মঙ্গলবার | ৪ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo বুটেক্সে গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড জয়ী ড. আব্বাস উদ্দিন শায়ককে সংবর্ধনা Logo ভিপি নূর দিনাজপুরে আগমন সফল করার লক্ষ্যে আলোচনা সভা Logo নির্বাচনকালে সংবাদ প্রচারে নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখার আহ্বান Logo নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করেছে সরকার: প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী Logo চাঁদপুর তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo ভ্যান গাড়িতে ব্যতিক্রমী প্রচারণায় নায়ক রাসেল মিয়া। Logo চুয়াডাঙ্গা ১ ও ২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা শরীফুজ্জামান শরীফ | মাহমুদ হাসান খান বাবু Logo নোবিপ্রবিতে ডিএলএইচসি’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত Logo ইবিতে শিক্ষকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কেটিং বিভাগের মানববন্ধন Logo ইবিতে থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিনের দায়িত্ব হস্তান্তর!

জৌলুস হারিয়েছে দর্শনা কেরুজ হাসপাতাল, নেই জনবল-ওষুধ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৪৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিজিস্ব প্রতিবেদকঃ

দর্শনা কেরুজ ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল ১৯৩৫ সালে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ হাসপাতালটির এক সময় জৌলুস ছিল। ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসক, নার্স ও ওষুধ পাওয়া যেত। তখন কেরুজ শ্রমিক, কর্মচারী ও এলাকার আখচাষি পরিবারের সদস্যরা সুচিকিৎসা নিয়েছে। আবার ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সও থাকত। তবে এখন প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও চলছে ঢিলেঢালাভাবে।

সরেজমিতে দেখা যায়, নানা সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালটি ধুকে ধুকে চলছে। একতলা এ হাসপাতালে ২০টি বেডের মধ্যে বর্তমানে ১৫টি বেড রয়েছে। ৩ জন ডাক্তার থাকার কথা। তবে সেখানে ছিল শাহিনুর হায়দার নামের একজন। তিনি ৪ ঘণ্টার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কাজ করছেন। ৩ শিফটের জন্য ৩ জন নার্স থাকার কথা। তবে সেখানে ২ জন নার্স রয়েছেন। এছাড়া দুজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বদলে ২ জন কাজ করছেন। রাতে কোনো পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকে না। এতে রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

এছাড়া প্রয়োজন রয়েছে ১ জন সার্জিক্যাল ডাক্তার, ১ জন মিডওয়াইফ, ১ জন ওয়ার্ডবয় ও একটি জরুরি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া হাসপাতালটি রঙ করা ও বাউন্ডারি প্রাচীর দেওয়া জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

হাসপাতালের নার্স কুলছুম খাতুন বলনে, ‘আমরা দুজন নার্স ১৪ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের কোনো উন্নতি বা বাড়তি বেতন-ভাতা বৃদ্ধি হয়নি।’
হাসপাতালের চিকিৎসক শাহিনুর হায়দার বলেন, আমি ২০২১ সালে অবসরে গিয়েছি। এরপর ১ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক প্রতিদিন ৪ ঘণ্টার চিকিৎসা দিয়ে থাকি।

এ বিষয়ে কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। এটা একমাত্র চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের এখতিয়ার। আমরা বিভিন্ন সময় লিখিত আকারে চিনি ও খাদ্য করপোরেশনে জানিয়েছি। সারা দেশের চিনিকলের হাসপাতালে মাত্র ৩ জন ডাক্তার আছে। এ ব্যাপারে তারা উদ্যোগ নিতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বুটেক্সে গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড জয়ী ড. আব্বাস উদ্দিন শায়ককে সংবর্ধনা

জৌলুস হারিয়েছে দর্শনা কেরুজ হাসপাতাল, নেই জনবল-ওষুধ

আপডেট সময় : ১২:৪২:৪৮ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪

নিজিস্ব প্রতিবেদকঃ

দর্শনা কেরুজ ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল ১৯৩৫ সালে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ হাসপাতালটির এক সময় জৌলুস ছিল। ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসক, নার্স ও ওষুধ পাওয়া যেত। তখন কেরুজ শ্রমিক, কর্মচারী ও এলাকার আখচাষি পরিবারের সদস্যরা সুচিকিৎসা নিয়েছে। আবার ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সও থাকত। তবে এখন প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও চলছে ঢিলেঢালাভাবে।

সরেজমিতে দেখা যায়, নানা সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালটি ধুকে ধুকে চলছে। একতলা এ হাসপাতালে ২০টি বেডের মধ্যে বর্তমানে ১৫টি বেড রয়েছে। ৩ জন ডাক্তার থাকার কথা। তবে সেখানে ছিল শাহিনুর হায়দার নামের একজন। তিনি ৪ ঘণ্টার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কাজ করছেন। ৩ শিফটের জন্য ৩ জন নার্স থাকার কথা। তবে সেখানে ২ জন নার্স রয়েছেন। এছাড়া দুজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বদলে ২ জন কাজ করছেন। রাতে কোনো পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকে না। এতে রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

এছাড়া প্রয়োজন রয়েছে ১ জন সার্জিক্যাল ডাক্তার, ১ জন মিডওয়াইফ, ১ জন ওয়ার্ডবয় ও একটি জরুরি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া হাসপাতালটি রঙ করা ও বাউন্ডারি প্রাচীর দেওয়া জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

হাসপাতালের নার্স কুলছুম খাতুন বলনে, ‘আমরা দুজন নার্স ১৪ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের কোনো উন্নতি বা বাড়তি বেতন-ভাতা বৃদ্ধি হয়নি।’
হাসপাতালের চিকিৎসক শাহিনুর হায়দার বলেন, আমি ২০২১ সালে অবসরে গিয়েছি। এরপর ১ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক প্রতিদিন ৪ ঘণ্টার চিকিৎসা দিয়ে থাকি।

এ বিষয়ে কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। এটা একমাত্র চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের এখতিয়ার। আমরা বিভিন্ন সময় লিখিত আকারে চিনি ও খাদ্য করপোরেশনে জানিয়েছি। সারা দেশের চিনিকলের হাসপাতালে মাত্র ৩ জন ডাক্তার আছে। এ ব্যাপারে তারা উদ্যোগ নিতে পারে।