শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

ঘুম থেকে উঠার সময়ের উপর নির্ভর মৃত্যুর ক্ষণ!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

প্রতিটা মানুষের ঘুমের একটা নিজস্ব অভ্যাস থাকে। আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের সুবিধামতো একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাই এবং ঘুম থেকে উঠি। কিছুদিন এমনটা চলার পর দেখা যায়, রাতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগে আমাদের ঘুম আসে না এবং সকালে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে আমরা আর ঘুমোতে পারি না।

বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টিকেই বলেন বডি ক্লক অর্থাৎ শরীরের অভ্যন্তরীণ ছন্দ। শরীর নিজের অজান্তেই এই অদৃশ্য ঘড়ি মেনে সমস্ত ক্রিয়াকর্ম সম্পাদন করে থাকে। ঘুম আসা এবং ঘুম থেকে ওঠার কাজটাও এই ঘড়ি মেনেই হয়ে থাকে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমাদের খিদেও দিনের কিছু নির্দিষ্ট সময়েই পায়। এটাও ঘটে থাকে ওই বডি ক্লক অনুসারে।

কিন্তু কী হবে আপনার প্রতিক্রিয়া যদি আপনাকে বলা হয় যে, আপনার  মৃত্যুর সময়টাও ওই বডি ক্লক অনুসারেই নির্ধারিত হতে চলেছে। বিস্মিত হবেন নিশ্চয়ই, কিন্তু বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দিতেও হয়তো পারবেন না, কারণ এই দাবি করছেন খোদ হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের একদল গবেষক।

গবেষকদলটির প্রধান অ্যান্ড্রু লিম জানান, ‘মানবশরীর সঞ্চালিত হয় শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ির দ্বারা। এই বডি ক্লকই শরীরের প্রতিটি অনৈচ্ছিক কাজ নির্ধারণ করে। অর্থাৎ যে কাজগুলো আমরা স্বেচ্ছায় বা সচেতনভাবে করি না, সেগুলো এই বডি ক্লক মেনেই শরীর করে থাকে। এবং আমাদের গবেষণা বলছে, মানুষের মৃত্যুর সময়টাও যেহেতু তার নিজের হাতে নেই, সেহেতু সেই সময়টাও নির্ধারিত হয় বডি ক্লকের দ্বারা।’

দলের আর এক বিজ্ঞানী শোধাকার্তোঁর ভাষ্য, আমাদের শরীরের প্রতিটা কাজই একটা নির্দিষ্ট ছন্দ মেনে হয়ে থাকে। সেই ছন্দের শেষ ঝোঁকটি পড়ে মৃত্যুতে। তাই সেটাও এই ছন্দেরই অঙ্গ।

নিজেদের দাবির সপক্ষে ওই বিজ্ঞানীরা পেশ করছেন তাদের সমীক্ষালব্ধ তথ্য। তাদের বক্তব্য, যেসব মানুষের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাদের অধিকাংশেরই ১১টার কাছাকাছি সময়ে মৃত্যু হয়েছিল। এবং এরা মোটামুটি এই সময়টাতেই ঘুম থেকে উঠতে অভ্যস্ত ছিলেন।

অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা বলতে চাইছেন, যার যে সময় ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস, মোটামুটি সেই সময়েই তার মৃত্যু হবে। তবে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা অবশ্য এটাও জানিয়েছেন যে, এই বিষয়ে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর মতো সময় এখনও আসেনি। গবেষণা এখনও বাকি রয়েছে। সেটা সম্পূ্র্ণ হওয়ার পরেই শেষ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা সম্ভব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

ঘুম থেকে উঠার সময়ের উপর নির্ভর মৃত্যুর ক্ষণ!

আপডেট সময় : ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

প্রতিটা মানুষের ঘুমের একটা নিজস্ব অভ্যাস থাকে। আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের সুবিধামতো একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাই এবং ঘুম থেকে উঠি। কিছুদিন এমনটা চলার পর দেখা যায়, রাতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগে আমাদের ঘুম আসে না এবং সকালে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে আমরা আর ঘুমোতে পারি না।

বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টিকেই বলেন বডি ক্লক অর্থাৎ শরীরের অভ্যন্তরীণ ছন্দ। শরীর নিজের অজান্তেই এই অদৃশ্য ঘড়ি মেনে সমস্ত ক্রিয়াকর্ম সম্পাদন করে থাকে। ঘুম আসা এবং ঘুম থেকে ওঠার কাজটাও এই ঘড়ি মেনেই হয়ে থাকে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমাদের খিদেও দিনের কিছু নির্দিষ্ট সময়েই পায়। এটাও ঘটে থাকে ওই বডি ক্লক অনুসারে।

কিন্তু কী হবে আপনার প্রতিক্রিয়া যদি আপনাকে বলা হয় যে, আপনার  মৃত্যুর সময়টাও ওই বডি ক্লক অনুসারেই নির্ধারিত হতে চলেছে। বিস্মিত হবেন নিশ্চয়ই, কিন্তু বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দিতেও হয়তো পারবেন না, কারণ এই দাবি করছেন খোদ হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের একদল গবেষক।

গবেষকদলটির প্রধান অ্যান্ড্রু লিম জানান, ‘মানবশরীর সঞ্চালিত হয় শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ির দ্বারা। এই বডি ক্লকই শরীরের প্রতিটি অনৈচ্ছিক কাজ নির্ধারণ করে। অর্থাৎ যে কাজগুলো আমরা স্বেচ্ছায় বা সচেতনভাবে করি না, সেগুলো এই বডি ক্লক মেনেই শরীর করে থাকে। এবং আমাদের গবেষণা বলছে, মানুষের মৃত্যুর সময়টাও যেহেতু তার নিজের হাতে নেই, সেহেতু সেই সময়টাও নির্ধারিত হয় বডি ক্লকের দ্বারা।’

দলের আর এক বিজ্ঞানী শোধাকার্তোঁর ভাষ্য, আমাদের শরীরের প্রতিটা কাজই একটা নির্দিষ্ট ছন্দ মেনে হয়ে থাকে। সেই ছন্দের শেষ ঝোঁকটি পড়ে মৃত্যুতে। তাই সেটাও এই ছন্দেরই অঙ্গ।

নিজেদের দাবির সপক্ষে ওই বিজ্ঞানীরা পেশ করছেন তাদের সমীক্ষালব্ধ তথ্য। তাদের বক্তব্য, যেসব মানুষের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাদের অধিকাংশেরই ১১টার কাছাকাছি সময়ে মৃত্যু হয়েছিল। এবং এরা মোটামুটি এই সময়টাতেই ঘুম থেকে উঠতে অভ্যস্ত ছিলেন।

অর্থাৎ বিজ্ঞানীরা বলতে চাইছেন, যার যে সময় ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস, মোটামুটি সেই সময়েই তার মৃত্যু হবে। তবে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা অবশ্য এটাও জানিয়েছেন যে, এই বিষয়ে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর মতো সময় এখনও আসেনি। গবেষণা এখনও বাকি রয়েছে। সেটা সম্পূ্র্ণ হওয়ার পরেই শেষ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা সম্ভব।