শিরোনাম :
Logo আজকের নামাজের সময়সূচি Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার আলোচনা করতে চায় সরকার Logo চাঁদপুর পৌরসভার ১২৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা Logo জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা সমঝোতার চেষ্টা শাখা ছাত্রদলের, দফায় দফায় বৈঠক Logo তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নিন্দা Logo যুব সমাজের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ না থাকায় আজ যুব সমাজ অধপতনে নিমর্জিত ……..কে. এম ইয়াসিন রাশেদসানী Logo কচুয়ার কাদলা ইউনিয়ন যুবদলের আলোচনা সভা ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ‘পঞ্চায়েত’ আমার জীবন বদলে দিয়েছে Logo ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব উপকূলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প Logo সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা হালকা থেকে মাঝারি

মা হওয়ার পথে বাধা রাতের ডিউটি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১ মার্চ ২০১৭
  • ৭৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

যাদের ভারী ওজন তুলতে হয় এবং নাইট শিফটে কাজ করতে হয় ঘন ঘন, তাদের মধ্যে বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বেশি। একই রকম ভাবে কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজের নার্সদের উপরে হওয়া প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষাতেও দেখা গেছে, যাদের রাতের শিফটে বেশি কাজ করতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে অবসাদ, খিটখিটে মেজাজ, পারিবারিক সম্পর্কে অবনতির ঘটনা তুলনায় বেশি ঘটে।

সম্প্রতি আমেরিকার একটি মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যারা রোটেশনে নাইট ডিউটি করেন কিংবা ভারী ওজন বহনের কাজ করেন, তাদের ডিম্বাণু যথেষ্ট দুর্বল। তাই তাদের একটা বড় অংশই বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভোগেন।

চিকিৎসকদের একাংশ আবার জানাচ্ছেন, কোনও নারী যদি এমন চাকরি করেন, যেখানে তাকে সব সময়ই নাউট ডিউটি করতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা খুব বেশি হয় না। কারণ তার শরীর একটা নির্দিষ্ট রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে যায়। সমস্যাটা দেখা যায় সেই সব মহিলার ক্ষেত্রে, যাদের মাসে কয়েক দিন বা সপ্তাহে কয়েক দিন নাইট ডিউটি থাকে ও কিছু দিন ডে ডিউটি থাকে। এই ঘন ঘন ঘুমের সময় পরিবর্তনেই ‘বডি ক্লক’ সম্পূর্ণ ঘেঁটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজের উপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লাইফ সায়েন্সে’ বিভাগের প্রধান দেবাশিস সেনের ব্যাখ্যা, ‘‘শিফটের ঘন ঘন পরিবর্তনে শরীরের হরমোন চক্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়। হরমোন চক্র ব্যাহত হলে ডিম্বাণু পরিপক্ক হতেই পারে না অনেক সময়।

কর্মক্ষেত্রে ওজন তোলা যাদের কাজ, তাদের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট নিয়ম না মানলে শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থির উপরে অত্যাধিক চাপ পড়ে। তাতেও হরমোনচক্র ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় বলে জানিয়েছেন দেবাশিসবাবু। তার মতে, নারী-পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই এমনটা হতে পারে।

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘মস্তিষ্কে পেনিয়াল গ্ল্যান্ড থাকে। সেটি নিয়ন্ত্রিত হয় দিন ও রাত পরিবর্তনের মাধ্যমে। এটি দিনের বেলা কাজ করে এবং রাতে কাজ করে না। ফলে রাতে এমনিতেই শরীরের সব রকম কাজকর্ম, হার্টরেট, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার কমে যায়। তখন যদি জোর করে জেগে কাজ করা হয়, তখনই শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয়। নারীদের উৎপাদন ক্ষমতার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সূচি

মা হওয়ার পথে বাধা রাতের ডিউটি !

আপডেট সময় : ০৬:৫০:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

যাদের ভারী ওজন তুলতে হয় এবং নাইট শিফটে কাজ করতে হয় ঘন ঘন, তাদের মধ্যে বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বেশি। একই রকম ভাবে কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজের নার্সদের উপরে হওয়া প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষাতেও দেখা গেছে, যাদের রাতের শিফটে বেশি কাজ করতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে অবসাদ, খিটখিটে মেজাজ, পারিবারিক সম্পর্কে অবনতির ঘটনা তুলনায় বেশি ঘটে।

সম্প্রতি আমেরিকার একটি মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যারা রোটেশনে নাইট ডিউটি করেন কিংবা ভারী ওজন বহনের কাজ করেন, তাদের ডিম্বাণু যথেষ্ট দুর্বল। তাই তাদের একটা বড় অংশই বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভোগেন।

চিকিৎসকদের একাংশ আবার জানাচ্ছেন, কোনও নারী যদি এমন চাকরি করেন, যেখানে তাকে সব সময়ই নাউট ডিউটি করতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা খুব বেশি হয় না। কারণ তার শরীর একটা নির্দিষ্ট রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে যায়। সমস্যাটা দেখা যায় সেই সব মহিলার ক্ষেত্রে, যাদের মাসে কয়েক দিন বা সপ্তাহে কয়েক দিন নাইট ডিউটি থাকে ও কিছু দিন ডে ডিউটি থাকে। এই ঘন ঘন ঘুমের সময় পরিবর্তনেই ‘বডি ক্লক’ সম্পূর্ণ ঘেঁটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজের উপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লাইফ সায়েন্সে’ বিভাগের প্রধান দেবাশিস সেনের ব্যাখ্যা, ‘‘শিফটের ঘন ঘন পরিবর্তনে শরীরের হরমোন চক্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়। হরমোন চক্র ব্যাহত হলে ডিম্বাণু পরিপক্ক হতেই পারে না অনেক সময়।

কর্মক্ষেত্রে ওজন তোলা যাদের কাজ, তাদের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট নিয়ম না মানলে শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থির উপরে অত্যাধিক চাপ পড়ে। তাতেও হরমোনচক্র ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় বলে জানিয়েছেন দেবাশিসবাবু। তার মতে, নারী-পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই এমনটা হতে পারে।

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘মস্তিষ্কে পেনিয়াল গ্ল্যান্ড থাকে। সেটি নিয়ন্ত্রিত হয় দিন ও রাত পরিবর্তনের মাধ্যমে। এটি দিনের বেলা কাজ করে এবং রাতে কাজ করে না। ফলে রাতে এমনিতেই শরীরের সব রকম কাজকর্ম, হার্টরেট, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার কমে যায়। তখন যদি জোর করে জেগে কাজ করা হয়, তখনই শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয়। নারীদের উৎপাদন ক্ষমতার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।