শিরোনাম :
Logo ২ নং কয়রার নলপাড়া শ্রী শ্রী সার্বজনীন শ্যামাকালী পূজা পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান Logo বুটেক্সে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা! Logo চাঁদপুরে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসে আলোচনা সভা Logo বিজয়ী সংগঠন এখন শত শত নারীদের উপার্জন করার পথ তৈরি করে দিচ্ছেন- ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান Logo দুই মেয়ের পর আবারো মেয়ের জন্ম… কলারোয়ায় ৫ দিনের শিশু কন্যাকে খালে ফেলে হত্যা, মা গ্রেপ্তার Logo পলাশবাড়ীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও র‍্যালী। Logo গাজা চুক্তি লঙ্ঘন করলে হামাসকে ‘নির্মূল’ করা হবে : ট্রাম্প Logo এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সরকারের Logo নির্বাচনে এআই অপব্যবহার রোধে কেন্দ্রীয়ভাবে সেল গঠন হবে : সিইসি Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রীশ্রী শ্যামা পূজা ও শুভ দীপাবলি উৎসব

রাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ডিভিএম বিভাগে তালা 

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:৩৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৮২৯ বার পড়া হয়েছে
রাবি প্রতিনিধি:

বিভাগ কর্তৃক স্বেচ্ছাচারিতা ও ইচ্ছাকৃতভাবে আসন্ন ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ এনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল‌ সাড়ে ১১টায় বিভাগের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা দেন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘পরীক্ষা নিয়ে গড়িমসি; চলবে না, চলবে না’, ‘বিসিএস নিয়ে গড়িমসি; চলবে না, চলবে না’, ‘সিনিয়ররা সুযোগ পেলে, আমরা কেন পাবো না?’, ‘সব ক্যাম্পাস সুযোগ পেলে, আমরা কেন পাবো না?’, ‘পরীক্ষার অনুমতি; দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘আমার স্বাধীন বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
এবিষয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. জাকির হোসেন বলেন, “আমাদের মূল দাবি হলো, লেভেল ফাইভ সেমিস্টার-২ দ্রুত সময়ে নিয়ে আসন্ন ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। বারবার বিভাগের আবেদন দেওয়ার পরেও আমরা পজিটিভ ফিডব্যাক পাইনি। এর আগে আন্দোলন করলে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করি। সারা বাংলাদেশের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। বিভাগ আমাদেরকে কোনো সমাধান দিতে পারেনি। শেষবারের মতো আমরা বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান নিয়েছি।”
আলামিন মোল্লা বলেন, “সারা বাংলাদেশের যত ভেটেরিনারি বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট আছে সবজায়গাত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। আমাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রুটিন প্রকাশ করে লেভেল ফাইভ সেমিস্টার-২ পরীক্ষা নিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে।”
একই শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী হেমা আক্তার ইভা বলেন, “শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত আক্রস এর শিকার হয়ে ৪৭ জন শিক্ষার্থীর জীবন এখন হুমকির মুখে। আমরা আমরা আমাদের দিক থেকে অনেক চেষ্টা করেছি। ২০১৮-১৯ সেশন এর আমরা ৪৭ জন বাদে সবাই বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারছে, শুধু আমরাই পারছি না। যতক্ষণ পরীক্ষার রুটিন হাতে না পাব রাজপথ ছাড়বো না।”
এবিষয়ে জানতে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ময়জুর রহমানকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, দ্রুত সময়ে নেওয়ার দাবি নিয়ে গত সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছেন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের আশ্বাসে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এরপর গত (১৩ জানুয়ারি) ইন্টার্নশিপ থেকে কর্মবিরতি দিয়ে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গত (১৬ জানুয়ারি) বিভাগের চেয়ারম্যান সহ কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। কিন্তু প্রশাসন থেকে কার্যকর কোনো সমাধান না পেয়ে আজ বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, সমস্যার সমাধান করতে না পারলে চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২ নং কয়রার নলপাড়া শ্রী শ্রী সার্বজনীন শ্যামাকালী পূজা পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান

রাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ডিভিএম বিভাগে তালা 

আপডেট সময় : ০৭:০৬:৩৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
রাবি প্রতিনিধি:

বিভাগ কর্তৃক স্বেচ্ছাচারিতা ও ইচ্ছাকৃতভাবে আসন্ন ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ এনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল‌ সাড়ে ১১টায় বিভাগের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা দেন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘পরীক্ষা নিয়ে গড়িমসি; চলবে না, চলবে না’, ‘বিসিএস নিয়ে গড়িমসি; চলবে না, চলবে না’, ‘সিনিয়ররা সুযোগ পেলে, আমরা কেন পাবো না?’, ‘সব ক্যাম্পাস সুযোগ পেলে, আমরা কেন পাবো না?’, ‘পরীক্ষার অনুমতি; দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘আমার স্বাধীন বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
এবিষয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. জাকির হোসেন বলেন, “আমাদের মূল দাবি হলো, লেভেল ফাইভ সেমিস্টার-২ দ্রুত সময়ে নিয়ে আসন্ন ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। বারবার বিভাগের আবেদন দেওয়ার পরেও আমরা পজিটিভ ফিডব্যাক পাইনি। এর আগে আন্দোলন করলে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করি। সারা বাংলাদেশের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। বিভাগ আমাদেরকে কোনো সমাধান দিতে পারেনি। শেষবারের মতো আমরা বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান নিয়েছি।”
আলামিন মোল্লা বলেন, “সারা বাংলাদেশের যত ভেটেরিনারি বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট আছে সবজায়গাত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। আমাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রুটিন প্রকাশ করে লেভেল ফাইভ সেমিস্টার-২ পরীক্ষা নিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে।”
একই শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী হেমা আক্তার ইভা বলেন, “শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত আক্রস এর শিকার হয়ে ৪৭ জন শিক্ষার্থীর জীবন এখন হুমকির মুখে। আমরা আমরা আমাদের দিক থেকে অনেক চেষ্টা করেছি। ২০১৮-১৯ সেশন এর আমরা ৪৭ জন বাদে সবাই বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারছে, শুধু আমরাই পারছি না। যতক্ষণ পরীক্ষার রুটিন হাতে না পাব রাজপথ ছাড়বো না।”
এবিষয়ে জানতে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ময়জুর রহমানকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, দ্রুত সময়ে নেওয়ার দাবি নিয়ে গত সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছেন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের আশ্বাসে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এরপর গত (১৩ জানুয়ারি) ইন্টার্নশিপ থেকে কর্মবিরতি দিয়ে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গত (১৬ জানুয়ারি) বিভাগের চেয়ারম্যান সহ কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। কিন্তু প্রশাসন থেকে কার্যকর কোনো সমাধান না পেয়ে আজ বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, সমস্যার সমাধান করতে না পারলে চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।