সোমবার | ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ Logo ইবিতে প্রশাসনের কমিটি থেকে পদত্যাগ বিএনপিপন্থী ৩ শিক্ষকের Logo খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা প্রত্যাশায় কয়রায় বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  Logo পলাশবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মীর চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে জামায়াত নেতা আহত Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo নোবিপ্রবিতে শিবিরের ‘রান ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ভোমরায় বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার Logo জীবননগর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি মানিক, সম্পাদক রিপন

মোদিকে এখন মানুষ ভয় পায় না: রাহুল গান্ধী

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

এবারের লোকসভা নির্বাচনের পর মোদিকে এখন আর মানুষ ভয় পায় না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, লোকসভা ভোটের পর দেশের মানুষের ভয় কেটে গেছে। নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে মানুষ এখন আর ভয় পায় না। সংবিধান, ধর্ম ও বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলোর ওপর আক্রমণও মানুষ আর বরদাশত করছে না।

চার দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ডালাসে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এক সমাবেশে গতকাল রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) তিনি যোগ দেন। সেখানে তিনি বলেন, বিজেপির আদর্শ বাঁধা আরএসএসের কাছে, যারা বিশ্বাস করে, ভারত মানে এক আদর্শ। কিন্তু কংগ্রেসের চিরায়ত বিশ্বাস, ভারত বহু মত, বহু আদর্শের সমাহার। কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি-আরএসএসের লড়াই এ নিয়েই। বহুত্ববাদ বনাম একদর্শী মতবাদ। এটা বিচারধারার লড়াই।

সেই লড়াইয়ের ফল কেমন, সেটাও রাহুল ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর যখন দেখা গেল বিজেপি সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতা পায়নি, সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে ভয় পাওয়া উধাও হয়ে গেল। এর কৃতিত্ব দেশের জনগণের। ফল প্রকাশের পরেই মানুষ ঠিক করে ফেলে, তারা বিজেপিকে ভয় পাবে না। প্রধানমন্ত্রীকে ভয় পাবে না। সংবিধানের ওপর আক্রমণ মেনে নেবে না। ’

কয়েক বছর ধরে রাহুল নিয়মিতভাবে আক্রমণ করে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন নীতিকে। বিজেপির ‘ঘৃণার রাজনীতিকে’। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানিকে। যুক্তরাষ্ট্র সফরেও তিনি সেই আক্রমণ অব্যাহত রেখেছেন। ডালাসের ওই সমাবেশে ছাত্রছাত্রী প্রশ্ন করেছিলেন, ভারতে শ্রমবাজারে নারীর উপস্থিতি এত কম কেন। উত্তরে রাহুল সরাসরি দায়ী করেন আরএসএসের নীতিকে, বিজেপি যা অনুসরণ করে চলে।

তিনি বলেন, ‘আরএসএস-বিজেপির অনুসৃত নীতি এ জন্য অনেকটাই দায়ী। হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠন ও দল মনে করে, নারীদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকা উচিত সংসারে। তারা ঘরে থাকবেন। রান্নাবান্না করবেন। সন্তান লালন–পালন করবেন। কিন্তু কংগ্রেস মনে করে, পুরুষদের মতো নারীরাও সমানভাবে এগোবেন। উচ্চাকাঙ্ক্ষী হবেন। নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করবেন। লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে চলবেন। বিজেপির এ মনোভাবই শ্রমবাজারে নারী উপস্থিতি কমের কারণ। ’

এরপর ভারতের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে রাহুলের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘একসময় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ছিল উৎপাদনের কেন্দ্র। ক্রমেই জাপান, কোরিয়া সেদিকে নজর দেয়। এখন তার বেশিটা চলে গেছে চীনে। তারাই উৎপাদনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

আর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ভারত তা চীনের হাতে তুলে দিয়েছে। কর্মসংস্থান বাড়াতে গেলে উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে। শুধু মুখে বললে হবে না। তা হলে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশিদের কাছে তা একচেটিয়া হয়ে যাবে। রাহুল বলেন, দক্ষতাকে সম্মান দিয়ে উৎপাদনের দিকে এগোলে ভারতও চীনের মোকাবিলা করতে পারবে। তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র তা দেখিয়েও দিয়েছে। ’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী  গণসংযোগ

