁজা থাকত বাঁ-কোমরে। বের করার সময় তলোয়ার যাতে জামা বা কোটের বোতামের খাঁজে আটকে না যায়, তার জন্যই বোতাম বসানো হতো ডানদিকে। মেয়েরা যখন ঘোড়ায় চড়ত বা এখন বাইকে বসেন, দুটো পা-ই সাধারণত বাঁদিকে থাকে। শার্টের ভিতরে যাতে হাওয়া না ঢুকতে পারে, তার জন্যই বোতাম বসানো হয় বাঁদিকে। আরও একটি তত্ত্ব হল, মেয়েরা যে পুরুষদের থেকে কোনও অংশে কম নন, তা বোঝানোর জন্যই পুরুষের মতো জামা পরেছেন। তার পরেও বৈচিত্র্যর কথা ভেবে পরিকল্পিত ভাবেই মেয়েরা জামার বাঁদিকে বোতাম বসিয়েছেন। দর্জিকে একসঙ্গে গাদাগুচ্ছের জামা বানাতে হত। পুরুষ ও মহিলাদের জামা যাতে মিশে না যায়, চট করে আলাদা করে নেওয়ার সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা।