শিরোনাম :
Logo আপনি কি নিঃস্বার্থ নাকি স্বার্থপর? Logo বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ মত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo সাতক্ষীরায় নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo ইবিতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়ে পরিচিতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীতে দুই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ Logo কচুয়ায় বড়দৈল গ্রামে মাদক বিরোধী গনমিছিল ও আলোচনা সভা! Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির সাংবাদিকতা বিভাগে নবীনবরণ ! Logo চাঁদপুর বড় স্টেশনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপি’র সেক্রেটারি সহ আহত ৩ : আটক-২ Logo চাঁদপুর সদরে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ! Logo জাকসু নির্বাচনের মনোনয়পত্র সংগ্রহ, বাড়লো সময়

পাকিস্তানকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা অস্ট্রেলিয়ার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:১৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৩১ বার পড়া হয়েছে

অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের দেওয়া ২০৩ রানের লক্ষ্য সহজই মনে হচ্ছিলো। কিন্তু পাকিস্তানের পেসারদের দাপটে চূড়ান্ত জয় অর্জনে বেশ বেগ পেতে হয় অজি ব্যাটারদের।

মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (৪ নভেম্বর) শুরুতে দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর স্টিভেন স্মিথ ও জশ ইংলিসের ব্যাটে সহজ জয়ের দিকেই এগোচ্ছিলো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মাঝের ওভারে স্বাগতিকদের চাপে রেখে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন হারিস রউফ।

যদিও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি সফরকারীরা। অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের দৃঢ়তায় ২ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০৩ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ৯৯ বল হাতে রেখেই সেই চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছায় অজিরা।

যদিও অজি ওপেনাররা ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। ২৮ রানের ভেতরই সাজঘরে ফেরেন ম্যাথু শর্ট (১) ও জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক (১৬)। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন স্মিথ-ইংলিশ। তাতে অজিদের জয় সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিলো। তবে ৪৬ বলে ৬ চারে ৪৪ রান করা স্মিথকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন রউফ।

ফিফটির দেখা পাননি ইংলিশও। শাহিন আফ্রিদির শিকার হয়ে ৪২ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ রানে থামেন তিনি। ২১তম ওভারে এসে পরপর দুই বলে মার্নাস লাবুশেন (১৬) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (০) তুলে নেন রউফ। কিছুটা জয়ের স্বপ্নও দেখতে থাকে সফরকারীরা।

যদিও সেই চাপ নতুন কিছু নয় কামিন্সের জন্য। টেস্ট ক্রিকেটে এভাবে ম্যাচ জেতানোর অভিজ্ঞতা আছে তার। এবার সেটা কাজে লাগালেন ওয়ানডেতেও। একপ্রান্ত আগলে রেখে ঠিকই দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৪ চারে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে ৬৭ রানে তিনটি উইকেট নেন রউফ। এছাড়া শাহিন দুটি, হাসনাইন ও নাসিম শাহর শিকার একটি করে উইকেট।

এর আগে মিচেল স্টার্কের তোপে পড়ে ২৪ রানের ভেতরই দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। অজি পেসারদের গতি ও বাউন্সের সামনে ভোগান্তি ছিল নিয়মিত, সঙ্গে অ্যাডাম জাম্পা তো ছিলেনই।

সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। পুরোনো অধিনায়ক বাবর আজম ভালো শুরু পেয়েও ফিরে যান ৪৪ বলে ৩৭ রান করে। শেষ দিকে নাসিম ৩৯ বলে ১চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রানের চমক না দেখালে ২০০ পেরোনোই মুশকিল ছিল পাকিস্তানের জন্য।

ম্যাচসেরা হন মিচেল স্টার্ক। ১০ ওভারে ৩ মেইডেনসহ ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনি ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতেন। এছাড়া দুটি করে শিকার করেন কামিন্স ও জাম্পা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আপনি কি নিঃস্বার্থ নাকি স্বার্থপর?

পাকিস্তানকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা অস্ট্রেলিয়ার

আপডেট সময় : ০৭:১৩:১৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের দেওয়া ২০৩ রানের লক্ষ্য সহজই মনে হচ্ছিলো। কিন্তু পাকিস্তানের পেসারদের দাপটে চূড়ান্ত জয় অর্জনে বেশ বেগ পেতে হয় অজি ব্যাটারদের।

মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (৪ নভেম্বর) শুরুতে দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর স্টিভেন স্মিথ ও জশ ইংলিসের ব্যাটে সহজ জয়ের দিকেই এগোচ্ছিলো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মাঝের ওভারে স্বাগতিকদের চাপে রেখে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন হারিস রউফ।

যদিও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি সফরকারীরা। অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের দৃঢ়তায় ২ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০৩ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ৯৯ বল হাতে রেখেই সেই চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছায় অজিরা।

যদিও অজি ওপেনাররা ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। ২৮ রানের ভেতরই সাজঘরে ফেরেন ম্যাথু শর্ট (১) ও জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক (১৬)। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন স্মিথ-ইংলিশ। তাতে অজিদের জয় সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিলো। তবে ৪৬ বলে ৬ চারে ৪৪ রান করা স্মিথকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন রউফ।

ফিফটির দেখা পাননি ইংলিশও। শাহিন আফ্রিদির শিকার হয়ে ৪২ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ রানে থামেন তিনি। ২১তম ওভারে এসে পরপর দুই বলে মার্নাস লাবুশেন (১৬) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (০) তুলে নেন রউফ। কিছুটা জয়ের স্বপ্নও দেখতে থাকে সফরকারীরা।

যদিও সেই চাপ নতুন কিছু নয় কামিন্সের জন্য। টেস্ট ক্রিকেটে এভাবে ম্যাচ জেতানোর অভিজ্ঞতা আছে তার। এবার সেটা কাজে লাগালেন ওয়ানডেতেও। একপ্রান্ত আগলে রেখে ঠিকই দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৪ চারে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে ৬৭ রানে তিনটি উইকেট নেন রউফ। এছাড়া শাহিন দুটি, হাসনাইন ও নাসিম শাহর শিকার একটি করে উইকেট।

এর আগে মিচেল স্টার্কের তোপে পড়ে ২৪ রানের ভেতরই দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। অজি পেসারদের গতি ও বাউন্সের সামনে ভোগান্তি ছিল নিয়মিত, সঙ্গে অ্যাডাম জাম্পা তো ছিলেনই।

সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। পুরোনো অধিনায়ক বাবর আজম ভালো শুরু পেয়েও ফিরে যান ৪৪ বলে ৩৭ রান করে। শেষ দিকে নাসিম ৩৯ বলে ১চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রানের চমক না দেখালে ২০০ পেরোনোই মুশকিল ছিল পাকিস্তানের জন্য।

ম্যাচসেরা হন মিচেল স্টার্ক। ১০ ওভারে ৩ মেইডেনসহ ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনি ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতেন। এছাড়া দুটি করে শিকার করেন কামিন্স ও জাম্পা।