ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে যুক্তরাজ্য শতাধিক নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ও যুদ্ধকে সহায়তাকারী তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করবে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেছেন, প্রায় তিন বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ, যা ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে। তিনি বলেন, “প্রতিটি সামরিক সরবরাহ লাইন ব্যাহত করা, প্রতিটি রুবল আটকে দেওয়া এবং পুতিনের সহযোগীদের উন্মোচিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় তুরস্ক, থাইল্যান্ড, ভারত ও চীনের কিছু প্রতিষ্ঠান এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নো কওয়াং চোলসহ বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন। এছাড়া, রাশিয়ার কথিত ‘ছায়া নৌবহর’-এর ৪০টি নতুন জাহাজ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হওয়ায় মোট নিষিদ্ধ জাহাজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৩টিতে।
যুক্তরাজ্যের এই ঘোষণা এমন সময়ে এলো, যখন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। ইউরোপীয় নেতারা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ইউক্রেন যদি কোনো অসম চুক্তি করতে বাধ্য হয়, তবে তা রাশিয়ার বিজয়কে নিশ্চিত করবে।