শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত Logo ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইবির আইসিটি বিভাগে নবীনবরণ Logo পলাশবাড়ীতে ভিডাব্লিউ ডি প্রকল্পে অনিয়মসহ স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। Logo যবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা: নিষিদ্ধ সংগঠনের দুই কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ Logo তেকানী ইউনিয়নের সচিব হালিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ Logo কচুয়ার শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমানের অনন্য উদ্যোগ Logo কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অক্টোবর থেকে: বেবিচক চেয়ারম্যান” Logo মাদকসহ সাতক্ষীরা শহরের চিহ্নিত চোরাকারবারি আটক Logo দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছি না: জ্বালানি উপদেষ্টা

রাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ডিভিএম বিভাগে তালা 

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:০৬:৩৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৮১০ বার পড়া হয়েছে
রাবি প্রতিনিধি:

বিভাগ কর্তৃক স্বেচ্ছাচারিতা ও ইচ্ছাকৃতভাবে আসন্ন ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ এনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল‌ সাড়ে ১১টায় বিভাগের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা দেন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘পরীক্ষা নিয়ে গড়িমসি; চলবে না, চলবে না’, ‘বিসিএস নিয়ে গড়িমসি; চলবে না, চলবে না’, ‘সিনিয়ররা সুযোগ পেলে, আমরা কেন পাবো না?’, ‘সব ক্যাম্পাস সুযোগ পেলে, আমরা কেন পাবো না?’, ‘পরীক্ষার অনুমতি; দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘আমার স্বাধীন বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
এবিষয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. জাকির হোসেন বলেন, “আমাদের মূল দাবি হলো, লেভেল ফাইভ সেমিস্টার-২ দ্রুত সময়ে নিয়ে আসন্ন ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। বারবার বিভাগের আবেদন দেওয়ার পরেও আমরা পজিটিভ ফিডব্যাক পাইনি। এর আগে আন্দোলন করলে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করি। সারা বাংলাদেশের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। বিভাগ আমাদেরকে কোনো সমাধান দিতে পারেনি। শেষবারের মতো আমরা বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান নিয়েছি।”
আলামিন মোল্লা বলেন, “সারা বাংলাদেশের যত ভেটেরিনারি বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট আছে সবজায়গাত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। আমাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রুটিন প্রকাশ করে লেভেল ফাইভ সেমিস্টার-২ পরীক্ষা নিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে।”
একই শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী হেমা আক্তার ইভা বলেন, “শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত আক্রস এর শিকার হয়ে ৪৭ জন শিক্ষার্থীর জীবন এখন হুমকির মুখে। আমরা আমরা আমাদের দিক থেকে অনেক চেষ্টা করেছি। ২০১৮-১৯ সেশন এর আমরা ৪৭ জন বাদে সবাই বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারছে, শুধু আমরাই পারছি না। যতক্ষণ পরীক্ষার রুটিন হাতে না পাব রাজপথ ছাড়বো না।”
এবিষয়ে জানতে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ময়জুর রহমানকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, দ্রুত সময়ে নেওয়ার দাবি নিয়ে গত সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছেন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের আশ্বাসে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এরপর গত (১৩ জানুয়ারি) ইন্টার্নশিপ থেকে কর্মবিরতি দিয়ে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গত (১৬ জানুয়ারি) বিভাগের চেয়ারম্যান সহ কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। কিন্তু প্রশাসন থেকে কার্যকর কোনো সমাধান না পেয়ে আজ বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, সমস্যার সমাধান করতে না পারলে চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের কুরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

রাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ডিভিএম বিভাগে তালা 

আপডেট সময় : ০৭:০৬:৩৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
রাবি প্রতিনিধি:

বিভাগ কর্তৃক স্বেচ্ছাচারিতা ও ইচ্ছাকৃতভাবে আসন্ন ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ এনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল‌ সাড়ে ১১টায় বিভাগের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা দেন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘পরীক্ষা নিয়ে গড়িমসি; চলবে না, চলবে না’, ‘বিসিএস নিয়ে গড়িমসি; চলবে না, চলবে না’, ‘সিনিয়ররা সুযোগ পেলে, আমরা কেন পাবো না?’, ‘সব ক্যাম্পাস সুযোগ পেলে, আমরা কেন পাবো না?’, ‘পরীক্ষার অনুমতি; দিতে হবে, দিতে হবে’, ‘আমার স্বাধীন বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
এবিষয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. জাকির হোসেন বলেন, “আমাদের মূল দাবি হলো, লেভেল ফাইভ সেমিস্টার-২ দ্রুত সময়ে নিয়ে আসন্ন ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। বারবার বিভাগের আবেদন দেওয়ার পরেও আমরা পজিটিভ ফিডব্যাক পাইনি। এর আগে আন্দোলন করলে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করি। সারা বাংলাদেশের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। বিভাগ আমাদেরকে কোনো সমাধান দিতে পারেনি। শেষবারের মতো আমরা বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান নিয়েছি।”
আলামিন মোল্লা বলেন, “সারা বাংলাদেশের যত ভেটেরিনারি বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট আছে সবজায়গাত ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। আমাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রুটিন প্রকাশ করে লেভেল ফাইভ সেমিস্টার-২ পরীক্ষা নিয়ে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে।”
একই শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী হেমা আক্তার ইভা বলেন, “শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত আক্রস এর শিকার হয়ে ৪৭ জন শিক্ষার্থীর জীবন এখন হুমকির মুখে। আমরা আমরা আমাদের দিক থেকে অনেক চেষ্টা করেছি। ২০১৮-১৯ সেশন এর আমরা ৪৭ জন বাদে সবাই বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারছে, শুধু আমরাই পারছি না। যতক্ষণ পরীক্ষার রুটিন হাতে না পাব রাজপথ ছাড়বো না।”
এবিষয়ে জানতে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ময়জুর রহমানকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, দ্রুত সময়ে নেওয়ার দাবি নিয়ে গত সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছেন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের আশ্বাসে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এরপর গত (১৩ জানুয়ারি) ইন্টার্নশিপ থেকে কর্মবিরতি দিয়ে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গত (১৬ জানুয়ারি) বিভাগের চেয়ারম্যান সহ কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। কিন্তু প্রশাসন থেকে কার্যকর কোনো সমাধান না পেয়ে আজ বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, সমস্যার সমাধান করতে না পারলে চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।