বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo চাঁদপুর ভূঁইয়ার ঘাট ডিঙ্গি মাঝি সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে সাগর পথে মানব পাচারকালে দুই দালালসহ ৭ জন ভিকটিম উদ্ধার Logo দেশকে এগিয়ে নেয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান Logo রাশিয়াকে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই কিয়েভের : জেলেনস্কি Logo তফসিল ঘোষণার পর বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান Logo চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা আবদুস সামাদ মিয়ার ইন্তেকাল—সহকর্মীদের মাঝে গভীর শোক Logo পলাশবাড়ীতে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo সুন্দরবন কয়রায় কোস্ট গার্ডের দুটি অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, জিম্মি জেলে মুক্ত ও হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক Logo খুবিতে নতুন উদ্যোক্তাদের দিনব্যাপী ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং অনুষ্ঠিত

সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় মালিতে নিহত ৪০

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বহু বছর ধরে সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে। আফ্রিকার এই দেশটির মধ্যাঞ্চলে বুধবার (৩ জুলাই) এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিদ্রোহে জর্জরিত মধ্য মালির একটি গ্রামে অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার মোপ্তি অঞ্চলের ডিজিগুইবোম্বো গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত মালির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি অঞ্চলের মধ্যে এই এলাকাটিও রয়েছে যেখানে আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় রয়েছে।

ব্যাঙ্কাসের মেয়র মৌলেয়ে গুইন্দো বলেছেন, সশস্ত্র লোকেরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে এবং লোকজনকে গুলি করতে শুরু করে। অত্যন্ত গুরুতর আক্রমণ হয়েছে। যদিও তিনি মৃতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলতে সক্ষম হননি, তবে দুই স্থানীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এটি ছিল গণহত্যা, হামলার আগে সন্ত্রাসীরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে, সেখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল… হামলার ঘটনায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, কিছু লোক পালিয়ে যেতেও সক্ষম হয়, কিন্তু অনেককে হত্যা করা হয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই পুরুষ। ’

এ বিষয়ে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। মালির কর্মকর্তারা অবশ্য হামলাকারীদের শনাক্ত করেননি এবং কোনো গোষ্ঠী এখনও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

এদিকে প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারেও এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতা বাড়তে থাকায় মালিতে ২০২০ ও ২০২১ সালে পরপর দুটি অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এছাড়া এই নিরাপত্তাহীনতাই বুরকিনা ফাসোতে এবং নাইজারেও অভ্যুত্থান ঘটাতে সাহায্য করেছে।

উল্লেখ্য, আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ দেশ মালি খুবই দরিদ্র। এছাড়া সাহেল অঞ্চলজুড়ে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যে সংঘাত চলছে মালি তার উপকেন্দ্র। দেশটিতে বছরের পর বছর ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে হাজার হাজার সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্ত্যুচুত হয়েছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলায় মালিতে নিহত ৪০

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বহু বছর ধরে সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে। আফ্রিকার এই দেশটির মধ্যাঞ্চলে বুধবার (৩ জুলাই) এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিদ্রোহে জর্জরিত মধ্য মালির একটি গ্রামে অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দেশটির স্থানীয় কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার মোপ্তি অঞ্চলের ডিজিগুইবোম্বো গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত মালির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি অঞ্চলের মধ্যে এই এলাকাটিও রয়েছে যেখানে আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে যুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয় রয়েছে।

ব্যাঙ্কাসের মেয়র মৌলেয়ে গুইন্দো বলেছেন, সশস্ত্র লোকেরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে এবং লোকজনকে গুলি করতে শুরু করে। অত্যন্ত গুরুতর আক্রমণ হয়েছে। যদিও তিনি মৃতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলতে সক্ষম হননি, তবে দুই স্থানীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন।

একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এটি ছিল গণহত্যা, হামলার আগে সন্ত্রাসীরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে, সেখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল… হামলার ঘটনায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, কিছু লোক পালিয়ে যেতেও সক্ষম হয়, কিন্তু অনেককে হত্যা করা হয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই পুরুষ। ’

এ বিষয়ে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। মালির কর্মকর্তারা অবশ্য হামলাকারীদের শনাক্ত করেননি এবং কোনো গোষ্ঠী এখনও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

এদিকে প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারেও এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতা বাড়তে থাকায় মালিতে ২০২০ ও ২০২১ সালে পরপর দুটি অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এছাড়া এই নিরাপত্তাহীনতাই বুরকিনা ফাসোতে এবং নাইজারেও অভ্যুত্থান ঘটাতে সাহায্য করেছে।

উল্লেখ্য, আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ দেশ মালি খুবই দরিদ্র। এছাড়া সাহেল অঞ্চলজুড়ে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যে সংঘাত চলছে মালি তার উপকেন্দ্র। দেশটিতে বছরের পর বছর ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে হাজার হাজার সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্ত্যুচুত হয়েছেন।