শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

বাংলাদেশকে ৯৬’র শ্রীলঙ্কা বানাতে চান হাথুরুসিংহে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৪৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

এরইমধ্যে একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নতুনভাবে চিনিয়েছেন তিনি। সেই হাথুরুসিংহের স্বপ্ন, ২০১৯ সালে বিদায় নেয়ার আগে বাংলাদেশকে ১৯৯৬ সালের শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থানে রেখে যাওয়া। সেই মোতাবেকই এগিয়ে যেতে যান তিনি। সেটা করতে যা যা প্রয়োজন তাই করবেন তিনি। এক্ষেত্রে দলের শৃঙ্খলার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ দলের ‘হেডমাস্টার’।

মনের এ কথাগুলো হাথুরুসিংহে বলেছেন শ্রীলঙ্কার ‘দিভাইনা’ পত্রিকাকে।   তিনি বলেন, ‘১৯৯৬-তে যে অবস্থানে ছিল শ্রীলঙ্কা, ২০১৯-এ আমি বাংলাদেশকে সেখানে পৌঁছে দিতে চাই। এটাই আমার লক্ষ্য। তবে যা-ই ঘটুক না কেন, বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আজীবন থাকব, এ কথা বলব না। পদত্যাগও করব না আমি। যা করতে চাই সেটা যদি আমাকে করতে দেওয়া না হয়, তখনই আমি সরে দাঁড়াব। সেটাই হবে আমার বাংলাদেশ দল ছাড়ার একমাত্র কারণ। তবে বর্তমানে তেমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি।

১৯৯৬ সালের দিকে বিশ্বক্রিকেটে অনেকটা চমক হিসেবে আবির্ভূত হয় শ্রীলঙ্কা। তৎকালীন প্রথম সারির দলগুলোকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় করে তারা। ক্রিকেটপ্রেমীরা চিনতে শুরু করে অরবিন্দু ডি সিলভা, মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং সনাৎ জয়সুরিয়ার মতো ক্রিকেটারকে। খুব তাড়াতাড়ি তারা টেস্ট ক্রিকেটেও নিজেদের অবস্থান তৈরি করেন।

বাংলাদেশ সম্প্রতি হাথুরুসিংহের অধীনে টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে। এছাড়া ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো করার পাশাপাশি এশিয়া কাপের ফাইনালও খেলে। শুধু তাই নয় ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে সাকিব-তামিমরা। ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে এই টুর্নামেন্টে খেলতে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে হাথুরুসিংহেকে এখন ‘অসীম ক্ষমতাধর’ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কোচের সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। তার পরামর্শ মেনে দ্বিস্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।

হাথুরুসিংহে বাংলাদেশে কাজ করে খুশি হলেও শ্রীলঙ্কা ডাকলে ফেলে দেবেন না বলেও জানিয়েছেন, ‘শ্রীলঙ্কা ডাকলে আমি অবশ্যই আসবো। আমি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি এই শ্রীলঙ্কার জন্যই। এখানেই সব শিখেছি। এখানে ২০ বছর শেখার পর অস্ট্রেলিয়া চলে যাই। সেখানেও অনেক কিছু শিখেছি। কিন্তু দেশ থেকে ডাক পেলে খুশি মনে ফিরে আসবো। ’

তার দৃষ্টিতে স্কুল ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার পরিচালন-পদ্ধতি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। কিন্তু তার দেশের সিনিয়র ক্রিকেটের পরিকাঠামোয় তিনি সন্তুষ্ট নন। ‘শ্রীলংকায় যদি ২২ কিংবা ২৩টি প্রথম শ্রেণির দল থাকে, সেটি মোটেও ভালো নয়। আমি মনে করি, এখানে ১২ কিংবা ১৪টি দল হলেই চলে। স্কুল ক্রিকেট এখানে ভালো হওয়ায় এখনও খেলোয়াড় বেরিয়ে আসছে’, বলেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

বাংলাদেশকে ৯৬’র শ্রীলঙ্কা বানাতে চান হাথুরুসিংহে !

