শিরোনাম :
Logo আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম Logo মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo ইবিতে শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মীর পদত্যাগ Logo কুষ্টিয়ায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্রসচিবসহ ৬ জনকে অব্যাহতি Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠিত Logo ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo নির্মম ভাবে সোহাগ হত্যার ঘটনায় ইবিতে বিক্ষোভ Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিক অপু চৌধুরীকে সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে মসজিদে খতিবকে কুপিয়ে জখম Logo আম্মা-আব্বা আমাকে মাফ করে দিবেন; আমি আপনাদের ভালো মেয়ে হতে পারি নাই

ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুষ্কৃতকারীরা। এ নির্মম ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় তারা, আমার সোনার বাংলায় খুনিদের ঠাঁই নাই, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, এক দুই তিন চার চাঁদাবাজ দেশ ছাড়, চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলা হবে না, জনে জনে মানুষ মরে ইন্টেরিম কও করে, লীগ গেছে যেই পথে দল যাবে সেই পথে”–সহ বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত করে তুলেন পুরো ক্যাম্পাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন,জুলাইয়ের পর থেকে আমরা দুইটি সংস্কার সবচেয়ে বেশি চেয়েছি। একটি‌ মিডিয়া সংস্কার, অন্যটি প্রশাসনের সংস্কার। ৪৮ ঘন্টা পর এই ঘটনা কেন আমাদের সামনে আসলো? চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে যারা একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করে, ক্ষমতায় আসার পরে তাদের তাঁদের পথের কাঁটা আজকের জুলাই যোদ্ধারাই হবে।

তিনি আরো বলেন, যারা দল মত নির্বিশেষে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন, সেই জুলাই যোদ্ধারাও তাদের হামলা থেকে নিস্তার পাবে না। ইন্টেরিম সরকারের কাছে বিচার চাইতে চাইতে আমরা নাজেহাল হয়ে গেছি। একটা দলের হাইকমান্ড থেকে এই ব্যাপারটা নিয়ে উল্টো ন্যারেটিভ দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী সজিব বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে কী পরিমাণ নৃশংসতার সাক্ষী এ দেশের মানুষ হয়েছে। আজকে যে হত্যাকান্ডের জন্য আমরা এখানে সমাবেত হয়েছি– আমি সেই হত্যাকারী যুবদলের নাম স্পষ্ট করে বলতে চাই। এ বাংলাদেশে আপনাকে দলের নাম ধরে সমালোচনা করা শিখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যদি সমালোচনা না করেন তবে প্রত্যেকে আবার হাসিনা হয়ে উঠবে, আওয়ামী লীগ হয়ে উঠবে। তাই এই বাংলাদেশে জুলাই যতোদিন বেচে থাকবে ততোদিন এ দেশে আবার কোনো আওয়ামী লীগ হয়ে উঠতে দেবো না। সেটা বিএনপি হোক, জামাত হোক বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল হোক– কোনোভাবেই এ দেশে আর কোনো সন্ত্রাসবাদ কায়েম হতে দেবো না।

এসময় সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে আমরা যখনই আওয়াজ তুলতাম, তখনি আমাদের ট্যাগিং করা হতো। আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে। আমরা আমাদের বয়স চালু রাখতে চাই। দেশে আর কোন ফ্যাসিবাদ কায়েম তৈরি হতে দিবো না। জুলাই বিপ্লবের পর দেশে আর কোন চাঁদাবাজি মেনে নেওয়া যায় না। তারেক রহমান বিদেশে বসে কি খেলা দেখছেন? তার দল জুলাই এর পর দেশে খুনের সেঞ্চুরি করে ফেলছে। এই দায় তার নিতে হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা সংস্কার চেয়েছি,জুলাই গণহত্যার বিচার চেয়েছি এবং নতুন সংবিধান চেয়েছি: নাহিদ ইসলাম

ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট সময় : ০২:৩০:২৭ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুষ্কৃতকারীরা। এ নির্মম ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এসময় তারা, আমার সোনার বাংলায় খুনিদের ঠাঁই নাই, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, এক দুই তিন চার চাঁদাবাজ দেশ ছাড়, চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলা হবে না, জনে জনে মানুষ মরে ইন্টেরিম কও করে, লীগ গেছে যেই পথে দল যাবে সেই পথে”–সহ বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত করে তুলেন পুরো ক্যাম্পাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন,জুলাইয়ের পর থেকে আমরা দুইটি সংস্কার সবচেয়ে বেশি চেয়েছি। একটি‌ মিডিয়া সংস্কার, অন্যটি প্রশাসনের সংস্কার। ৪৮ ঘন্টা পর এই ঘটনা কেন আমাদের সামনে আসলো? চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে যারা একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করে, ক্ষমতায় আসার পরে তাদের তাঁদের পথের কাঁটা আজকের জুলাই যোদ্ধারাই হবে।

তিনি আরো বলেন, যারা দল মত নির্বিশেষে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন, সেই জুলাই যোদ্ধারাও তাদের হামলা থেকে নিস্তার পাবে না। ইন্টেরিম সরকারের কাছে বিচার চাইতে চাইতে আমরা নাজেহাল হয়ে গেছি। একটা দলের হাইকমান্ড থেকে এই ব্যাপারটা নিয়ে উল্টো ন্যারেটিভ দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী সজিব বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে কী পরিমাণ নৃশংসতার সাক্ষী এ দেশের মানুষ হয়েছে। আজকে যে হত্যাকান্ডের জন্য আমরা এখানে সমাবেত হয়েছি– আমি সেই হত্যাকারী যুবদলের নাম স্পষ্ট করে বলতে চাই। এ বাংলাদেশে আপনাকে দলের নাম ধরে সমালোচনা করা শিখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যদি সমালোচনা না করেন তবে প্রত্যেকে আবার হাসিনা হয়ে উঠবে, আওয়ামী লীগ হয়ে উঠবে। তাই এই বাংলাদেশে জুলাই যতোদিন বেচে থাকবে ততোদিন এ দেশে আবার কোনো আওয়ামী লীগ হয়ে উঠতে দেবো না। সেটা বিএনপি হোক, জামাত হোক বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল হোক– কোনোভাবেই এ দেশে আর কোনো সন্ত্রাসবাদ কায়েম হতে দেবো না।

এসময় সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে আমরা যখনই আওয়াজ তুলতাম, তখনি আমাদের ট্যাগিং করা হতো। আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে। আমরা আমাদের বয়স চালু রাখতে চাই। দেশে আর কোন ফ্যাসিবাদ কায়েম তৈরি হতে দিবো না। জুলাই বিপ্লবের পর দেশে আর কোন চাঁদাবাজি মেনে নেওয়া যায় না। তারেক রহমান বিদেশে বসে কি খেলা দেখছেন? তার দল জুলাই এর পর দেশে খুনের সেঞ্চুরি করে ফেলছে। এই দায় তার নিতে হবে।