মশার বংশ নির্বংশ হবে আশ্চর্য যে ডিভাইসে !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১২ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে মানুষ কত কিছুই না করছে। কিন্তু মশা মারতে এসব কিছুর আর দরকার নেই, বাজারে আসছে নতুন এক ডিভাইস। যার নাম ‘স্মার্ট মস্কুইটো ডেনসিটি সিস্টেম’। এতে থাকছে অপটিক্যাল সেন্সর। এই সেন্সরের মাধ্যমে মশার প্রজননস্থল, প্রজাতি ও ঘনত্ব সম্পর্কে তথ্য চলে আসবে কর্তৃপক্ষের কাছে। এরই মধ্যে এই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রস্তাব ভারত সরকারের সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয়ে চলে গিয়েছে।

প্রস্তাব উত্থাপনকারী সংস্থার তথ্য মতে, মশা জেসব এলাকায় সব থেকে বেশী সেসব এলাকাগুলোতে এই অপটিক্যাল সেন্সর বসানো হবে। সেন্সরের মাধ্যমে পাওয়া যাবে ওই এলাকায় মশার প্রজননস্থল, ঘনত্ব ও প্রজাতি সম্পর্কে তথ্য। ফলে প্রয়োজন বিচার করে মশা নিধনে স্প্রে’র ধরনও বদল করা যাবে। ওই পদ্ধতিতে একদিকে যেমন খরচ কমবে সরকারের, অন্যদিকে মশা নিধনের ক্ষেত্রেও ওষুধের কার্যকারিতা বাড়বে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের ৯৫ শতাংশ নাগরিক ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকায় বাস করেন। সারাবিশ্বে ম্যালেরিয়াতে যত মৃত্যু হয়, তার ৫ শতাংশই হয় ভারতে। এ ছাড়াও মশাবাহিত ভাইরাস ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার সমস্যাও রয়েছে। মশা নিধনে আধুনিক এই প্রযুক্তির ব্যবহার হলে এই পতঙ্গবাহিত রোগ অনেকটাই কমতে পারে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মশার বংশ নির্বংশ হবে আশ্চর্য যে ডিভাইসে !

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৪৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১২ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে মানুষ কত কিছুই না করছে। কিন্তু মশা মারতে এসব কিছুর আর দরকার নেই, বাজারে আসছে নতুন এক ডিভাইস। যার নাম ‘স্মার্ট মস্কুইটো ডেনসিটি সিস্টেম’। এতে থাকছে অপটিক্যাল সেন্সর। এই সেন্সরের মাধ্যমে মশার প্রজননস্থল, প্রজাতি ও ঘনত্ব সম্পর্কে তথ্য চলে আসবে কর্তৃপক্ষের কাছে। এরই মধ্যে এই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রস্তাব ভারত সরকারের সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয়ে চলে গিয়েছে।

প্রস্তাব উত্থাপনকারী সংস্থার তথ্য মতে, মশা জেসব এলাকায় সব থেকে বেশী সেসব এলাকাগুলোতে এই অপটিক্যাল সেন্সর বসানো হবে। সেন্সরের মাধ্যমে পাওয়া যাবে ওই এলাকায় মশার প্রজননস্থল, ঘনত্ব ও প্রজাতি সম্পর্কে তথ্য। ফলে প্রয়োজন বিচার করে মশা নিধনে স্প্রে’র ধরনও বদল করা যাবে। ওই পদ্ধতিতে একদিকে যেমন খরচ কমবে সরকারের, অন্যদিকে মশা নিধনের ক্ষেত্রেও ওষুধের কার্যকারিতা বাড়বে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের ৯৫ শতাংশ নাগরিক ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকায় বাস করেন। সারাবিশ্বে ম্যালেরিয়াতে যত মৃত্যু হয়, তার ৫ শতাংশই হয় ভারতে। এ ছাড়াও মশাবাহিত ভাইরাস ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার সমস্যাও রয়েছে। মশা নিধনে আধুনিক এই প্রযুক্তির ব্যবহার হলে এই পতঙ্গবাহিত রোগ অনেকটাই কমতে পারে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।