মোদিকে এখন মানুষ ভয় পায় না: রাহুল গান্ধী

আপডেট সময় : ০৬:০৮:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এবারের লোকসভা নির্বাচনের পর মোদিকে এখন আর মানুষ ভয় পায় না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, লোকসভা ভোটের পর দেশের মানুষের ভয় কেটে গেছে। নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে মানুষ এখন আর ভয় পায় না। সংবিধান, ধর্ম ও বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলোর ওপর আক্রমণও মানুষ আর বরদাশত করছে না।

চার দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ডালাসে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এক সমাবেশে গতকাল রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) তিনি যোগ দেন। সেখানে তিনি বলেন, বিজেপির আদর্শ বাঁধা আরএসএসের কাছে, যারা বিশ্বাস করে, ভারত মানে এক আদর্শ। কিন্তু কংগ্রেসের চিরায়ত বিশ্বাস, ভারত বহু মত, বহু আদর্শের সমাহার। কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি-আরএসএসের লড়াই এ নিয়েই। বহুত্ববাদ বনাম একদর্শী মতবাদ। এটা বিচারধারার লড়াই।

সেই লড়াইয়ের ফল কেমন, সেটাও রাহুল ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর যখন দেখা গেল বিজেপি সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতা পায়নি, সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে ভয় পাওয়া উধাও হয়ে গেল। এর কৃতিত্ব দেশের জনগণের। ফল প্রকাশের পরেই মানুষ ঠিক করে ফেলে, তারা বিজেপিকে ভয় পাবে না। প্রধানমন্ত্রীকে ভয় পাবে না। সংবিধানের ওপর আক্রমণ মেনে নেবে না। ’

কয়েক বছর ধরে রাহুল নিয়মিতভাবে আক্রমণ করে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন নীতিকে। বিজেপির ‘ঘৃণার রাজনীতিকে’। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানিকে। যুক্তরাষ্ট্র সফরেও তিনি সেই আক্রমণ অব্যাহত রেখেছেন। ডালাসের ওই সমাবেশে ছাত্রছাত্রী প্রশ্ন করেছিলেন, ভারতে শ্রমবাজারে নারীর উপস্থিতি এত কম কেন। উত্তরে রাহুল সরাসরি দায়ী করেন আরএসএসের নীতিকে, বিজেপি যা অনুসরণ করে চলে।

তিনি বলেন, ‘আরএসএস-বিজেপির অনুসৃত নীতি এ জন্য অনেকটাই দায়ী। হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠন ও দল মনে করে, নারীদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকা উচিত সংসারে। তারা ঘরে থাকবেন। রান্নাবান্না করবেন। সন্তান লালন–পালন করবেন। কিন্তু কংগ্রেস মনে করে, পুরুষদের মতো নারীরাও সমানভাবে এগোবেন। উচ্চাকাঙ্ক্ষী হবেন। নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করবেন। লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে চলবেন। বিজেপির এ মনোভাবই শ্রমবাজারে নারী উপস্থিতি কমের কারণ। ’

এরপর ভারতের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে রাহুলের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘একসময় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ছিল উৎপাদনের কেন্দ্র। ক্রমেই জাপান, কোরিয়া সেদিকে নজর দেয়। এখন তার বেশিটা চলে গেছে চীনে। তারাই উৎপাদনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

আর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ভারত তা চীনের হাতে তুলে দিয়েছে। কর্মসংস্থান বাড়াতে গেলে উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে। শুধু মুখে বললে হবে না। তা হলে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশিদের কাছে তা একচেটিয়া হয়ে যাবে। রাহুল বলেন, দক্ষতাকে সম্মান দিয়ে উৎপাদনের দিকে এগোলে ভারতও চীনের মোকাবিলা করতে পারবে। তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র তা দেখিয়েও দিয়েছে। ’