শিরোনাম :
Logo ঢাকা পোস্টের ‘বর্ষসেরা কর্মী’ সম্মাননা পেলেন রাবি প্রেসক্লাবের জিসান Logo “সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী হামজালা-কে দেখতে গেলেন, হাবিপ্রবি’র ভিসি প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা” Logo সততা-সাহসিকতায় ও আন্তরিকতায় ‘নজির গড়লেন’ সদরপুরের ইউএনও জাকিয়া সুলতানা Logo ইউজিসির বাজেট বৃদ্ধির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo ইউটিউব দেখে ড্রাগন চাষ করে সফল কচুয়ার যুবক আক্তার বেপারী Logo প্রয়োজনীয় ওষুধের দোকান না থাকায় ভোগান্তিতে রাবি শিক্ষার্থীরা Logo চুয়াডাঙ্গা শহরে পুলিশের অভিযান, সাড়ে ৬ লাখ পিস নকল বিড়ি জব্দ Logo মেট গালায় বেবিবাম্প নিয়ে চমকে দিলেন কিয়ারা Logo মেট গালায় ‘কিং’ বেশে শাহরুখ, দ্যুতি ছড়ালেন আরও যারা Logo হত্যার হুমকি পেলেন শামি

প্রয়োজনীয় ওষুধের দোকান না থাকায় ভোগান্তিতে রাবি শিক্ষার্থীরা

প্রাত্যহিক জীবনে বেঁচে থাকার জন্য ওষুধ অতি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে অন্যতম ওষুধ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নানা অপ্রয়োজনীয় দোকান থাকলেও নেই অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের কোনো দোকান। ফলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়া ও হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যম্পাসের পরিবহন চত্বর, আম চত্বর, টিএসসিসিসহ বিভিন্ন স্থানে চা, ঝালমুড়ি, ফুডকার্ট, বিভিন্ন খাবার, পোশাক ও আসাবাবপত্রসহ বিভিন্ন দোকানের দেখা মিললেও মেলে না অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের দোকানের দেখা। হঠাৎ অসুস্থ হওয়া শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য ছুটতে হয় ক্যাম্পাসের বাইরের কোনো ওষুধের দোকানে বা রাবি মেডিকেলে। তৎক্ষণে রোগীর অসুস্থ্যতার হার বেড়ে যায় অনেক সময়। বিগত প্রশাসন ২০২২ সালে ফার্মেসিসহ বিভিন্ন দোকানের জন্য আনেকগুলো ঘর নির্মাণ করলেও তা এখনো পড়ে আছে অকার্যকর অবস্থায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি এখানে নেই কোনো ওষুধের দোকান। আমরা যদি ক্লাস চলাকালীন অসুস্থ হয়ে যাই তাহলে আমাদের ওষুধের জন্য যেতে হয় বিশ্ববিদ্যলয়ের বাইরে। আবার যদি রাতে আমার একটা গ্যাস বা অন্য কোনো সমস্যার জন্য জরুরি ওষুধের প্রয়োজন হলে আমরা পাই না। আমি বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসনের নিকট বিনিত অনুরোধ জানাব টুকিটাকি চত্বর হোক বা মেয়েদের হল সংলগ্ন কোনো স্থানে অতিদ্রুত একটি ফার্মেসি স্থাপন করার জন্য।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ বলেন, আমাদের ৭৫৩ একরের ক্যাম্পাসে কোনো ওষুধের দোকান নেই যা সত্যিই হতাশার। আমার এখন মাথা ব্যাথা করলে একটা নাপা ট্যাবলেটের জন্য বা কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে কিংবা রাতে কোনো জরুরি ওষুধের দরকার হলে যেতে হবে বিনোদপুর বা কাজলা গেটে। কিন্তু কেন, আমাদের ক্যাম্পাসে কি জায়গা কম? এত বড় জায়গায় একটা ওষুধের দোকান বসালে প্রশাসনের তো কোনো ক্ষতি নাই।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন ২০২২ সাল থেকেই কয়েকটা ঘর তুলে রেখেছে ফার্মেসির জন্য কিন্তু কোনো কার্যকারিতা নেই। আমি নতুন প্রশাসনকে বিনীত অনুরোধ জানাব এই ফার্মেসিগুলো দ্রুত চালু করতে কিংবা অন্য কোনো ব্যবস্থা করে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ওষুধের দোকান স্থাপন করতে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যলয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যলয়ের স্টেট দপ্তরের কাজ। সর্বশেষ স্টেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিগত প্রশাসন নির্মিত যতগুলো দোকান ঘর ভাড়া দেয় নাই সেগুলো টেন্ডার করা হবে। তার মধ্যে একটি দোকান ফার্মেসির জন্য বরাদ্দ রাখা হবে। বিশ্ববিদ্যলয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবনের আশেপাশের দোকানগুলোর মধ্যেই এ দোকানটি বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং ডিনস কমপ্লেক্সের আশেপাশের একটি দোকানে শিক্ষর্থীদের দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

ট্যাগস :

ঢাকা পোস্টের ‘বর্ষসেরা কর্মী’ সম্মাননা পেলেন রাবি প্রেসক্লাবের জিসান

প্রয়োজনীয় ওষুধের দোকান না থাকায় ভোগান্তিতে রাবি শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৬:১২:৩৬ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

প্রাত্যহিক জীবনে বেঁচে থাকার জন্য ওষুধ অতি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে অন্যতম ওষুধ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নানা অপ্রয়োজনীয় দোকান থাকলেও নেই অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের কোনো দোকান। ফলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়া ও হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যম্পাসের পরিবহন চত্বর, আম চত্বর, টিএসসিসিসহ বিভিন্ন স্থানে চা, ঝালমুড়ি, ফুডকার্ট, বিভিন্ন খাবার, পোশাক ও আসাবাবপত্রসহ বিভিন্ন দোকানের দেখা মিললেও মেলে না অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের দোকানের দেখা। হঠাৎ অসুস্থ হওয়া শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য ছুটতে হয় ক্যাম্পাসের বাইরের কোনো ওষুধের দোকানে বা রাবি মেডিকেলে। তৎক্ষণে রোগীর অসুস্থ্যতার হার বেড়ে যায় অনেক সময়। বিগত প্রশাসন ২০২২ সালে ফার্মেসিসহ বিভিন্ন দোকানের জন্য আনেকগুলো ঘর নির্মাণ করলেও তা এখনো পড়ে আছে অকার্যকর অবস্থায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি এখানে নেই কোনো ওষুধের দোকান। আমরা যদি ক্লাস চলাকালীন অসুস্থ হয়ে যাই তাহলে আমাদের ওষুধের জন্য যেতে হয় বিশ্ববিদ্যলয়ের বাইরে। আবার যদি রাতে আমার একটা গ্যাস বা অন্য কোনো সমস্যার জন্য জরুরি ওষুধের প্রয়োজন হলে আমরা পাই না। আমি বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসনের নিকট বিনিত অনুরোধ জানাব টুকিটাকি চত্বর হোক বা মেয়েদের হল সংলগ্ন কোনো স্থানে অতিদ্রুত একটি ফার্মেসি স্থাপন করার জন্য।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ বলেন, আমাদের ৭৫৩ একরের ক্যাম্পাসে কোনো ওষুধের দোকান নেই যা সত্যিই হতাশার। আমার এখন মাথা ব্যাথা করলে একটা নাপা ট্যাবলেটের জন্য বা কেউ হঠাৎ অসুস্থ হলে কিংবা রাতে কোনো জরুরি ওষুধের দরকার হলে যেতে হবে বিনোদপুর বা কাজলা গেটে। কিন্তু কেন, আমাদের ক্যাম্পাসে কি জায়গা কম? এত বড় জায়গায় একটা ওষুধের দোকান বসালে প্রশাসনের তো কোনো ক্ষতি নাই।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন ২০২২ সাল থেকেই কয়েকটা ঘর তুলে রেখেছে ফার্মেসির জন্য কিন্তু কোনো কার্যকারিতা নেই। আমি নতুন প্রশাসনকে বিনীত অনুরোধ জানাব এই ফার্মেসিগুলো দ্রুত চালু করতে কিংবা অন্য কোনো ব্যবস্থা করে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ওষুধের দোকান স্থাপন করতে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যলয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মাঈন উদ্দীন বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যলয়ের স্টেট দপ্তরের কাজ। সর্বশেষ স্টেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিগত প্রশাসন নির্মিত যতগুলো দোকান ঘর ভাড়া দেয় নাই সেগুলো টেন্ডার করা হবে। তার মধ্যে একটি দোকান ফার্মেসির জন্য বরাদ্দ রাখা হবে। বিশ্ববিদ্যলয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবনের আশেপাশের দোকানগুলোর মধ্যেই এ দোকানটি বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং ডিনস কমপ্লেক্সের আশেপাশের একটি দোকানে শিক্ষর্থীদের দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।