শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ড্রেনেজ ও সড়ক ব্যবস্থার বেহাল দশা: জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ চরমে Logo ১৬ জুলাই থেকে শহিদদের নামে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ স্থাপন শুরু Logo ১৬ জুলাই:নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভের বিস্ফোরণ, গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাবিত হয় আন্দোলন Logo মিটফোর্ডে ব্যাবসায়ী হ’ত্যার প্রতিবাদে ঝিনাইদহে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন মানববন্ধন সুসম্পন্ন Logo সাতক্ষীরায় সাবেক সচিব ও ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ঘের দখলের অভিযোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের বদলি Logo সিরাজদিখানে ঢাবির নবীন শিক্ষার্থীদের ঝিকুটের সংবর্ধনা ২৫ জুলাই Logo আজকের নামাজের সময়সূচি Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনা করতে চায় সরকার Logo চাঁদপুর পৌরসভার ১২৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

লাগেজ ভর্তি টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন লোটাস কামাল!

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর থেকে নিজেকে কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের ‘একমাত্র অভিভাবক’ বলে দাবি করতেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল। এ জন্য নিজের নির্বাচনী এলাকার কোনো মানুষ অন্য দলের রাজনীতি করুক, সেটা তিনি চাইতেন না। সবাইকে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে আসার আহ্বান জানাতেন তিনি। তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের যেসব নেতা স্বেচ্ছায় আওয়ামী লীগের যোগ দিয়েছিলেন, দলে বড় পদ ও জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসিয়ে তাদের ‘পুরস্কৃত’ করেছিলেন তিনি।

আর যারা তার আহ্বানে সাড়া দেননি, তাদের দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে এলাকা ছাড়া করা ছিল তার নিত্যদিনের কাজ। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের সাবেক এই অর্থমন্ত্রী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও কেড়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে এসব বিষয় নিয়ে ভয়ে মুখ খুলেননি কেউ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লোটাস কামালের দাপট ছিল সব মহলে।

সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে শিক্ষকদেরও তার রোষানলে পড়তে হয়েছে। তার কথা না শোনায় অনেককে বাড়ি ও কর্মস্থল থেকে তুলে নিয়ে প্রলোভন ও হুমকি দিতেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের ভাষ্য- লোটাস কামাল অন্য দলের নেতাকর্মীদের নিজ দলে ভেড়াতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করতেন। এছাড়া রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ ও লুটপাট করতে গড়ে তুলে ছিলেন সিন্ডিকেট। যার নেপথ্যে ছিল তার দুই ভাই, ভাইজা ও পিএস।

২০১১ সালে শেয়ারবাজার লুটে স্ত্রী ও মেয়েদের কাজে লাগান সাবেক এই অর্থমন্ত্রী। দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। তবে লোটাস কামাল নিজের নামে অর্থসম্পদ বেশি রাখেননি। স্ত্রী ও মেয়েদের নামে হস্তান্তর করেছেন।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই দিন রাত ১২টায় নিজের মেয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপারসন নাফিসা কামালকে নিয়ে লাগেজ ভর্তি টাকা নিয়ে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে গেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। তাদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

জানা গেছে, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের মৃত্যুর পর তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করে ১৯৯৪ সালে সাবেক কুমিল্লা-৯ আসনের আওয়ামী রাজনীতির হাল ধরেন ব্যবসায়ী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ১৯৯৬ সালে নৌকার টিকিটে এই আসন থেকে তিনি বিপুল টাকা খরচ করে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ড্রেনেজ ও সড়ক ব্যবস্থার বেহাল দশা: জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ চরমে

লাগেজ ভর্তি টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়েছেন লোটাস কামাল!

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪

মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর থেকে নিজেকে কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের ‘একমাত্র অভিভাবক’ বলে দাবি করতেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল। এ জন্য নিজের নির্বাচনী এলাকার কোনো মানুষ অন্য দলের রাজনীতি করুক, সেটা তিনি চাইতেন না। সবাইকে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে আসার আহ্বান জানাতেন তিনি। তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের যেসব নেতা স্বেচ্ছায় আওয়ামী লীগের যোগ দিয়েছিলেন, দলে বড় পদ ও জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসিয়ে তাদের ‘পুরস্কৃত’ করেছিলেন তিনি।

আর যারা তার আহ্বানে সাড়া দেননি, তাদের দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে এলাকা ছাড়া করা ছিল তার নিত্যদিনের কাজ। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের সাবেক এই অর্থমন্ত্রী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও কেড়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে এসব বিষয় নিয়ে ভয়ে মুখ খুলেননি কেউ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লোটাস কামালের দাপট ছিল সব মহলে।

সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে শিক্ষকদেরও তার রোষানলে পড়তে হয়েছে। তার কথা না শোনায় অনেককে বাড়ি ও কর্মস্থল থেকে তুলে নিয়ে প্রলোভন ও হুমকি দিতেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের ভাষ্য- লোটাস কামাল অন্য দলের নেতাকর্মীদের নিজ দলে ভেড়াতে গিয়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করতেন। এছাড়া রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ ও লুটপাট করতে গড়ে তুলে ছিলেন সিন্ডিকেট। যার নেপথ্যে ছিল তার দুই ভাই, ভাইজা ও পিএস।

২০১১ সালে শেয়ারবাজার লুটে স্ত্রী ও মেয়েদের কাজে লাগান সাবেক এই অর্থমন্ত্রী। দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। তবে লোটাস কামাল নিজের নামে অর্থসম্পদ বেশি রাখেননি। স্ত্রী ও মেয়েদের নামে হস্তান্তর করেছেন।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই দিন রাত ১২টায় নিজের মেয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপারসন নাফিসা কামালকে নিয়ে লাগেজ ভর্তি টাকা নিয়ে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে গেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। তাদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

জানা গেছে, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের মৃত্যুর পর তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করে ১৯৯৪ সালে সাবেক কুমিল্লা-৯ আসনের আওয়ামী রাজনীতির হাল ধরেন ব্যবসায়ী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ১৯৯৬ সালে নৌকার টিকিটে এই আসন থেকে তিনি বিপুল টাকা খরচ করে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন।