শিরোনাম :
Logo সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত Logo শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সাময়িকী  ” মুক্তবাক” এর মোড়ক উন্মোচন Logo খুলনার কয়রায় প্রায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা এবং হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ১ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড Logo জসিম সভাপতি, ফখরুল সম্পাদক দীর্ঘ ছয় বছর পর চাঁদপুর জেলা সমিতি ইউকের নির্বাচন সম্পন্ন Logo নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান Logo ইবি অভয়ারণ্যের শরৎ সম্ভাষণ: “গ্রামীণ ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও বায়োস্কোপের রঙিন আবেশ” Logo চাঁদপুর সদরের ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমেছে Logo চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত!

শরীয়তপুরে নদী রক্ষা বাঁধে ধস, হুমকির মুখে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:৫১:৫২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরে জাজিরায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড নদী রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। এছাড়াও নদী ভাঙনে শিকার হয়েছে পাইনপাড়া আহম্মদ মাঝি কান্দি এলাকার ‘মফিজুল উলূম জামে মসজিদটি’। স্থানীয়দের দাবি রাতের আধারে নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বড় ধরনের ভাঙনের আশঙ্কা করছেন তারা।

স্থানীয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে পদ্মা সেতু থেকে মাঝিরঘাট হয়ে পূর্ব নাওডোবা আলমখার কান্দি জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। আর এতে ব্যয় হয় ১১০ কোটি টাকা। গত ৩ নভেম্বর থেকে বাঁধের নাওডোবা ইউনিয়নের মাঝিরঘাট এলাকার ধস শুরু হয়। ১৬ নভেম্বর বিকেল পর্যন্ত বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার ধসে পড়ে নদীতে। এতে কংক্রিটের সিসি ব্লকগুলো তলিয়ে যায় পানিতে। এছাড়াও এলাকারটির আশপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি নদীর ওপারে পাইনপাড়া আহম্মদ মাঝি কান্দি এলাকায়  ‘মফিজুল উলূম জামে মসজিদটিও’ নদী ভাঙনে শিকার হয়েছে। মসজিদটি নদীর ভেতরে পরে আছে। তবে ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। দ্রুত সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া বাঁধ সংস্কার করা না হলে হুমকির মুখে পড়বে নদী পাড়ের অন্তত পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর বাঁধে ধস হওয়ার কারণে আতঙ্কিত নদী পাড়ের মানুষরা।

স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বাঁধটি নির্মাণের পর এই এলাকার মানুষ ভেবেছিলো নদী ভাঙ্গন থেকে মুক্তি পেয়েছে। তবে একটি চক্র রাতের আধারে বালু উত্তোলন করায় এই বাঁধে ধস নেমেছে। অতি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো এলাকা আবারো নদীতে চলে যাবে। আমরা চাই দ্রুত বাঁধটি সংস্কার করা হোক।

আমেনা বেগম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, অনেক আগে এই এলাকায় ভাঙন শুরু হলে আমরা এখান থেকে সরে যাই। পরে যখন বাঁধ নির্মাণ করা হয় আমরা আবার এখানে চলে আসি। এখন আবার নতুন করে বাঁধে ধস নেমছে। এখন যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে আবার আমাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে।

নাহিদ মাঝি নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, বাঁধ নির্মাণের পর আমরা সবাই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছি। এখন যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে আমাদের তো মনে হয় আর থাকা হবে না। আমরা যাতে এখানে বসবাস করতে পারি, সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন বনিক বলেন, খবর পেয়ে ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ভাঙন রক্ষার জন্য দ্রুত জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শরীয়তপুরে নদী রক্ষা বাঁধে ধস, হুমকির মুখে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় : ১২:৫১:৫২ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

শরীয়তপুরে জাজিরায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড নদী রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। এছাড়াও নদী ভাঙনে শিকার হয়েছে পাইনপাড়া আহম্মদ মাঝি কান্দি এলাকার ‘মফিজুল উলূম জামে মসজিদটি’। স্থানীয়দের দাবি রাতের আধারে নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বড় ধরনের ভাঙনের আশঙ্কা করছেন তারা।

স্থানীয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে পদ্মা সেতু থেকে মাঝিরঘাট হয়ে পূর্ব নাওডোবা আলমখার কান্দি জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। আর এতে ব্যয় হয় ১১০ কোটি টাকা। গত ৩ নভেম্বর থেকে বাঁধের নাওডোবা ইউনিয়নের মাঝিরঘাট এলাকার ধস শুরু হয়। ১৬ নভেম্বর বিকেল পর্যন্ত বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার ধসে পড়ে নদীতে। এতে কংক্রিটের সিসি ব্লকগুলো তলিয়ে যায় পানিতে। এছাড়াও এলাকারটির আশপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি নদীর ওপারে পাইনপাড়া আহম্মদ মাঝি কান্দি এলাকায়  ‘মফিজুল উলূম জামে মসজিদটিও’ নদী ভাঙনে শিকার হয়েছে। মসজিদটি নদীর ভেতরে পরে আছে। তবে ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। দ্রুত সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া বাঁধ সংস্কার করা না হলে হুমকির মুখে পড়বে নদী পাড়ের অন্তত পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর বাঁধে ধস হওয়ার কারণে আতঙ্কিত নদী পাড়ের মানুষরা।

স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বাঁধটি নির্মাণের পর এই এলাকার মানুষ ভেবেছিলো নদী ভাঙ্গন থেকে মুক্তি পেয়েছে। তবে একটি চক্র রাতের আধারে বালু উত্তোলন করায় এই বাঁধে ধস নেমেছে। অতি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো এলাকা আবারো নদীতে চলে যাবে। আমরা চাই দ্রুত বাঁধটি সংস্কার করা হোক।

আমেনা বেগম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, অনেক আগে এই এলাকায় ভাঙন শুরু হলে আমরা এখান থেকে সরে যাই। পরে যখন বাঁধ নির্মাণ করা হয় আমরা আবার এখানে চলে আসি। এখন আবার নতুন করে বাঁধে ধস নেমছে। এখন যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে আবার আমাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে।

নাহিদ মাঝি নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, বাঁধ নির্মাণের পর আমরা সবাই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছি। এখন যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে আমাদের তো মনে হয় আর থাকা হবে না। আমরা যাতে এখানে বসবাস করতে পারি, সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন বনিক বলেন, খবর পেয়ে ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ভাঙন রক্ষার জন্য দ্রুত জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।