শিরোনাম :
Logo জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo শ্রীরাধার প্রেম ও প্রার্থনায় মুখর ইবির টিএসএসসি প্রাঙ্গণ Logo চবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ Logo রাকসু নিয়ে উত্তেজনা ; বক্তব্য দেওয়ার সময় শিবির সভাপতির বুকে বোতল নিক্ষেপ Logo মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পানির ফিল্টার দিলেন স্বেচ্ছাসেবী নারী উদ্যোক্তা সংগঠন বিজয়ী Logo চাঁদপুরে মাদক নির্মূলে সাহসিকতার সাথে কাজ করছে সহকারী পরিচালক মুহাঃ মিজানুর রহমান Logo পশ্চিম ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা – ঐক্যবদ্ধভাবে মিলনকে এমপি করার অঙ্গীকার Logo ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo খুবিতে প্রথম আলো বন্ধুসভা ও খুবিসাস আয়োজিত কর্মশালা Logo কচুয়ার পূর্ব বিতারা জামালিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসায় ছাত্রদের সবক প্রদান ও দোয়া মাহফিল

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশি স্বাস্থ্যসেবার ভূয়সী প্রশংসা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

কোটা সংষ্কার আন্দোলনের এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একদফা ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তখন সারাদেশে তৈরি হয় এক অস্থির পরিস্থিতি। তখন সংঘর্ষে প্রচুর মানুষ হতাহত হয়। অফিস, আদালতসহ সব ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ওই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছিল দেশের সরকারী বেসরকারী হাসপাতালগুলো।

চিকিৎসক, নার্সগণ জীবন বাজী রেখে তাদের স্বাস্থ্যসেবা অব্যহত রেখেছিল। এই বিষয়টির প্রশংসা করে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা ‌’ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’। সেখানে বাংলাদেশী স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ওই সময় স্বাস্থ্যসেবা পেশাদাররা সর্বশ্রেষ্ঠ পরিষেবা প্রদান করেছিল। স্বাস্থ্যসেবা পেশাদাররা শপথ মেনে সব ধরণের প্রশ্ন এবং উদ্বেগের ঊর্ধ্বে উঠে তাদের চিকিৎসাসেবা বহাল রেখেছিলেন। সরকারি হাসপাতালের বেশির ভাগ কর্মীরা স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার পরও আহতদের যত্নসেবা দিতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই থেকে গিয়েছিলেন। বেশিরভাগ প্রাইভেট হাসপাতাল টাকা না নিয়ে রোগীদের সেবার দিকে বেশি মনোযোগ দেয়।

বাংলাদেশী তরুণ চিকিৎসক, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. মারুফ হাসানের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের প্রতিবেদন তৈরি করে। সেখানে মারুফ হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ইতিহাসে আমরা এত বেশি সংখ্যক হতাহত রোগীর সম্মুখীন হইনি। জটিলভাবে আহত হওয়া এসব রোগীদের চিকিৎসা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর জন্যও উদ্বেগের বিষয় ছিল। ‘

অবরোধ ও কারফিউ চলাকালীন রোগীদের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রমের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সব স্তরের চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেলের শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীগণ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন সংকটকালীন এই মহান সেবায়। ‘

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশিরভাগ মারাত্বক আঘাত বা ক্ষতের প্রধান কারণ ছিল গুলি। যদিও শুরুর দিকে আন্দোলন দমাতে পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করেছিল। পরবর্তীতে বুলেট ব্যবহার করা হয়। আনুমানিক ৪ থেকে ৫শ মানুষ মারা গেলেও আহতের সংখ্যা অগুণতি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশি স্বাস্থ্যসেবার ভূয়সী প্রশংসা

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৬ আগস্ট ২০২৪

কোটা সংষ্কার আন্দোলনের এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একদফা ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তখন সারাদেশে তৈরি হয় এক অস্থির পরিস্থিতি। তখন সংঘর্ষে প্রচুর মানুষ হতাহত হয়। অফিস, আদালতসহ সব ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ওই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছিল দেশের সরকারী বেসরকারী হাসপাতালগুলো।

চিকিৎসক, নার্সগণ জীবন বাজী রেখে তাদের স্বাস্থ্যসেবা অব্যহত রেখেছিল। এই বিষয়টির প্রশংসা করে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা ‌’ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’। সেখানে বাংলাদেশী স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ওই সময় স্বাস্থ্যসেবা পেশাদাররা সর্বশ্রেষ্ঠ পরিষেবা প্রদান করেছিল। স্বাস্থ্যসেবা পেশাদাররা শপথ মেনে সব ধরণের প্রশ্ন এবং উদ্বেগের ঊর্ধ্বে উঠে তাদের চিকিৎসাসেবা বহাল রেখেছিলেন। সরকারি হাসপাতালের বেশির ভাগ কর্মীরা স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার পরও আহতদের যত্নসেবা দিতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই থেকে গিয়েছিলেন। বেশিরভাগ প্রাইভেট হাসপাতাল টাকা না নিয়ে রোগীদের সেবার দিকে বেশি মনোযোগ দেয়।

বাংলাদেশী তরুণ চিকিৎসক, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. মারুফ হাসানের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের প্রতিবেদন তৈরি করে। সেখানে মারুফ হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ইতিহাসে আমরা এত বেশি সংখ্যক হতাহত রোগীর সম্মুখীন হইনি। জটিলভাবে আহত হওয়া এসব রোগীদের চিকিৎসা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর জন্যও উদ্বেগের বিষয় ছিল। ‘

অবরোধ ও কারফিউ চলাকালীন রোগীদের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রমের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সব স্তরের চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেলের শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীগণ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন সংকটকালীন এই মহান সেবায়। ‘

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশিরভাগ মারাত্বক আঘাত বা ক্ষতের প্রধান কারণ ছিল গুলি। যদিও শুরুর দিকে আন্দোলন দমাতে পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করেছিল। পরবর্তীতে বুলেট ব্যবহার করা হয়। আনুমানিক ৪ থেকে ৫শ মানুষ মারা গেলেও আহতের সংখ্যা অগুণতি।