আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ
ইসরায়েলের বর্বর সামরিক বাহিনীর হামলায় হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার হাজ আবু নামেহ শহীদ হওয়ার পর হিজবুল্লাহ অধিকৃত গোলান মালভূমির ইসরায়েলি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে অন্তত ২০০ রকেট নিক্ষেপ করে। এর পাশাপাশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা বিস্ফোরক ভর্তি ২০টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়।
ইসরায়েল গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিহত সেনার নাম মেজর ইটাই গালেয়া। সে ইফতা রিজার্ভ আর্মর্ড ব্রিগেডের ডেপুটি কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল।
টাইম অফ ইসরায়েল বলছে, হিজবুল্লাহর রকেটের সরাসরি আঘাতে এই মেজর মারা যায়।
ইসরায়লি গণমাধ্যম আরো বলছে, গত নয় মাসের মধ্যে গতকালই হিজবুল্লাহ সবচেয়ে বড় ধরনের রকেট অভিযান চালিয়েছে। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বহু জায়গায় ব্যাপকভাবে আগুন ধরে যায়।
মূলত দক্ষিণ-পশ্চিম লেবাননের টায়ার শহরে সিনিয়র সামরিক নেতা মোহাম্মদ নামেহ নাসেরের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্ভাব্য পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে ইতাই গালিয়াকে উত্তর ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি গাজা উপত্যকায় আগ্রাসনে অংশ নিয়েছিলেন।
টানা প্রায় ৯ মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। আর এই আগ্রাসনের শুরু থেকেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। মূলত গাজায় যুদ্ধের জেরে লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত জুড়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে গুলি বিনিময় করছে হিজবুল্লাহ।
সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা তার মিত্র হামাসকে সমর্থন করতে এবং লেবাননে আক্রমণ চালানো থেকে ইসরায়েলকে নিবৃত্ত করতে ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করছে।
লেবাননে গত আট মাসে আন্তঃসীমান্ত সহিংসতায় ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, লেবানন থেকে চালানো হামলায় সীমান্তে ১৮ সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। পাল্টাপাল্টি এই হামলায় উভয় পক্ষের কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


















































