শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

প্রায় কোটি টাকাসহ শিক্ষার্থীদের হাতে আটক তিন ব্যক্তি

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৮০ বার পড়া হয়েছে

ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ তিন যুবককে আটক করেছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেপ্রতাপ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

টাকার উৎসের ব্যাপারে সদুত্তর দিতে না পারায়, উৎস ও মালিক নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত টাকাগুলো জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্ট মো. জাহিদুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটক তিন ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার হরিয়ালা এলাকার আবু মিয়ার ছেলে মো. মনির হোসেন (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জুরু মিয়ার ছেলে রাসেল আহম্মেদ (৩২) ও আশুগঞ্জের দুর্গাপুর এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে প্রাইভেট কারচালক জুলহাস মিয়া (৩২)।

শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো স্কুলপড়ুয়া একদল শিক্ষার্থী সাহেপ্রতাপ মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাদের পাশে ছিলেন আনসার-ভিডিপির সদস্যরাও। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির চালক ও দুই যাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে তাঁরা গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে টাকাভর্তি দুটি ব্যাগ পান। এরপর পাশে থাকা আনসার সদস্যদের ডেকে আনেন শিক্ষার্থীরা। প্রাইভেট কারের যাত্রীদের কাছে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হলে একদল সেনাসদস্য গিয়ে টাকা, গাড়িসহ তিনজনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যান। কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব সারার অভির উপস্থিতিতে টাকা গণনা করা হয়। গণনা শেষে সেখানে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে টাকার উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এনডিসি শিহাব সারার অভি বলেন, শিক্ষার্থীরা ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ তিনজনকে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে আটক করেন। উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত টাকাগুলো জেলা ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। আটক তিনজনের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রায় কোটি টাকাসহ শিক্ষার্থীদের হাতে আটক তিন ব্যক্তি

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪

ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ তিন যুবককে আটক করেছেন। শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেপ্রতাপ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

টাকার উৎসের ব্যাপারে সদুত্তর দিতে না পারায়, উৎস ও মালিক নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত টাকাগুলো জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্ট মো. জাহিদুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটক তিন ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার হরিয়ালা এলাকার আবু মিয়ার ছেলে মো. মনির হোসেন (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জুরু মিয়ার ছেলে রাসেল আহম্মেদ (৩২) ও আশুগঞ্জের দুর্গাপুর এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে প্রাইভেট কারচালক জুলহাস মিয়া (৩২)।

শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো স্কুলপড়ুয়া একদল শিক্ষার্থী সাহেপ্রতাপ মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাদের পাশে ছিলেন আনসার-ভিডিপির সদস্যরাও। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির চালক ও দুই যাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে তাঁরা গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে টাকাভর্তি দুটি ব্যাগ পান। এরপর পাশে থাকা আনসার সদস্যদের ডেকে আনেন শিক্ষার্থীরা। প্রাইভেট কারের যাত্রীদের কাছে টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হলে একদল সেনাসদস্য গিয়ে টাকা, গাড়িসহ তিনজনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যান। কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব সারার অভির উপস্থিতিতে টাকা গণনা করা হয়। গণনা শেষে সেখানে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে টাকার উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এনডিসি শিহাব সারার অভি বলেন, শিক্ষার্থীরা ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ তিনজনকে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে আটক করেন। উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত টাকাগুলো জেলা ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। আটক তিনজনের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।