শিরোনাম :
Logo করোনায় আরো একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬ Logo বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা শহরের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত, বিপর্যয়ের আশঙ্কা Logo চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু Logo গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৩৮ ফিলিস্তিনি Logo ভয়াবহ দাবানলের কারণে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ Logo কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলি: তদন্ত শেষ পর্যায়ে Logo ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৩ রানে গুটিয়ে দিয়েও অস্বস্তিতে অস্ট্রেলিয়া Logo শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর আশা প্রসিকিউসনের Logo দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মৎস্য সম্প্রসারণ বীজ উৎপাদনে সফলতা Logo শেরপুরে আমেরিকা প্রবাসী কামালের উদ্যোগে ফুটবল ক্লাব চালু; স্বপ্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার

চলে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ওপেনার রেডপাথ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:২২:০১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭২৬ বার পড়া হয়েছে

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের কিংবদন্তি ওপেনিং ব্যাটসম্যান ইয়ান রেডপাথ আর নেই। ৮৩ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ক্রিকেট মহাত্মা। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৬ টেস্ট ও ৫ ওয়ানডে খেলা রেডপাথ ছিলেন ব্যাটিংয়ে ইস্পাত-কঠিন দেয়ালের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

রেডপাথের ক্রিকেট কেরিয়ার ছিল অসাধারণ। তার প্রথম টেস্ট অভিষেক মেলবোর্নে ১৯৬৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হলেও, সেঞ্চুরি করতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৯৬৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিডনি টেস্ট পর্যন্ত। প্রথম সেঞ্চুরি করার পর রেডপাথ তার পরবর্তী সাত বছরে আরও সাতটি সেঞ্চুরি করেন। ৪৩.৪৫ গড়ে ৪ হাজার ৭৩৪ রান নিয়ে তার টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ হয়।

১৯৬৯-৭০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ওভারে ৩২ রান নেওয়ার রেকর্ডটি এখনো রেডপাথের নামের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সেই সময় তিনি অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের নিল রোসেনডর্ফের এক ওভারে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৩২ রান নিয়েছিলেন।

রেডপাথ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান এবং তার খেলার ধরন ছিল অত্যন্ত দৃঢ় ও অনমনীয়। হেলমেটবিহীন ক্রিকেটের যুগে উইকেট আঁকড়ে ধরে খেলা তাকে আলাদা করে তুলেছিল। ১৯৭৫ সালে ভিক্টোরিয়া রাজ্য থেকে এমবিই খেতাবে ভূষিত হওয়া রেডপাথ ২০২৩ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হল অব ফেমে স্থান পান।

রেডপাথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইক বেয়ার্ড, যিনি বলেন, ‘ইয়ান সবার ভালোবাসা ও সম্মান পেতেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সোনালী যুগের অন্যতম চমৎকার ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিলেন। তার মৃত্যুতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সবাই গভীর শোকাহত।’

গিলং ক্রিকেট ক্লাবও চলতি বছর তাদের স্কোরবোর্ড রেডপাথের নামে নামকরণ করেছে, যা তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি উদ্যোগ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

করোনায় আরো একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬

চলে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ওপেনার রেডপাথ

আপডেট সময় : ০১:২২:০১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের কিংবদন্তি ওপেনিং ব্যাটসম্যান ইয়ান রেডপাথ আর নেই। ৮৩ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ক্রিকেট মহাত্মা। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৬ টেস্ট ও ৫ ওয়ানডে খেলা রেডপাথ ছিলেন ব্যাটিংয়ে ইস্পাত-কঠিন দেয়ালের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

রেডপাথের ক্রিকেট কেরিয়ার ছিল অসাধারণ। তার প্রথম টেস্ট অভিষেক মেলবোর্নে ১৯৬৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হলেও, সেঞ্চুরি করতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৯৬৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিডনি টেস্ট পর্যন্ত। প্রথম সেঞ্চুরি করার পর রেডপাথ তার পরবর্তী সাত বছরে আরও সাতটি সেঞ্চুরি করেন। ৪৩.৪৫ গড়ে ৪ হাজার ৭৩৪ রান নিয়ে তার টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ হয়।

১৯৬৯-৭০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ওভারে ৩২ রান নেওয়ার রেকর্ডটি এখনো রেডপাথের নামের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সেই সময় তিনি অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের নিল রোসেনডর্ফের এক ওভারে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৩২ রান নিয়েছিলেন।

রেডপাথ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান এবং তার খেলার ধরন ছিল অত্যন্ত দৃঢ় ও অনমনীয়। হেলমেটবিহীন ক্রিকেটের যুগে উইকেট আঁকড়ে ধরে খেলা তাকে আলাদা করে তুলেছিল। ১৯৭৫ সালে ভিক্টোরিয়া রাজ্য থেকে এমবিই খেতাবে ভূষিত হওয়া রেডপাথ ২০২৩ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হল অব ফেমে স্থান পান।

রেডপাথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইক বেয়ার্ড, যিনি বলেন, ‘ইয়ান সবার ভালোবাসা ও সম্মান পেতেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সোনালী যুগের অন্যতম চমৎকার ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিলেন। তার মৃত্যুতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সবাই গভীর শোকাহত।’

গিলং ক্রিকেট ক্লাবও চলতি বছর তাদের স্কোরবোর্ড রেডপাথের নামে নামকরণ করেছে, যা তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি উদ্যোগ।