জীবননগরে নকল ও ভেজাল কৃষি উপকরণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সচেতনসভা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭২৬ বার পড়া হয়েছে

জীবননগরে নকল ও ভেজাল কৃষি উপকরণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কাজী টাওয়ারের হলরুমে এই সভার আয়োজন করা হয়।

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্ব সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ। জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উদয় রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন, সিনজেনটার কর্পোরেট সিকিউরিটি ম্যানেজার মেজর (অ.) জামাল হায়দার। সভায় বক্তারা বলেন, নকল ও ভেজাল কৃষি উপকরণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চমকপ্রদ নাম ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়। লেবেলে লেখা মূল্য ও বিক্রিয় মূল্যের অনেক পার্থক্য থাকে।

এক কোম্পানির একটাই প্রোডাক্ট বাজারে থাকে। সস্তায় কৃষি পণ্য খুঁজবেন না, বাকি কিনবেন না। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, আপনাদের অবশ্যই আইন সম্পর্কে জানতে হবে। নকল ও ভেজাল পণ্য সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। নকল ও ভেজাল কৃষি উপকরণ মনে হলে কৃষি অফিসের মাধ্যমে পরীক্ষার ব্যবস্থা করাবেন। তারা আরও বলেন, ভেজাল ও নকল কৃষি উপকরণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে মাটির। এতে মাটির গুণগতমান কমে যায়। ফসলের উৎপাদন কমে যায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে।

মাছ, পশুপাখিসহ পরিবেশের ক্ষতি হয়। শুধু আইন সংস্কার বা কৃষি বা ব্যবসায়ীদের সচেতনতা করে এর প্রতিকার সম্ভব নয়। সবাই একসঙ্গে সচেতন হলেই এর প্রতিকার সম্ভব। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জীবননগর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু (এমআর বাবু)। এছাড়াও সভায় উপজেলার সার, বীজ, কীটনাশক বিক্রেতা, কৃষক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জীবননগরে নকল ও ভেজাল কৃষি উপকরণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সচেতনসভা

আপডেট সময় : ১১:৫৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

জীবননগরে নকল ও ভেজাল কৃষি উপকরণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কাজী টাওয়ারের হলরুমে এই সভার আয়োজন করা হয়।

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্ব সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ। জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উদয় রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন, সিনজেনটার কর্পোরেট সিকিউরিটি ম্যানেজার মেজর (অ.) জামাল হায়দার। সভায় বক্তারা বলেন, নকল ও ভেজাল কৃষি উপকরণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চমকপ্রদ নাম ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়। লেবেলে লেখা মূল্য ও বিক্রিয় মূল্যের অনেক পার্থক্য থাকে।

এক কোম্পানির একটাই প্রোডাক্ট বাজারে থাকে। সস্তায় কৃষি পণ্য খুঁজবেন না, বাকি কিনবেন না। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, আপনাদের অবশ্যই আইন সম্পর্কে জানতে হবে। নকল ও ভেজাল পণ্য সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। নকল ও ভেজাল কৃষি উপকরণ মনে হলে কৃষি অফিসের মাধ্যমে পরীক্ষার ব্যবস্থা করাবেন। তারা আরও বলেন, ভেজাল ও নকল কৃষি উপকরণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে মাটির। এতে মাটির গুণগতমান কমে যায়। ফসলের উৎপাদন কমে যায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে।

মাছ, পশুপাখিসহ পরিবেশের ক্ষতি হয়। শুধু আইন সংস্কার বা কৃষি বা ব্যবসায়ীদের সচেতনতা করে এর প্রতিকার সম্ভব নয়। সবাই একসঙ্গে সচেতন হলেই এর প্রতিকার সম্ভব। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জীবননগর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু (এমআর বাবু)। এছাড়াও সভায় উপজেলার সার, বীজ, কীটনাশক বিক্রেতা, কৃষক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।