শিরোনাম :
Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ 

দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে রিজার্ভ ব্যবহারের প্রস্তাব !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:০৯:৪০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কার্যালয়ে ডিসিসিআইর সভাপতি আবুল কাসেম খানের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।

আবুল কাসেম খান বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার পাশাপাশি দেশীয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। বর্তমানে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এটাকে ২০ থেকে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা দরকার এবং এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহার করতে পারে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে হলে বেসরকারি বিনিয়োগ ও ডিজিপির অনুপাত ৩৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে এবং বিষয়টি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ এবং কার্যকর আর্থিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের ওপর জোর দেন তিনি।
সভাপতি বলেন, বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘রপ্তানি উন্নয়ন ফান্ড (ইডিএফ)’এর কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন। এছাড়া বেসরকারি খাতের এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য স্বল্প সুদে ‘শিল্প বিনিয়োগ ফান্ড’এবং ‘এসডিজি বাস্তবায়ন ফান্ড’চালু করার প্রস্তাব করাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালা যুগোপযোগী করারও আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে ৮ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর অটোমেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে, পাশাপাশি সব ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিতে হবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, ডিসিসিআই সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, ডিসিসিআই পরিচালক খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, আতিক-ই-রাব্বানী, কে এম এন মঞ্জুরুল হক, রিয়াদ হোসেন, মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান

দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে রিজার্ভ ব্যবহারের প্রস্তাব !

আপডেট সময় : ০২:০৯:৪০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কার্যালয়ে ডিসিসিআইর সভাপতি আবুল কাসেম খানের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।

আবুল কাসেম খান বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার পাশাপাশি দেশীয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি। বর্তমানে অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৬ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এটাকে ২০ থেকে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা দরকার এবং এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহার করতে পারে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে হলে বেসরকারি বিনিয়োগ ও ডিজিপির অনুপাত ৩৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে এবং বিষয়টি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ এবং কার্যকর আর্থিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের ওপর জোর দেন তিনি।
সভাপতি বলেন, বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘রপ্তানি উন্নয়ন ফান্ড (ইডিএফ)’এর কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন। এছাড়া বেসরকারি খাতের এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য স্বল্প সুদে ‘শিল্প বিনিয়োগ ফান্ড’এবং ‘এসডিজি বাস্তবায়ন ফান্ড’চালু করার প্রস্তাব করাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালা যুগোপযোগী করারও আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে ৮ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর অটোমেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে, পাশাপাশি সব ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিতে হবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী, ডিসিসিআই সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, ডিসিসিআই পরিচালক খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, আতিক-ই-রাব্বানী, কে এম এন মঞ্জুরুল হক, রিয়াদ হোসেন, মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির প্রমুখ।