ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং আশপাশের শহরগুলোর ওপর রোববার ভোরে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে কিয়েভে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন এবং শহরের বাইরে আরও ৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
কিয়েভের আঞ্চলিক প্রশাসন জানায়, রাজধানীর কাছের দুটি ছোট শহরে এই হামলায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন।
হামলার বিস্তার ছিল বেশ কয়েকটি অঞ্চলে। উত্তর-পূর্বে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ, দক্ষিণের মাইকোলাইভ এবং পশ্চিমাঞ্চলের টারনোপিল-এও হামলার খবর পাওয়া গেছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর টকাচেঙ্কো জানিয়েছেন, ড্রোন হামলায় রাজধানীতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি হলোসিভস্কি জেলাতে একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলায় আগুন ধরে যায়। ভবনের বাইরের অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শহরের অন্যান্য অংশে একটি ব্যক্তিগত বাড়ি ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরপর দুই রাত ধরে চলছে এই ধরনের বড় আকারের হামলা। শুক্রবার রাতেও কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। সেটিকে বলা হচ্ছে তিন বছরের যুদ্ধে রাজধানীর ওপর অন্যতম বড় যৌথ আকাশ হামলা। সেই হামলায় বেশ কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অন্তত ১৫ জন আহত হন।
খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেখোভ বলেন, শহরের তিনটি জেলায় ড্রোন হামলা হয় এবং অন্তত তিনজন আহত হন। বিস্ফোরণে উচ্চ ভবনের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।
মাইকোলাইভে আবাসিক এলাকায় ড্রোন হামলায় দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর। আর টারনোপিলে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জানালার কাচ ভেঙে পড়ে এবং একটি ছোট অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
কিয়েভের উত্তরের শহর কোনোতপেও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা চার ঘণ্টার মধ্যে ৯৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস বা বাধাগ্রস্ত করেছে। মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানিয়েছেন, রাজধানীর দিকে আসা ১২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন আকাশেই প্রতিহত করা হয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই ধারাবাহিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।