শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

পাইলস প্রতিরোধে যা করণীয় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭
  • ৮০৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

পাইলস শব্দটির অর্থ পিলার। মেডিকেলের ভাষায় একে হেমোরয়েড বলা হয়ে থাকে। সহজ বাংলায় মলদ্বারের রক্তনালী ফুলে যাওয়াকে পাইলস বলা হয়ে থাকে। তরুণ এবং বৃদ্ধরা সাধারণত পাইলসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়স সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। নারী পুরুষ নির্বিশেষে রোগটির বিস্তার দেখা যায়। গবেষণায় দেখা যায় যে বিশ্বে শতকরা চার থেকে পাঁচজন এই রোগে আক্রান্ত।

মলত্যাগের সময় চাপ দেওয়ার বদ অভ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলস হওয়ার মূল কারণ। কারও কারও ক্ষেত্রে পাইলস বংশগত রোগও হয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া স্থূলকায়, যকৃতের রোগী, বৃহদান্ত্রের প্রদাহ জনিত কারণ, বৃহদান্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সারের রোগী, মলদ্বারের পূর্বের অপারেশন, আইবিএস ইত্যাদি রোগ থাকলে পাইলস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

মলত্যাগের সঙ্গে রক্ত পাইলসের প্রধান উপসর্গ। মলের সঙ্গে তাজা রক্ত যায়। রোগীরা ফিনকি দিয়ে কিংবা টপ টপ করে রক্ত যাওয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়া মলদ্বারে বাড়তি মাংস, চুলকানি, ভেজা ভেজা ভাব ও অস্বস্তি ইত্যাদি উপসর্গ থাকতে পারে।

পাইলসে সাধারনত ব্যথা হয় না। তবে জটিলতা হলে (রক্ত জমাট বাঁধা, রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি) ব্যথা হতে পারে।

মলত্যাগের সময় চাপ দেওয়ার বদভ্যাস ত্যাগ, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় টয়লেটে বসে থাকা ইত্যাদি বদভ্যাস ত্যাগ করা পাইলস চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার পান করতে হবে। খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবার বেশি (শাকসবজি, ইসপগুলের ভুষি ইত্যাদি)  এবং মাছ-মাংস পরিমাণ মতো রাখতে হবে। এরকম নিয়ম মেনে এবং সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ (মলদ্বারের মলম, ক্রিম, ঢুশ, ওষুধ ইত্যাদি) ব্যবহার করে শতকরা ৮০ ভাগ পাইলস বিনা অপারেশনে চিকিৎসা সম্ভব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

পাইলস প্রতিরোধে যা করণীয় !

আপডেট সময় : ০৭:১৫:৫৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

পাইলস শব্দটির অর্থ পিলার। মেডিকেলের ভাষায় একে হেমোরয়েড বলা হয়ে থাকে। সহজ বাংলায় মলদ্বারের রক্তনালী ফুলে যাওয়াকে পাইলস বলা হয়ে থাকে। তরুণ এবং বৃদ্ধরা সাধারণত পাইলসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়স সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। নারী পুরুষ নির্বিশেষে রোগটির বিস্তার দেখা যায়। গবেষণায় দেখা যায় যে বিশ্বে শতকরা চার থেকে পাঁচজন এই রোগে আক্রান্ত।

মলত্যাগের সময় চাপ দেওয়ার বদ অভ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলস হওয়ার মূল কারণ। কারও কারও ক্ষেত্রে পাইলস বংশগত রোগও হয়ে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া স্থূলকায়, যকৃতের রোগী, বৃহদান্ত্রের প্রদাহ জনিত কারণ, বৃহদান্ত্র ও মলাশয় ক্যান্সারের রোগী, মলদ্বারের পূর্বের অপারেশন, আইবিএস ইত্যাদি রোগ থাকলে পাইলস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

মলত্যাগের সঙ্গে রক্ত পাইলসের প্রধান উপসর্গ। মলের সঙ্গে তাজা রক্ত যায়। রোগীরা ফিনকি দিয়ে কিংবা টপ টপ করে রক্ত যাওয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়া মলদ্বারে বাড়তি মাংস, চুলকানি, ভেজা ভেজা ভাব ও অস্বস্তি ইত্যাদি উপসর্গ থাকতে পারে।

পাইলসে সাধারনত ব্যথা হয় না। তবে জটিলতা হলে (রক্ত জমাট বাঁধা, রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি) ব্যথা হতে পারে।

মলত্যাগের সময় চাপ দেওয়ার বদভ্যাস ত্যাগ, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় টয়লেটে বসে থাকা ইত্যাদি বদভ্যাস ত্যাগ করা পাইলস চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার পান করতে হবে। খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবার বেশি (শাকসবজি, ইসপগুলের ভুষি ইত্যাদি)  এবং মাছ-মাংস পরিমাণ মতো রাখতে হবে। এরকম নিয়ম মেনে এবং সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ (মলদ্বারের মলম, ক্রিম, ঢুশ, ওষুধ ইত্যাদি) ব্যবহার করে শতকরা ৮০ ভাগ পাইলস বিনা অপারেশনে চিকিৎসা সম্ভব।