শিরোনাম :
Logo ঢাকা পোস্টের ‘বর্ষসেরা কর্মী’ সম্মাননা পেলেন রাবি প্রেসক্লাবের জিসান Logo “সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী হামজালা-কে দেখতে গেলেন, হাবিপ্রবি’র ভিসি প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা” Logo সততা-সাহসিকতায় ও আন্তরিকতায় ‘নজির গড়লেন’ সদরপুরের ইউএনও জাকিয়া সুলতানা Logo ইউজিসির বাজেট বৃদ্ধির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo ইউটিউব দেখে ড্রাগন চাষ করে সফল কচুয়ার যুবক আক্তার বেপারী Logo প্রয়োজনীয় ওষুধের দোকান না থাকায় ভোগান্তিতে রাবি শিক্ষার্থীরা Logo চুয়াডাঙ্গা শহরে পুলিশের অভিযান, সাড়ে ৬ লাখ পিস নকল বিড়ি জব্দ Logo মেট গালায় বেবিবাম্প নিয়ে চমকে দিলেন কিয়ারা Logo মেট গালায় ‘কিং’ বেশে শাহরুখ, দ্যুতি ছড়ালেন আরও যারা Logo হত্যার হুমকি পেলেন শামি

মাঝরাতে ‘ধরা’ পড়লো ভারতের নজরদারি বিমান

পাকিস্তানের সমুদ্রসীমার কাছাকাছি একটি ভারতীয় নজরদারি বিমান মাঝরাতে ধরা পড়েছে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর রাডারে। শনাক্ত হওয়ার পর থেকে পি-৮আই নামের ওই বিমানকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। 

সরকারি ওই সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, বিমানটি পুরো ফ্লাইট চলাকালীন নজরে রাখা হয়, যা নৌবাহিনীর সতর্ক প্রস্তুতি এবং নিরবচ্ছিন্ন নজরদারিরই প্রতিফলন। এ সময় বলা হয়, ‘পাকিস্তান নৌবাহিনী দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ শক্তি ও দক্ষতার মাধ্যমে যেকোনো বৈরী তৎপরতা মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত।’47

শনাক্ত হওয়া ভারতীয় পি-৮আই বিমানটি মূলত দীর্ঘপাল্লার সামুদ্রিক নজরদারি ও পানির নিচে সাবমেরিন শনাক্তকরণে ব্যবহৃত হয়। এর আগে, এটি আরব সাগরের স্পর্শকাতর এলাকায় একাধিকবার দেখা গেছে, বিশেষ করে যখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনার সূচনা ঘটে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগামে একটি পর্যটনকেন্দ্রে প্রাণঘাতী হামলার মাধ্যমে, যেখানে ২৬ জন নিহত হয়। ভারত এই ঘটনার জন্য পাকিস্তানি উপাদানকে দায়ী করলেও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। পাকিস্তান এমন অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

২৩ এপ্রিল ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ওয়াঘা-অটারি স্থলপথ বন্ধ, পাকিস্তানে ভ্রমণ এড়াতে নাগরিকদের প্রতি নির্দেশনা, ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের একাধিক ভিসা শ্রেণি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

এর জবাবে, ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, ভারত যদি পাকিস্তানে পানির প্রবাহ বন্ধের চেষ্টা করে, তবে তা যুদ্ধ ঘোষণার সামিল হবে। ওই বৈঠকে ওয়াহগা সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।

২৫ এপ্রিল পাকিস্তান সিনেট সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস করে, যেখানে ভারতীয় অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়।

উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় ২৬ এপ্রিল, যখন লন্ডনে অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশনে শত শত ভারতপন্থী ও বিজেপি-সমর্থিত বিক্ষোভকারীর হামলায় জানালা ভাঙচুর ও কমলা রঙ ছিটিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। পাকিস্তান এই ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তোলে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এই হামলাকে ‘ভারতীয় রাষ্ট্র ও সংস্থার সমর্থিত’ বলে মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ পুলিশ পরে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

ট্যাগস :

ঢাকা পোস্টের ‘বর্ষসেরা কর্মী’ সম্মাননা পেলেন রাবি প্রেসক্লাবের জিসান

মাঝরাতে ‘ধরা’ পড়লো ভারতের নজরদারি বিমান

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৫৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

পাকিস্তানের সমুদ্রসীমার কাছাকাছি একটি ভারতীয় নজরদারি বিমান মাঝরাতে ধরা পড়েছে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর রাডারে। শনাক্ত হওয়ার পর থেকে পি-৮আই নামের ওই বিমানকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। 

সরকারি ওই সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, বিমানটি পুরো ফ্লাইট চলাকালীন নজরে রাখা হয়, যা নৌবাহিনীর সতর্ক প্রস্তুতি এবং নিরবচ্ছিন্ন নজরদারিরই প্রতিফলন। এ সময় বলা হয়, ‘পাকিস্তান নৌবাহিনী দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ শক্তি ও দক্ষতার মাধ্যমে যেকোনো বৈরী তৎপরতা মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত।’47

শনাক্ত হওয়া ভারতীয় পি-৮আই বিমানটি মূলত দীর্ঘপাল্লার সামুদ্রিক নজরদারি ও পানির নিচে সাবমেরিন শনাক্তকরণে ব্যবহৃত হয়। এর আগে, এটি আরব সাগরের স্পর্শকাতর এলাকায় একাধিকবার দেখা গেছে, বিশেষ করে যখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকে।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনার সূচনা ঘটে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগামে একটি পর্যটনকেন্দ্রে প্রাণঘাতী হামলার মাধ্যমে, যেখানে ২৬ জন নিহত হয়। ভারত এই ঘটনার জন্য পাকিস্তানি উপাদানকে দায়ী করলেও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। পাকিস্তান এমন অভিযোগ জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

২৩ এপ্রিল ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ওয়াঘা-অটারি স্থলপথ বন্ধ, পাকিস্তানে ভ্রমণ এড়াতে নাগরিকদের প্রতি নির্দেশনা, ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের একাধিক ভিসা শ্রেণি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

এর জবাবে, ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, ভারত যদি পাকিস্তানে পানির প্রবাহ বন্ধের চেষ্টা করে, তবে তা যুদ্ধ ঘোষণার সামিল হবে। ওই বৈঠকে ওয়াহগা সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।

২৫ এপ্রিল পাকিস্তান সিনেট সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস করে, যেখানে ভারতীয় অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়।

উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় ২৬ এপ্রিল, যখন লন্ডনে অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশনে শত শত ভারতপন্থী ও বিজেপি-সমর্থিত বিক্ষোভকারীর হামলায় জানালা ভাঙচুর ও কমলা রঙ ছিটিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। পাকিস্তান এই ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তোলে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এই হামলাকে ‘ভারতীয় রাষ্ট্র ও সংস্থার সমর্থিত’ বলে মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ পুলিশ পরে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।