শিরোনাম :
Logo নোবিপ্রতিতে রংপুর বিভাগ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন Logo ১৭তম জজ নিয়োগ পরীক্ষায় রাবি শিক্ষার্থীদের বাজিমাত; স্থান পেলেন ২৮জন Logo পুলিশ ও জনগণের সম্পর্ক Logo চাঁদপুরের মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ২ Logo আইসিটি খাত: ২০২৪ সালের চ্যালেঞ্জ ও ২০২৫ সালের প্রত্যাশা Logo জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণা Logo সংকটে বস্ত্র খাত: সুরক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি Logo চুয়াডাঙ্গায় মারধর করে নগদ টাকা ছিনতাই Logo ধর্ষকদের  কলিজা ছিঁড়ে চৌরাস্তার মোড়ে টাঙানো হবে: সাফফাতুল ইসলাম Logo ধর্ষণ ও নারী সহিংসতার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ার সমাবেশ ও মশাল-মোমবাতি প্রজ্জলন

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নেতৃত্ব পেতে লড়ছেন সিনেটর শেখ রহমান

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:২১:২৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭২৫ বার পড়া হয়েছে
আমেরিকার জাতীয় নেতৃত্ব পেতে ডিএনসি ভাইস চেয়ার পদে লড়ছেন সিনেটর শেখ রহমান। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির (ডিএনসি) ভাইস চেয়ারম্যান (Civic Engagement and Voter Participation) পদে প্রথম মুসলমান প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশী-আমেরিকান সিনেটর (জর্জিয়া) শেখ রহমান ২৪ জানুয়ারি সাউথ ক্যারোলিনায় অনুষ্ঠিত পার্টির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামে বলেছেন, এখন সময় হচ্ছে নেতৃত্বে আমার মত লোকের আসার।

ট্রাম্পের মত লোকেরা বারবার আসছেন এবং চলেও যাচ্ছেন। কিন্তু আমার মত বাদামি রংয়ের মানুষেরা, মুসলমানেরা কখনোই এদেশ-সমাজ থেকে চলে যাবো না। বিভিন্ন অঞ্চল ও স্টেটের নেতৃবৃন্দের তুমুল করতালির মধ্যে সিনেটর শেখ রহমান আরও বলেন, গত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিপর্যয়ের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু হোয়াইট হাউজ আর ক্যাপিটল হিলেই নয়, স্টেট, সিটি ও কাউন্টি প্রশাসনেও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিজয়ের পথ সুগম করতে আমাদের কাজ করতে হবে।

এসময় তিনি বলেন, আমি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বিজয় নির্ধারণী ৭টি স্টেটে গিয়ে আপামর মানুষের সাথে মতবিনিময় করবো। সামনের দু’বছরের মধ্যে সকল টেরিটরিসহ ৫০টি স্টেট ভ্রমণ করবো এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতি আমেরিকানদের আস্থার ভিত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। এটাই সময়ের দাবি।

শেখ রহমান আরও উল্লেখ করেন, ভোটারের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ সুগম করতেও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারীরা নীতি-নির্ধারণে অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ পেতে হবে। বিশেষ কোন বর্ণ আর জাতি-গোষ্ঠীর আধিক্য পরিহার করতে পারলেই নাজুক অবস্থা থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে উদ্ধার করা সহজ হবে।

উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের সন্তান শেখ রহমান ২০১৮ সাল থেকে ডিসট্রিক্ট-৫ আসনে জর্জিয়া স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এটা হচ্ছে তার চতুর্থ টার্মের দায়িত্ব। ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের অভিপ্রায়ে উচ্চ শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন এবং সেন্ট্রাল পাইডমন্ট কম্যুনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর কর্মজীবনে পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি বসবাসকারী এলাকার বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণের মানুষের সাথে সম্পর্ক নিবিড় করতে সক্ষম হন। সেই পথ বেয়েই আফ্রিকান-আমেরিকান ও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান অধ্যুষিত এলাকা থেকে বারবার বিজয়ী হচ্ছেন। শেখ রহমানের স্ত্রী আফরোজ এবং এক পুত্র আঞ্জার ও এক কন্যা রাওদাকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকাতেই স্থায়ীভাবে বাস করছেন। ডিএনসি নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী।

গত নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পাশাপাশি সিনেট এবং হাউজেরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুইয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। অনেক স্টেটের আসনও হারিয়েছে তারা। এমন অবস্থায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে উদ্যমী-কর্মঠ-মেধাবী এবং ধর্ম-বর্ণ-অঞ্চল নির্বিশেষে সকল আমেরিকানের আস্থা রয়েছে-এমন ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

