মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে গুলিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুইজন কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ ও অপরজন নারী। হামলার ঘটনাটি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ৯টা ০৫ মিনিটের দিকে। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এলিয়াস রদ্রিগেজ নামের এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাকে আটক করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল ইহুদি জাদুঘরে একটি অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। মার্কিন পুলিশ এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এলিয়াস রদ্রিগেজ নামের এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাকে আটক করেছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের বাসিন্দা।
সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটকের পর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম এই ‘নৃশংস অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং ঘটনাটিকে ইহুদি-বিদ্বেষপ্রসূত (অ্যান্টি সেমেটিক) বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্র্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, “এই ভয়াবহ ডিসি হত্যাকাণ্ড স্পষ্টতই ইহুদি-বিদ্বেষের কারণে ঘটেছে, এখনই বন্ধ হওয়া উচিত! ঘৃণা ও উগ্রবাদের যুক্তরাষ্ট্রে কোনো স্থান নেই।”
অন্যদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত এই ঘটনাকে ‘নৃশংস ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন। ইসরায়েলি দূতাবাসের মুখপাত্র তাল নাইম কোহেন ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) বার্তায় একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, “ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল ইহুদি জাদুঘরে একটি ইহুদি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বের হওয়ার সময় ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখি যে তারা হামলাকারীকে আটক করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইসরায়েলের প্রতিনিধি ও ইহুদি সম্প্রদায়কে রক্ষা করবে।”
এদিকে, নিহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।