শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

জবি ক্যাফেটেরিয়ায় ৭ লাখ টাকা বকেয়া রেখে লাপাত্তা ছাত্রলীগ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭২২ বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়ায় গত তিন বছরে জবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাকি খেয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো.মাসুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

মাসুদ জানান, গত তিন বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যান্টিন থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকার মতো ফাও খেয়েছে। পরবর্তীতে আর টাকা দেয়নি। এখন তাদের সবাই পলাতক। ক্যাম্পাসে আসেন না।

ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক জানায়, ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা। এছাড়াও বাকির হিসেবে নাম রয়েছে ছাত্রলীগের আরো অন্তত পাচঁ নেতা-কর্মীদের নামে। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির মাই ম্যান খ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসানের গ্রুপ লিডার খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫ হাজার টাকা। সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরো দুই নেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে ১২ হাজার টাকা ও ৯ হাজার টাকা। ছাত্রলীগের এই সাত নেতাকর্মীদের নামেই বাকি সর্বমোট ৬ লাখ ৪১হাজার টাকা। এছাড়া অনেকে বাকি খেলেও হিসাব নেই তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মো.মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন বাকি খেয়েছে তারা। টাকা দেবে দেবে করে আর দেয়নি। এর বাইরে আরো অনেকে আছে যারা টুকটাক খেয়েছে, তার হিসাব নেই। খেয়ে তারা টাকা ফিতো না, আবার খাবার দিতে দেরি হলেও ক্যান্টিনের ওয়েটাদের মারধরও করেছে সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন।

তিনি আরো বলেন, এদিকে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা, মাসে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো আছেই। তার উপর এতো টাকা বাকি। যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি, সেখানেও আমার ধার করে কেনা লাগে। এতো টাকা এখন কিভাবে উঠাবো আর কিভাবে আমি এই লস পূরণ করব?

এবিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

জবি ক্যাফেটেরিয়ায় ৭ লাখ টাকা বকেয়া রেখে লাপাত্তা ছাত্রলীগ

আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়ায় গত তিন বছরে জবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাকি খেয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো.মাসুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

মাসুদ জানান, গত তিন বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যান্টিন থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকার মতো ফাও খেয়েছে। পরবর্তীতে আর টাকা দেয়নি। এখন তাদের সবাই পলাতক। ক্যাম্পাসে আসেন না।

ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক জানায়, ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা। এছাড়াও বাকির হিসেবে নাম রয়েছে ছাত্রলীগের আরো অন্তত পাচঁ নেতা-কর্মীদের নামে। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির মাই ম্যান খ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা।

এছাড়া সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসানের গ্রুপ লিডার খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫ হাজার টাকা। সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরো দুই নেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে ১২ হাজার টাকা ও ৯ হাজার টাকা। ছাত্রলীগের এই সাত নেতাকর্মীদের নামেই বাকি সর্বমোট ৬ লাখ ৪১হাজার টাকা। এছাড়া অনেকে বাকি খেলেও হিসাব নেই তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মো.মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন বাকি খেয়েছে তারা। টাকা দেবে দেবে করে আর দেয়নি। এর বাইরে আরো অনেকে আছে যারা টুকটাক খেয়েছে, তার হিসাব নেই। খেয়ে তারা টাকা ফিতো না, আবার খাবার দিতে দেরি হলেও ক্যান্টিনের ওয়েটাদের মারধরও করেছে সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন।

তিনি আরো বলেন, এদিকে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা, মাসে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো আছেই। তার উপর এতো টাকা বাকি। যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি, সেখানেও আমার ধার করে কেনা লাগে। এতো টাকা এখন কিভাবে উঠাবো আর কিভাবে আমি এই লস পূরণ করব?

এবিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।