গত ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ দিনের এই জাতীয় সম্মেলন হবে ম্যারিল্যান্ড স্টেটে ন্যাশনাল হার্বারে। পার্টির চেয়ারম্যান, ট্রেজারার, ভাইস চেয়ারসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি। আরও উল্লেখ্য, প্রথম বাংলাদেশি এবং প্রথম মুসলমান প্রার্থী হলেও সিনেটর শেখ রহমানকে ইতোমধ্যেই ৬ টেরিটরি-সহ অধিকাংশ স্টেটের ডেলিগেটরা সাপোর্ট দিয়েছেন।

এর ফলে তার নির্বাচনের পথ অনেকটা সুগম হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। ভাইস চেয়ার পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন কংগ্রেসওম্যান (ওহাইয়ো) জয়েস বীটি, কংগ্রেসওম্যান নিকেমা উইলিয়ামস (জর্জিয়া), বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ার সাবেক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান (নিউইয়র্ক) মাইকেল ব্ল্যাক প্রমুখ।

সময়ের প্রয়োজনে চার বছর মেয়াদি (২০২৫-২০২৯) ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরগরম শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও। সচেতন ভোটারেরও অধীর আগ্রহে নয়া নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। তেমন একটি আকাঙ্ক্ষার পরিপূরক কমিটির চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৮ জন। এর অন্যতম হচ্ছেন ম্যারিল্যান্ড স্টেটের সাবেক গভর্নর এবং সোশ্যাল সিকিউরিটি এডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার মার্টিন ও’ম্যালি, উইসকনসিন স্টেট ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান বেন উইকলার, বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ার কেন মার্টিন, ইউএস সিনেট প্রার্থী (ম্যারিল্যান্ড) রবার্ট হোটন, এটর্নি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক (ম্যাসাচুসেটস) জ্যাসন পোল, বাইডেন ও ওবামা প্রশাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ন্যাট স্নাইডার, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার টিমে দায়িত্বপালনকারী সংগঠক ও লেখক ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন এবং টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির এডজাঙ্কট প্রফেসর কুইনটেসা হ্যাথাওয়ে। ট্রেজারার পদে লড়ছেন অলাভজনক একটি সংস্থার সিইও এবং নর্থ ক্যারোলিনা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অরেঞ্জ কাউন্টি শাখার সাবেক চেয়ারপার্সন ম্যাট হাজেজ এবং বিদায়ী কমিটির ট্রেজার ভার্জিনিয়া ম্যাকগ্রেগর।

সেক্রেটারি পদেও সরাসরি লড়াই হচ্ছে দু’প্রার্থীর। এরা হলেন নিউজার্সি শ্রম দফতরের সাবেক ডেপুটি কমিশনার ম্যারিলিন ডেভিস এবং বিদায়ী কমিটির সেক্রেটারি জ্যাসন র‌্যা। ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ার পদে পুনরায় লড়ছেন বিদায়ী কমিটির চেয়ার ক্রিস কর্গ এবং ডেপুটি চেয়ার ক্রিস্টফার লওই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নোবিপ্রতিতে রংপুর বিভাগ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নেতৃত্ব পেতে লড়ছেন সিনেটর শেখ রহমান

আপডেট সময় : ০২:২১:২৬ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আমেরিকার জাতীয় নেতৃত্ব পেতে ডিএনসি ভাইস চেয়ার পদে লড়ছেন সিনেটর শেখ রহমান। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির (ডিএনসি) ভাইস চেয়ারম্যান (Civic Engagement and Voter Participation) পদে প্রথম মুসলমান প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশী-আমেরিকান সিনেটর (জর্জিয়া) শেখ রহমান ২৪ জানুয়ারি সাউথ ক্যারোলিনায় অনুষ্ঠিত পার্টির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামে বলেছেন, এখন সময় হচ্ছে নেতৃত্বে আমার মত লোকের আসার।

ট্রাম্পের মত লোকেরা বারবার আসছেন এবং চলেও যাচ্ছেন। কিন্তু আমার মত বাদামি রংয়ের মানুষেরা, মুসলমানেরা কখনোই এদেশ-সমাজ থেকে চলে যাবো না। বিভিন্ন অঞ্চল ও স্টেটের নেতৃবৃন্দের তুমুল করতালির মধ্যে সিনেটর শেখ রহমান আরও বলেন, গত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিপর্যয়ের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু হোয়াইট হাউজ আর ক্যাপিটল হিলেই নয়, স্টেট, সিটি ও কাউন্টি প্রশাসনেও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিজয়ের পথ সুগম করতে আমাদের কাজ করতে হবে।

এসময় তিনি বলেন, আমি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বিজয় নির্ধারণী ৭টি স্টেটে গিয়ে আপামর মানুষের সাথে মতবিনিময় করবো। সামনের দু’বছরের মধ্যে সকল টেরিটরিসহ ৫০টি স্টেট ভ্রমণ করবো এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতি আমেরিকানদের আস্থার ভিত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। এটাই সময়ের দাবি।