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৪৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

এরইমধ্যে একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নতুনভাবে চিনিয়েছেন তিনি। সেই হাথুরুসিংহের স্বপ্ন, ২০১৯ সালে বিদায় নেয়ার আগে বাংলাদেশকে ১৯৯৬ সালের শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থানে রেখে যাওয়া। সেই মোতাবেকই এগিয়ে যেতে যান তিনি। সেটা করতে যা যা প্রয়োজন তাই করবেন তিনি। এক্ষেত্রে দলের শৃঙ্খলার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ দলের ‘হেডমাস্টার’।

মনের এ কথাগুলো হাথুরুসিংহে বলেছেন শ্রীলঙ্কার ‘দিভাইনা’ পত্রিকাকে।   তিনি বলেন, ‘১৯৯৬-তে যে অবস্থানে ছিল শ্রীলঙ্কা, ২০১৯-এ আমি বাংলাদেশকে সেখানে পৌঁছে দিতে চাই। এটাই আমার লক্ষ্য। তবে যা-ই ঘটুক না কেন, বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আজীবন থাকব, এ কথা বলব না। পদত্যাগও করব না আমি। যা করতে চাই সেটা যদি আমাকে করতে দেওয়া না হয়, তখনই আমি সরে দাঁড়াব। সেটাই হবে আমার বাংলাদেশ দল ছাড়ার একমাত্র কারণ। তবে বর্তমানে তেমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি।

১৯৯৬ সালের দিকে বিশ্বক্রিকেটে অনেকটা চমক হিসেবে আবির্ভূত হয় শ্রীলঙ্কা। তৎকালীন প্রথম সারির দলগুলোকে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় করে তারা। ক্রিকেটপ্রেমীরা চিনতে শুরু করে অরবিন্দু ডি সিলভা, মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং সনাৎ জয়সুরিয়ার মতো ক্রিকেটারকে। খুব তাড়াতাড়ি তারা টেস্ট ক্রিকেটেও নিজেদের অবস্থান তৈরি করেন।

বাংলাদেশ সম্প্রতি হাথুরুসিংহের অধীনে টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে। এছাড়া ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো করার পাশাপাশি এশিয়া কাপের ফাইনালও খেলে। শুধু তাই নয় ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে সাকিব-তামিমরা। ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে এই টুর্নামেন্টে খেলতে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে হাথুরুসিংহেকে এখন ‘অসীম ক্ষমতাধর’ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কোচের সিদ্ধান্তকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। তার পরামর্শ মেনে দ্বিস্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।

হাথুরুসিংহে বাংলাদেশে কাজ করে খুশি হলেও শ্রীলঙ্কা ডাকলে ফেলে দেবেন না বলেও জানিয়েছেন, ‘শ্রীলঙ্কা ডাকলে আমি অবশ্যই আসবো। আমি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি এই শ্রীলঙ্কার জন্যই। এখানেই সব শিখেছি। এখানে ২০ বছর শেখার পর অস্ট্রেলিয়া চলে যাই। সেখানেও অনেক কিছু শিখেছি। কিন্তু দেশ থেকে ডাক পেলে খুশি মনে ফিরে আসবো। ’

তার দৃষ্টিতে স্কুল ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার পরিচালন-পদ্ধতি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। কিন্তু তার দেশের সিনিয়র ক্রিকেটের পরিকাঠামোয় তিনি সন্তুষ্ট নন। ‘শ্রীলংকায় যদি ২২ কিংবা ২৩টি প্রথম শ্রেণির দল থাকে, সেটি মোটেও ভালো নয়। আমি মনে করি, এখানে ১২ কিংবা ১৪টি দল হলেই চলে। স্কুল ক্রিকেট এখানে ভালো হওয়ায় এখনও খেলোয়াড় বেরিয়ে আসছে’, বলেন তিনি।