বুধবার | ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল Logo জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের কৃষকদের সক্ষম করে তুলতে হবে— আন্তর্জাতিক সেমিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য Logo পুলিশের অভিযানে পলাশবাড়ীতে চোরাই মাল উদ্ধার : দুই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী আটক Logo পলাশবাড়ীতে জুলাই যোদ্ধার বাবার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের অভিযোগ Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে

কচুয়ায় বিলের মাঝে আজো দাড়িঁয়ে আছে অর্ধশতাব্দী বটগাছ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:৫০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭৭৯ বার পড়া হয়েছে

মো: মাসুদ রানা(কচুয়া)

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের আইনপুর-সফিবাদ বিলের মধ্যখানে আজো দাড়িঁয়ে আছে অর্ধশতাব্দী বটগাছ। যেখানে একটু ছায়াতলে এসে বিশ্রাম নেন কৃষকরা। তবে এ বটগাছ নিয়ে নানা কৌতুহলী জনসাধারনের মাঝে। অনেকে ভয়ে যেতে চান না বট গাছের ছায়তলে। অর্ধশতবর্ষী বটগাছের সন্ধান মেলে কচুয়া-সাচার সড়কের পালাখাল এলাকার পূর্ব বিলে। যা কিনা ওই বিলের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, বটগাছের বয়স ৫০ বছরের বেশি হবে এবং বট গাছ কেন্দ্রীক এ বিলের কৃষকরা এখন বিশ্রাম নেয়। প্রাচীনতম বটবৃক্ষ আর ছোট একটি ডোবা রয়েছে পাশে। বটগাছের নিচে গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষ শীতল ছায়ার আশায় জড়ো হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পালাখাল গ্রামের অধিবাসী মো. কামরুল ইসলাম নামের একজন ব্যক্তি প্রায় ৫০বছর পূর্বে এ বটগাছটি রোপন করেন। কিন্তু তিনি মারা গিয়েছেন। বর্তমানে এখনো দাড়িয়ে আছে এ বটগাছ। বিলের মাঝখানে বটগাছটি নিজের শাখা-প্রশাখা নিয়ে সুবিস্তীর্ণ ভাবে দাড়িয়ে আছে ।

যদিও পুরো বিলে মাত্র একটি বটগাছ। রবি শস্য মৌসুম ও গ্রীষ্মের তাপদাহে অনেক কৃষক ক্লান্ত হয়ে যায়, তখন বিশ্রামের জন্য বটগাছের ছায়াতলে আসেন। ওই স্থানে কৃষকদের জন্য পানি পানের জন্য একটি টিউবওয়েল স্থাপন ও নামাজের স্থান নির্মান করা হয়। যাতে করে কৃষকরা নামাজ আদায় ও বিশ্রাম নিতে পারেন। বটগাছের উপকারীতা ব্যাপক এবং এইসব বটগাছ সংরক্ষণে সবার সামাজিক দায়িত্ব বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।

আইনপুর গ্রামের অধিবাসী মোজাম্মেল তালুকদার সহ একাধিক লোকজন জানান, আমরা ছোটবেলা থেকে দেখছি, বিলের মাঝে এ বটগাছ। তবে কে বা কাহারা এটি রোপণ করেছে তা আমরা জানি না। শুনেছি, এখানে নাকি দুপুর কিংবা রাতের বেলা আসা যায় না। অনেকে ভয়ে আসতে চায় না।

পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজন চৌধুরী জানায়, ওই বিলে বট গাছ অনেক পুরোনো এবং এই বট গাছ অনেক উপকার করে আমাদের। আমরা প্রায়শই বট গাছের নিচে বিশ্রাম করে থাকি। এই বটগাছ এখানে নিজস্ব ইতিহাস বহন করে দাঁড়িয়ে আছে। এটি রক্ষা করতে আমাদের সকলের চেষ্টা প্রয়োজন।

উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বটগাছ অনেক উপকারী একটি গাছ। এর রক্ষণাবেক্ষণ অনেক প্রয়োজন। তাই সবাইকে বটগাছ রক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসা উচিত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর

কচুয়ায় বিলের মাঝে আজো দাড়িঁয়ে আছে অর্ধশতাব্দী বটগাছ

আপডেট সময় : ০৫:০৬:৫০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মো: মাসুদ রানা(কচুয়া)

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের আইনপুর-সফিবাদ বিলের মধ্যখানে আজো দাড়িঁয়ে আছে অর্ধশতাব্দী বটগাছ। যেখানে একটু ছায়াতলে এসে বিশ্রাম নেন কৃষকরা। তবে এ বটগাছ নিয়ে নানা কৌতুহলী জনসাধারনের মাঝে। অনেকে ভয়ে যেতে চান না বট গাছের ছায়তলে। অর্ধশতবর্ষী বটগাছের সন্ধান মেলে কচুয়া-সাচার সড়কের পালাখাল এলাকার পূর্ব বিলে। যা কিনা ওই বিলের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে আছে।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, বটগাছের বয়স ৫০ বছরের বেশি হবে এবং বট গাছ কেন্দ্রীক এ বিলের কৃষকরা এখন বিশ্রাম নেয়। প্রাচীনতম বটবৃক্ষ আর ছোট একটি ডোবা রয়েছে পাশে। বটগাছের নিচে গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষ শীতল ছায়ার আশায় জড়ো হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পালাখাল গ্রামের অধিবাসী মো. কামরুল ইসলাম নামের একজন ব্যক্তি প্রায় ৫০বছর পূর্বে এ বটগাছটি রোপন করেন। কিন্তু তিনি মারা গিয়েছেন। বর্তমানে এখনো দাড়িয়ে আছে এ বটগাছ। বিলের মাঝখানে বটগাছটি নিজের শাখা-প্রশাখা নিয়ে সুবিস্তীর্ণ ভাবে দাড়িয়ে আছে ।

যদিও পুরো বিলে মাত্র একটি বটগাছ। রবি শস্য মৌসুম ও গ্রীষ্মের তাপদাহে অনেক কৃষক ক্লান্ত হয়ে যায়, তখন বিশ্রামের জন্য বটগাছের ছায়াতলে আসেন। ওই স্থানে কৃষকদের জন্য পানি পানের জন্য একটি টিউবওয়েল স্থাপন ও নামাজের স্থান নির্মান করা হয়। যাতে করে কৃষকরা নামাজ আদায় ও বিশ্রাম নিতে পারেন। বটগাছের উপকারীতা ব্যাপক এবং এইসব বটগাছ সংরক্ষণে সবার সামাজিক দায়িত্ব বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।

আইনপুর গ্রামের অধিবাসী মোজাম্মেল তালুকদার সহ একাধিক লোকজন জানান, আমরা ছোটবেলা থেকে দেখছি, বিলের মাঝে এ বটগাছ। তবে কে বা কাহারা এটি রোপণ করেছে তা আমরা জানি না। শুনেছি, এখানে নাকি দুপুর কিংবা রাতের বেলা আসা যায় না। অনেকে ভয়ে আসতে চায় না।

পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজন চৌধুরী জানায়, ওই বিলে বট গাছ অনেক পুরোনো এবং এই বট গাছ অনেক উপকার করে আমাদের। আমরা প্রায়শই বট গাছের নিচে বিশ্রাম করে থাকি। এই বটগাছ এখানে নিজস্ব ইতিহাস বহন করে দাঁড়িয়ে আছে। এটি রক্ষা করতে আমাদের সকলের চেষ্টা প্রয়োজন।

উপজেলা বন কর্মকর্তা (ফরেস্টার) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বটগাছ অনেক উপকারী একটি গাছ। এর রক্ষণাবেক্ষণ অনেক প্রয়োজন। তাই সবাইকে বটগাছ রক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসা উচিত।