নিউজ ডেস্ক:
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে দলীয় অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বল তুলে দেন পেসার শুভাশিষ রায়ের হাতে। চতুর্থ বলেই উপুল থারাঙ্গাকে ৫ রানে ফিরিয়ে দিয়ে টাইগার শিবিরকে উল্লাসে মাতান তিনি। পরের বলে আবারও আউট! এবার ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস। টানা দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার শঙ্কায় বল ব্যাটে লেগেছে কিনা এই ভেবে রিভিউয়ের আবেদন করেন মেন্ডিস। কিন্তু বল ব্যাটে লাগলেও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বোলিংয়ের সময় পা দাগের বাইরে পড়েছে শুভাশিসের—নো বল! নিশ্চিত আউট থেকে বেঁচে যান মেন্ডিস। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সেই মেন্ডিসই দিনভর বাংলাদেশি বোলারদের ভোগালেন। শুধু ভোগালে বললে ভুল হবে, শূন্য রানের জীবন পাওয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এখন বাংলাদেশের পথের কাঁটা। অপরাজিত আছেন ১৬৬ রানে। আর তার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান তুলে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা।
মঙ্গলবার গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান দলপতি রঙ্গনা হেরাথ। প্রথম সেশনে ২৪ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ৬১ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় লক্ষানরা। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে উপুল থারাঙ্গার (৪) স্ট্যাম্প ভেঙে ব্রেকথ্রু এনে দেন পেসার শুভাশিষ। দলীয় ১৫ রানে থারাঙ্গার বিদায়ে মেন্ডিসকে নিয়ে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন ওপেনার করুনারাত্নে। ২৩তম ওভারে দু’জনের ৪৫ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন উঠতি তারকা স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন করুনারাত্নে (৩০)
পরে দিনেশ চান্দিমালকে (৫৪ বলে ৫) ফিরিয়ে উইকেট উদযাপনে মাতেন দীর্ঘদিন পর টেস্টে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমান। ৯২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৪০তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন প্রস্তুতি ম্যাচে ভোগানো চান্দিমাল (৫৪ বলে ৫)। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে দু’দিনের (২-৩ মার্চ) একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটিতে চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে ১৯০ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন চান্দিমাল।
পরে দলীয় ২৮৮ রানের মাথায় গুনারাত্নে ব্যক্তিগত ৮৫ রানে তাসকিনের বলে বোল্ড হন। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি দলটি। ৮৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রানে দিন পার করে লঙ্কানরা। ১৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন মেন্ডিস। তার ২৪২ বলের ইনিংসটি ছিল ১৮টি চার আর দুটি ছক্কায়। ১৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন নিরোশান ডিকওয়েলা।