শেখ রহমান আরও উল্লেখ করেন, ভোটারের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ সুগম করতেও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারীরা নীতি-নির্ধারণে অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ পেতে হবে। বিশেষ কোন বর্ণ আর জাতি-গোষ্ঠীর আধিক্য পরিহার করতে পারলেই নাজুক অবস্থা থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে উদ্ধার করা সহজ হবে।

উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের সন্তান শেখ রহমান ২০১৮ সাল থেকে ডিসট্রিক্ট-৫ আসনে জর্জিয়া স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এটা হচ্ছে তার চতুর্থ টার্মের দায়িত্ব। ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের অভিপ্রায়ে উচ্চ শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন এবং সেন্ট্রাল পাইডমন্ট কম্যুনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর কর্মজীবনে পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি বসবাসকারী এলাকার বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণের মানুষের সাথে সম্পর্ক নিবিড় করতে সক্ষম হন। সেই পথ বেয়েই আফ্রিকান-আমেরিকান ও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান অধ্যুষিত এলাকা থেকে বারবার বিজয়ী হচ্ছেন। শেখ রহমানের স্ত্রী আফরোজ এবং এক পুত্র আঞ্জার ও এক কন্যা রাওদাকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকাতেই স্থায়ীভাবে বাস করছেন। ডিএনসি নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী।

গত নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পাশাপাশি সিনেট এবং হাউজেরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুইয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। অনেক স্টেটের আসনও হারিয়েছে তারা। এমন অবস্থায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে উদ্যমী-কর্মঠ-মেধাবী এবং ধর্ম-বর্ণ-অঞ্চল নির্বিশেষে সকল আমেরিকানের আস্থা রয়েছে-এমন ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

গত ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ দিনের এই জাতীয় সম্মেলন হবে ম্যারিল্যান্ড স্টেটে ন্যাশনাল হার্বারে। পার্টির চেয়ারম্যান, ট্রেজারার, ভাইস চেয়ারসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি। আরও উল্লেখ্য, প্রথম বাংলাদেশি এবং প্রথম মুসলমান প্রার্থী হলেও সিনেটর শেখ রহমানকে ইতোমধ্যেই ৬ টেরিটরি-সহ অধিকাংশ স্টেটের ডেলিগেটরা সাপোর্ট দিয়েছেন।

এর ফলে তার নির্বাচনের পথ অনেকটা সুগম হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। ভাইস চেয়ার পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন কংগ্রেসওম্যান (ওহাইয়ো) জয়েস বীটি, কংগ্রেসওম্যান নিকেমা উইলিয়ামস (জর্জিয়া), বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ার সাবেক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান (নিউইয়র্ক) মাইকেল ব্ল্যাক প্রমুখ।

সময়ের প্রয়োজনে চার বছর মেয়াদি (২০২৫-২০২৯) ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরগরম শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও। সচেতন ভোটারেরও অধীর আগ্রহে নয়া নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। তেমন একটি আকাঙ্ক্ষার পরিপূরক কমিটির চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৮ জন। এর অন্যতম হচ্ছেন ম্যারিল্যান্ড স্টেটের সাবেক গভর্নর এবং সোশ্যাল সিকিউরিটি এডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার মার্টিন ও’ম্যালি, উইসকনসিন স্টেট ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান বেন উইকলার, বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ার কেন মার্টিন, ইউএস সিনেট প্রার্থী (ম্যারিল্যান্ড) রবার্ট হোটন, এটর্নি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক (ম্যাসাচুসেটস) জ্যাসন পোল, বাইডেন ও ওবামা প্রশাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ন্যাট স্নাইডার, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার টিমে দায়িত্বপালনকারী সংগঠক ও লেখক ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন এবং টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির এডজাঙ্কট প্রফেসর কুইনটেসা হ্যাথাওয়ে। ট্রেজারার পদে লড়ছেন অলাভজনক একটি সংস্থার সিইও এবং নর্থ ক্যারোলিনা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অরেঞ্জ কাউন্টি শাখার সাবেক চেয়ারপার্সন ম্যাট হাজেজ এবং বিদায়ী কমিটির ট্রেজার ভার্জিনিয়া ম্যাকগ্রেগর।

সেক্রেটারি পদেও সরাসরি লড়াই হচ্ছে দু’প্রার্থীর। এরা হলেন নিউজার্সি শ্রম দফতরের সাবেক ডেপুটি কমিশনার ম্যারিলিন ডেভিস এবং বিদায়ী কমিটির সেক্রেটারি জ্যাসন র‌্যা। ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ার পদে পুনরায় লড়ছেন বিদায়ী কমিটির চেয়ার ক্রিস কর্গ এবং ডেপুটি চেয়ার ক্রিস্টফার লওই।