শুক্রবার | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা Logo বিজয় দিবসে প্যাপিরাস পাঠাগারের আলোচনা সভা ও কবিতাপাঠ Logo বিজয় দিবসে রাঙামাটি পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পুলিশ পরিবারকে সংবর্ধনা Logo সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি আব্দুল লতিফের ৪দিন ও তার ছেলের ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপনে সিসিডিএ’র সক্রিয় অংশগ্রহণ Logo জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় চাঁদপুরে ব্র্যাকের ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান Logo রাঙামাটি জেলা পুলিশের সাইবার সাফল্য: হারানো ৫০ মোবাইল উদ্ধার, ফিরলো মালিকদের হাতে Logo চাঁদপুরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন Logo শিক্ষানুরাগী ও মানবিক সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম রনি পেলেন মিজাফ বিজয় সম্মাননা Logo জাবিতে সাংবাদিকের ওপর মব ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

আলমডাঙ্গার আট কপাট সড়কে তিন ঘন্টা ধরে ডাকাতদের তাণ্ডব

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:৪৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গার আট কপাট এলাকায় সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে শেষ রাতের দিকে তান্ডব চালিয়েছে ডাকাতদল। ঢাকা থেকে আসা যাত্রী, হাসপাতালে নেওয়া রোগীর স্বজন ও জরুরী কাজে বাড়ি থেকে বের হওয়া পথচারীদের বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও গয়নাগাটি লুটে নেয় ডাকাতরা। গত দুই মাস ধরে পুলিশের অভাবনীয় নীরবতায় নির্বিঘ্নে ডাকাতরা ওই তান্ডব চালানোর সাহস পেয়েছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

ডাকাতের কবলে পড়া ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৩ টা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত ডাকাতদল দীর্ঘসময় ধরে আটকপাট এলাকায় অবস্থান করে। তারা একটি মেহগনি গাছ কেটে সড়কে ব্যারিকেট দেয়। রাত সাড়ে ৩ টা থেকে ভোর পর্যন্ত যারাই ওই সড়ক ধরে যাওয়া-আসার চেষ্টা করেছে তারাই ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে।

রাত সাড়ে ৩ টার দিকে প্রথম ডাকাতের কবলে পড়েন বেলগাছি গ্রামের মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে তাসমান। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাসমানের গর্ভবতী মেয়ে সুলতানার প্রসব বেদনা ওঠে। উপায়ন্তর না পেয়ে বেদনাকাতর মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিবেশী হাসানের ভ্যানে করে আলমডাঙ্গার ক্লিনিকে আসছিলেন। আটকপাট এলাকায় পৌঁছলে তারা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতরা তাসমান ও ভ্যানচালক হাসানকে বেদম পিটিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। একইসময় তাসমানের স্ত্রীর কানের ও হাতের গয়না কেড়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।

এরপর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে ডাকাতদলের কবলে পড়েন পাঁচলিয়া গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে বেলাল। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে গভীর রাতে ট্রেন থেকে আলমডাঙ্গায় নামেন। দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে বসে থেকে রাত ৪ টার পর ভ্যানে করে পাঁচলিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। আটকপাট এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতরা প্রথমে বেলাল ও ভ্যানচালককে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এরপর গামছা দিয়ে বেলালের মুখ বেঁধে ফেলে। একটি অসমর্থিত সূত্র বলেছে, এসময় ডাকাতরা বেলাল ও তার স্ত্রীকে আলাদা করে ফেলে। তবে এব্যাপারে বেলাল মুখ খোলেননি।

সবশেষে ডাকাতের কবলে পড়েন হাউসপুর গ্রামের রহমানের ছেলে কশাই শরিফুল ইসলাম। তিনি ভোরের দিকে আসাদুল নামের একজনের ভ্যানে করে বেলগাছি গ্রামে যাচ্চিলেন গরু কিনতে। তিনিও ডাকাতের কবলে পড়েন। তাকেও মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর পরই সকাল হলে ডাকাতরা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। সেইসাথে আলমডাঙ্গা-বেলগাছি সড়কের আটকপাটে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে চলা ডাকাতদের তান্ডব থামে।

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে সর্বোচ্চ একক রেমিট্যান্সে শীর্ষে জনতা ব্যাংক পিএলসি নতুন বাজার কর্পোরেট শাখা

আলমডাঙ্গার আট কপাট সড়কে তিন ঘন্টা ধরে ডাকাতদের তাণ্ডব

আপডেট সময় : ১২:০৭:৪৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার আট কপাট এলাকায় সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে শেষ রাতের দিকে তান্ডব চালিয়েছে ডাকাতদল। ঢাকা থেকে আসা যাত্রী, হাসপাতালে নেওয়া রোগীর স্বজন ও জরুরী কাজে বাড়ি থেকে বের হওয়া পথচারীদের বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও গয়নাগাটি লুটে নেয় ডাকাতরা। গত দুই মাস ধরে পুলিশের অভাবনীয় নীরবতায় নির্বিঘ্নে ডাকাতরা ওই তান্ডব চালানোর সাহস পেয়েছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

ডাকাতের কবলে পড়া ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৩ টা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত ডাকাতদল দীর্ঘসময় ধরে আটকপাট এলাকায় অবস্থান করে। তারা একটি মেহগনি গাছ কেটে সড়কে ব্যারিকেট দেয়। রাত সাড়ে ৩ টা থেকে ভোর পর্যন্ত যারাই ওই সড়ক ধরে যাওয়া-আসার চেষ্টা করেছে তারাই ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে।

রাত সাড়ে ৩ টার দিকে প্রথম ডাকাতের কবলে পড়েন বেলগাছি গ্রামের মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে তাসমান। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাসমানের গর্ভবতী মেয়ে সুলতানার প্রসব বেদনা ওঠে। উপায়ন্তর না পেয়ে বেদনাকাতর মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিবেশী হাসানের ভ্যানে করে আলমডাঙ্গার ক্লিনিকে আসছিলেন। আটকপাট এলাকায় পৌঁছলে তারা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতরা তাসমান ও ভ্যানচালক হাসানকে বেদম পিটিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। একইসময় তাসমানের স্ত্রীর কানের ও হাতের গয়না কেড়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।

এরপর রাত সাড়ে ৪ টার দিকে ডাকাতদলের কবলে পড়েন পাঁচলিয়া গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে বেলাল। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে গভীর রাতে ট্রেন থেকে আলমডাঙ্গায় নামেন। দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে বসে থেকে রাত ৪ টার পর ভ্যানে করে পাঁচলিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। আটকপাট এলাকায় পৌঁছলে ডাকাতরা প্রথমে বেলাল ও ভ্যানচালককে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এরপর গামছা দিয়ে বেলালের মুখ বেঁধে ফেলে। একটি অসমর্থিত সূত্র বলেছে, এসময় ডাকাতরা বেলাল ও তার স্ত্রীকে আলাদা করে ফেলে। তবে এব্যাপারে বেলাল মুখ খোলেননি।

সবশেষে ডাকাতের কবলে পড়েন হাউসপুর গ্রামের রহমানের ছেলে কশাই শরিফুল ইসলাম। তিনি ভোরের দিকে আসাদুল নামের একজনের ভ্যানে করে বেলগাছি গ্রামে যাচ্চিলেন গরু কিনতে। তিনিও ডাকাতের কবলে পড়েন। তাকেও মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর পরই সকাল হলে ডাকাতরা স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। সেইসাথে আলমডাঙ্গা-বেলগাছি সড়কের আটকপাটে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে চলা ডাকাতদের তান্ডব থামে।

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।