শিরোনাম :
Logo বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা Logo সিন্ডিকেটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo ফিটনেসবিহীন কুবির বিআরটিসি বাসে আগুন Logo চাঁদপুরে টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo খুুবি উপাচার্যের সাথে হিট প্রজেক্টপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মতবিনিময় Logo চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিটি স্তরে সেবা গ্রহীতাদের স্বস্তি Logo নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন  Logo নারী হেনস্থা ও সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ Logo চাঁদপুর মডেল থানায় ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo ইবি’র দুই নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে কমিটি পুনর্গঠন

বানর ছাড়াও মাঙ্কিপক্স ছড়ায় যেসব প্রাণী থেকে

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:০১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৩৬ বার পড়া হয়েছে

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এক আতঙ্কের নাম মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স। সংক্রামক এ রোগটি নিয়ে সতর্ক বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে প্রথম এ রোগ দেখা দেয়। পরে ছড়িয়ে পড়ে একই মহাদেশের বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, কেনিয়া হয়ে ইউরোপের সুইডেনে।

সম্প্রতি এশিয়ার দেশ পাকিস্তানেও মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত হয়। এতে উদ্বেগ বেড়ে যায় এশিয়াজুড়ে।

সংক্রমণের মাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ২০২২ সালের পর মাঙ্কিপক্স নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ডব্লিউএইচও এই সতর্কতা জারি করল।

মাঙ্কিপক্স নামটা শুনে বানরের কথা মনে হলেও ভাইরাসটি আসলে সংক্রমিত হয় ইঁদুর, বন্য কুকুর, কাঠবিড়ালি, বানর ও খরগোশের শরীর থেকে। সর্বপ্রথম এটি একটি বানরের শরীরে আবিষ্কার হয় বলে এমন নামকরণ।

মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। ত্বকের ফোসকা সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা দেওয়ার এক থেকে চার দিন আগে থেকেই অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে এটির প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবে অন্তত ৪৫০ জন মারা গেছেন।

মাঙ্কিপক্স এখন মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগের একটি নতুন ধরন যেভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, সেই বিষয়ে এবং এর উচ্চ মৃত্যুহার নিয়ে বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, আফ্রিকা ও এর বাইরের দেশগুলোতে এমপক্স আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ‘খুবই উদ্বেগজনক’।

এ রোগের উপসর্গ ফ্লুর মতো। এতে ত্বকের ক্ষত তৈরি হয় এবং তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। আক্রান্ত ১০০ জনের মধ্যে মারা যেতে পারেন চারজন।

এমপক্সের দুটি প্রধান ধরন ক্লেড ১ ও ক্লেড ২। ইতোপূর্বে ২০২২ সালে এমপক্স নিয়ে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল স্বাস্থ্য সংস্থা। ক্লেড ২ ধরনের তুলনামূলক মৃদু সংক্রমণে জারি করা হয়েছিল এ জরুরি অবস্থা। তবে এখন আরও বেশি প্রাণঘাতী ক্লেড ১-এর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। ইতোপূর্বে এ ধরনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ১০ শতাংশ পর্যন্ত। এখন মৃত্যুহারও বাড়ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাধাগ্রস্ত করার যে চেষ্টাই হোক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

বানর ছাড়াও মাঙ্কিপক্স ছড়ায় যেসব প্রাণী থেকে

আপডেট সময় : ১১:০৮:০১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৮ আগস্ট ২০২৪

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এক আতঙ্কের নাম মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স। সংক্রামক এ রোগটি নিয়ে সতর্ক বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে প্রথম এ রোগ দেখা দেয়। পরে ছড়িয়ে পড়ে একই মহাদেশের বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, কেনিয়া হয়ে ইউরোপের সুইডেনে।

সম্প্রতি এশিয়ার দেশ পাকিস্তানেও মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত হয়। এতে উদ্বেগ বেড়ে যায় এশিয়াজুড়ে।

সংক্রমণের মাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ২০২২ সালের পর মাঙ্কিপক্স নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ডব্লিউএইচও এই সতর্কতা জারি করল।

মাঙ্কিপক্স নামটা শুনে বানরের কথা মনে হলেও ভাইরাসটি আসলে সংক্রমিত হয় ইঁদুর, বন্য কুকুর, কাঠবিড়ালি, বানর ও খরগোশের শরীর থেকে। সর্বপ্রথম এটি একটি বানরের শরীরে আবিষ্কার হয় বলে এমন নামকরণ।

মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। ত্বকের ফোসকা সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা দেওয়ার এক থেকে চার দিন আগে থেকেই অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে এটির প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবে অন্তত ৪৫০ জন মারা গেছেন।

মাঙ্কিপক্স এখন মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগের একটি নতুন ধরন যেভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, সেই বিষয়ে এবং এর উচ্চ মৃত্যুহার নিয়ে বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, আফ্রিকা ও এর বাইরের দেশগুলোতে এমপক্স আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ‘খুবই উদ্বেগজনক’।

এ রোগের উপসর্গ ফ্লুর মতো। এতে ত্বকের ক্ষত তৈরি হয় এবং তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। আক্রান্ত ১০০ জনের মধ্যে মারা যেতে পারেন চারজন।

এমপক্সের দুটি প্রধান ধরন ক্লেড ১ ও ক্লেড ২। ইতোপূর্বে ২০২২ সালে এমপক্স নিয়ে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল স্বাস্থ্য সংস্থা। ক্লেড ২ ধরনের তুলনামূলক মৃদু সংক্রমণে জারি করা হয়েছিল এ জরুরি অবস্থা। তবে এখন আরও বেশি প্রাণঘাতী ক্লেড ১-এর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। ইতোপূর্বে এ ধরনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল ১০ শতাংশ পর্যন্ত। এখন মৃত্যুহারও বাড়ছে।