শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারক  লিপি প্রদান Logo ‘ফ্রি খাওয়া’ নেই, শৃঙ্খলায় রাবির হল ডাইনিং; ক্যাফেটেরিয়ায় ক্ষোভ Logo নারী বিষয়ক সংস্কারের বিতর্কিত সুপারিশমালা বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন Logo শেরপুরে কমেছে নদ-নদীর পানি, কৃষকদের মাঝে স্বস্তি Logo পাচার অর্থ ফেরত আসার হার ১০০ তে এক টাকা: জাহিদ হোসেন Logo ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও আচরণবিধি নিয়ে আজ ইসির বৈঠক Logo ঈদযাত্রা : ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু Logo গাজায় খাদ্যসংকটে ৩২৬ জনের মৃত্যু, ঝুঁকিতে ১৪ হাজার শিশু Logo শেরপুরে মহারশি নদীর বাধে ফাটল ও ভাঙন; উদ্ধিগ্ন স্থানীয়রা Logo রাবির আইন অনুষদে ‘সাংবিধানিক অধিকার ও প্রতিকার’ বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

গাজায় খাদ্যসংকটে ৩২৬ জনের মৃত্যু, ঝুঁকিতে ১৪ হাজার শিশু

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • ৭১০ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণ প্রবেশে দেওয়া হচ্ছে বাধা। এতে অপুষ্টিতে ভুগে অন্তত তিন শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে ১৪ হাজার শিশু।

বুধবার (২১ মে) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত অপুষ্টি ও ওষুধের অভাবে অন্তত ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অব্যাহত হামলায় মঙ্গলবার কমপক্ষে ৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২০ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের বিবিসি রেডিও ৪-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, ইসরাইল যে পরিমাণ ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে, তা অত্যন্ত অপ্রতুল এবং গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় মোটেই যথেষ্ট নয়।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি গাজার ১১ সপ্তাহব্যাপী ত্রাণ অবরোধ আংশিকভাবে শিথিলের ঘোষণা দেন, তবে তা শুধু ন্যূনতম মাত্রায়।

সোমবার (১৯ মে) গাজায় মাত্র পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি ছিল সমুদ্রের একফোঁটা। এসব ট্রাকে শিশু খাদ্য ও পুষ্টিকর সামগ্রী থাকলেও সেগুলো এখনও সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছেনি বরং সীমান্ত পেরিয়ে গাজায় ঢুকলেও সেগুলো এখনও সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।

ফ্লেচার বলেন, আমি চাই, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এই ১৪,০০০ শিশুর যতটা সম্ভবকে বাঁচাতে পারি।

এই সংখ্যাটি কীভাবে নির্ধারিত হয়েছে— এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমাদের শক্তিশালী মাঠ পর্যায়ের দল রয়েছে, যদিও তাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন। তবু আমরা এখনও অনেককে মাঠে রেখেছি। তারা হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে থেকে প্রয়োজন নির্ধারণে কাজ করছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক অধিকার ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারক  লিপি প্রদান

গাজায় খাদ্যসংকটে ৩২৬ জনের মৃত্যু, ঝুঁকিতে ১৪ হাজার শিশু

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণ প্রবেশে দেওয়া হচ্ছে বাধা। এতে অপুষ্টিতে ভুগে অন্তত তিন শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে ১৪ হাজার শিশু।

বুধবার (২১ মে) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত অপুষ্টি ও ওষুধের অভাবে অন্তত ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অব্যাহত হামলায় মঙ্গলবার কমপক্ষে ৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২০ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের বিবিসি রেডিও ৪-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, ইসরাইল যে পরিমাণ ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে, তা অত্যন্ত অপ্রতুল এবং গাজায় চলমান দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় মোটেই যথেষ্ট নয়।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি গাজার ১১ সপ্তাহব্যাপী ত্রাণ অবরোধ আংশিকভাবে শিথিলের ঘোষণা দেন, তবে তা শুধু ন্যূনতম মাত্রায়।

সোমবার (১৯ মে) গাজায় মাত্র পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি ছিল সমুদ্রের একফোঁটা। এসব ট্রাকে শিশু খাদ্য ও পুষ্টিকর সামগ্রী থাকলেও সেগুলো এখনও সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছেনি বরং সীমান্ত পেরিয়ে গাজায় ঢুকলেও সেগুলো এখনও সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।

ফ্লেচার বলেন, আমি চাই, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এই ১৪,০০০ শিশুর যতটা সম্ভবকে বাঁচাতে পারি।

এই সংখ্যাটি কীভাবে নির্ধারিত হয়েছে— এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমাদের শক্তিশালী মাঠ পর্যায়ের দল রয়েছে, যদিও তাদের অনেকেই নিহত হয়েছেন। তবু আমরা এখনও অনেককে মাঠে রেখেছি। তারা হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে থেকে প্রয়োজন নির্ধারণে কাজ করছে।