শুক্রবার | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া Logo নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী Logo খুবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৭ পরিক্ষার্থী  Logo টেকনাফে ইঞ্জিন বিকল হওয়া যাত্রীবাহী বোটসহ ৪৫ জন যাত্রী উদ্ধার Logo খুবিতে ইউনেস্কো ও ইউজিসির উদ্যোগে পিয়ার-টু-পিয়ার ওরিয়েন্টেশন Logo সাতক্ষীরা–কলারোয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল জব্দ Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা

দরিদ্র দেশগুলোতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের সরবরাহ বন্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:০৮:০০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে
দরিদ্র দেশগুলোতে বিনামূল্যে সরবরাহ করা এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা এবং নবজাতকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ইউএসএআইডি (USAID) এর মাধ্যমে এতদিন যেসব চিকিৎসাসেবা ও সরঞ্জাম দেওয়া হতো, তা বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে ইউএসএআইডির সঙ্গে কাজ করা ঠিকাদার ও অংশীদার সংস্থাগুলো এই নির্দেশনা পেতে শুরু করেছে। এর ফলে তারা এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম আর সহায়তা ভোগী দেশগুলোতে পাঠাতে পারবে না। ইউএসএআইডি দীর্ঘদিন ধরে দরিদ্র দেশগুলোতে এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা প্রতিরোধে ওষুধ এবং নবজাতক ও মাতৃস্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী সরবরাহ করে আসছিল।

২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উন্নয়ন সহায়তা এবং অর্থায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। এর অংশ হিসেবে ইউএসএআইডি’র কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে ওষুধ সরবরাহে যুক্ত প্রতিষ্ঠান চেমনিক্সসহ অন্যান্য সংস্থা বলছে, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপর্যয়কর। ইউএসএআইডি’র সাবেক কর্মকর্তা আতুল গাওয়ান্দে বলেন, “এই নির্দেশনা কার্যকর হলে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ মিলিয়ন এইচআইভি আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে। ক্লিনিকগুলো বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে এবং ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে।”

তিনি আরও জানান, ইউএসএআইডি অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থাগুলো ২৩টি দেশে প্রায় ৬৫ লাখ দরিদ্র ও এতিম রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ তাদের চিকিৎসা সহায়তায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় দরিদ্র দেশগুলোতে রোগের বিস্তার বাড়তে পারে। বিশেষ করে এইচআইভি ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগগুলো মোকাবিলায় সংকট আরও ঘনীভূত হবে।

মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা সহায়তা বন্ধ হওয়া মানে লক্ষাধিক মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া

দরিদ্র দেশগুলোতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের সরবরাহ বন্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ১০:০৮:০০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
দরিদ্র দেশগুলোতে বিনামূল্যে সরবরাহ করা এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা এবং নবজাতকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ইউএসএআইডি (USAID) এর মাধ্যমে এতদিন যেসব চিকিৎসাসেবা ও সরঞ্জাম দেওয়া হতো, তা বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে ইউএসএআইডির সঙ্গে কাজ করা ঠিকাদার ও অংশীদার সংস্থাগুলো এই নির্দেশনা পেতে শুরু করেছে। এর ফলে তারা এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম আর সহায়তা ভোগী দেশগুলোতে পাঠাতে পারবে না। ইউএসএআইডি দীর্ঘদিন ধরে দরিদ্র দেশগুলোতে এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা প্রতিরোধে ওষুধ এবং নবজাতক ও মাতৃস্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী সরবরাহ করে আসছিল।

২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উন্নয়ন সহায়তা এবং অর্থায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। এর অংশ হিসেবে ইউএসএআইডি’র কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে ওষুধ সরবরাহে যুক্ত প্রতিষ্ঠান চেমনিক্সসহ অন্যান্য সংস্থা বলছে, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপর্যয়কর। ইউএসএআইডি’র সাবেক কর্মকর্তা আতুল গাওয়ান্দে বলেন, “এই নির্দেশনা কার্যকর হলে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ মিলিয়ন এইচআইভি আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে। ক্লিনিকগুলো বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে এবং ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে।”

তিনি আরও জানান, ইউএসএআইডি অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থাগুলো ২৩টি দেশে প্রায় ৬৫ লাখ দরিদ্র ও এতিম রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ তাদের চিকিৎসা সহায়তায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় দরিদ্র দেশগুলোতে রোগের বিস্তার বাড়তে পারে। বিশেষ করে এইচআইভি ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগগুলো মোকাবিলায় সংকট আরও ঘনীভূত হবে।

মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা সহায়তা বন্ধ হওয়া মানে লক্ষাধিক মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলা।