শিরোনাম :
Logo ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ Logo ইবিতে খুলনা জেলা সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ সম্মাননা Logo চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ইমাম পরিষদের মানববন্ধন Logo চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ক্লু-লেস হাবিব হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না : নাহিদ ইসলাম Logo নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ঘোষণা এনসিপির Logo ভারতের শুল্ক ২০ শতাংশের কম হতে পারে,যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তি Logo ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ী নিহত Logo চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি, কেবিনের জন্য বাড়তি টাকা Logo চাঁদপুর শহরের লেক থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

এই তিন প্রকার মানুষের উপকার কখনও করতে নেই, জানাচ্ছে ‘চাণক্য নীতি’

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ভারতীয় ইতিহাসে ‘চাণক্য নীতি’ আসলে একটি অতি প্রাচীন নৈতিক বিধান। এই শ্লোকগুলির সঙ্গে মৌর্য যুগের রাজনীতিবিদ কৌটিল্য বিষ্ণুগুপ্ত চাণক্যের সত্যিই কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা নিয়ে তর্ক চলতেই পারে। কিন্তু এই নৈতিক কোড-এর প্রাচীনত্ব নিয়ে সংশয় নেই কোন ইতিহাসবিদদের। বরং তাদের মতে, চাণক্য নীতি আসলে এই দেশের নৈতিক ভাবনার একটা সারমর্ম। এতে যুগে যুগে সংযোজিত হয়েছে নতুন বিধান, সেই সঙ্গে বিয়োজিতও হয়েছে পুরনো বেশ কিছু ভাবনা।

কিন্তু আজ ‘চাণক্য নীতি’ হিসেবে পরিচিত নীতিমালায় যা রয়েছে, তার বেশিরভাগটাই দেশ-কাল নিরপেক্ষ বলে মনে করা হয়। ‘চাণক্য নীতি’ অনেক সময়েই মিত্র নির্বাচন নিয়ে উপদেশ রেখেছে। সেই সঙ্গে সাবধানও করেছে শত্রু সম্পর্কে। আবার কিছু সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু তথ্য জানিয়েছে এই নৈতিক বিধি। এই সূত্র ধরেই তিন প্রকারের মানুষের উপকার করা থেকে বিরত থাকতে বলে ‘চাণক্য নীতি’। আমাদের আজিকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন এরা কারা-

১। অবিশ্বস্ত চরিত্রের নারীদের থেকে শত হস্ত দূরে থাকতে বলে চাণক্য নীতি। এদের উপকার করলে সর্বনাশ আসন্ন। কেউ যদি দয়াপরবশ হয়ে এদের সাহায্য করেন, তা হলে এরা প্রতিদানে এমন কিছু করে বসতে পারে যাতে উপকারী মানুষটিরই সম্মান বিপন্ন হতে পারে। এই ধরনের নারীর বিপদের অন্ত তাকে না। একবার তার উপকার করলে সে আরও বিপদকে এনে হাজির করতে পারে। এছাড়া উপকারীর প্রতিও যে এরা বিশ্বস্ত থাকবে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত ‘চাণক্য নীতি’।

২। সর্বদা বিমর্ষ থাকে, এমন ব্যক্তির দুঃখ দূর করার চেষ্টা করা কখনই উচিত নয়। ‘চাণক্য নীতি’-র মতে তাদের বিষণ্নতা কোনওদিনই দূর হবে না। এমন লোকের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করলে এদের বিষাদ অন্যের মধ্যে প্রবেশ করবে। এদেরকেও বাদ রাখতে হবে উপকারের তালিকা থেকে।

৩। কোনও নির্বোধকে জ্ঞানদানের মতো বৃথাকর্ম আর নেই, একথা স্পষ্ট জানায় ‘চাণক্য নীতি’। কারণ নির্বোধের পক্ষে জ্ঞানের উপলব্ধি কোনও দিনই সম্ভব নয়। বরং তারা তর্ক করে উপকারীর সময় ও মানসিকতা নষ্ট করবে। এদের থেকেও দূরে থাকার কথা বলে ‘চাণক্য নীতি’।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ

এই তিন প্রকার মানুষের উপকার কখনও করতে নেই, জানাচ্ছে ‘চাণক্য নীতি’

আপডেট সময় : ১২:৩২:৪৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ভারতীয় ইতিহাসে ‘চাণক্য নীতি’ আসলে একটি অতি প্রাচীন নৈতিক বিধান। এই শ্লোকগুলির সঙ্গে মৌর্য যুগের রাজনীতিবিদ কৌটিল্য বিষ্ণুগুপ্ত চাণক্যের সত্যিই কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা নিয়ে তর্ক চলতেই পারে। কিন্তু এই নৈতিক কোড-এর প্রাচীনত্ব নিয়ে সংশয় নেই কোন ইতিহাসবিদদের। বরং তাদের মতে, চাণক্য নীতি আসলে এই দেশের নৈতিক ভাবনার একটা সারমর্ম। এতে যুগে যুগে সংযোজিত হয়েছে নতুন বিধান, সেই সঙ্গে বিয়োজিতও হয়েছে পুরনো বেশ কিছু ভাবনা।

কিন্তু আজ ‘চাণক্য নীতি’ হিসেবে পরিচিত নীতিমালায় যা রয়েছে, তার বেশিরভাগটাই দেশ-কাল নিরপেক্ষ বলে মনে করা হয়। ‘চাণক্য নীতি’ অনেক সময়েই মিত্র নির্বাচন নিয়ে উপদেশ রেখেছে। সেই সঙ্গে সাবধানও করেছে শত্রু সম্পর্কে। আবার কিছু সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু তথ্য জানিয়েছে এই নৈতিক বিধি। এই সূত্র ধরেই তিন প্রকারের মানুষের উপকার করা থেকে বিরত থাকতে বলে ‘চাণক্য নীতি’। আমাদের আজিকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন এরা কারা-

১। অবিশ্বস্ত চরিত্রের নারীদের থেকে শত হস্ত দূরে থাকতে বলে চাণক্য নীতি। এদের উপকার করলে সর্বনাশ আসন্ন। কেউ যদি দয়াপরবশ হয়ে এদের সাহায্য করেন, তা হলে এরা প্রতিদানে এমন কিছু করে বসতে পারে যাতে উপকারী মানুষটিরই সম্মান বিপন্ন হতে পারে। এই ধরনের নারীর বিপদের অন্ত তাকে না। একবার তার উপকার করলে সে আরও বিপদকে এনে হাজির করতে পারে। এছাড়া উপকারীর প্রতিও যে এরা বিশ্বস্ত থাকবে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত ‘চাণক্য নীতি’।

২। সর্বদা বিমর্ষ থাকে, এমন ব্যক্তির দুঃখ দূর করার চেষ্টা করা কখনই উচিত নয়। ‘চাণক্য নীতি’-র মতে তাদের বিষণ্নতা কোনওদিনই দূর হবে না। এমন লোকের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করলে এদের বিষাদ অন্যের মধ্যে প্রবেশ করবে। এদেরকেও বাদ রাখতে হবে উপকারের তালিকা থেকে।

৩। কোনও নির্বোধকে জ্ঞানদানের মতো বৃথাকর্ম আর নেই, একথা স্পষ্ট জানায় ‘চাণক্য নীতি’। কারণ নির্বোধের পক্ষে জ্ঞানের উপলব্ধি কোনও দিনই সম্ভব নয়। বরং তারা তর্ক করে উপকারীর সময় ও মানসিকতা নষ্ট করবে। এদের থেকেও দূরে থাকার কথা বলে ‘চাণক্য নীতি’।