রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরে প্যারিস রোডে শেখ ফজলুল হক মনি খেলার মাঠ থেকে দেশব্যাপী টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করে তিনি এ পরিকল্পনার কথা বলেন বলে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তবে এই পরিকল্পনার বিস্তারিত অর্থাৎ ফলে কবে থেকে কোন প্রক্রিয়ায় বিক্রি করা হবে, সেটি জানানো হয়নি।
যোগাযোগ করা হলে টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ুন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কবে এবং কীভাবে দেওয়া হবে, মধ্যবিত্তদেরও কার্ডভুক্ত করা হবে কি না, সে বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয় কিছু বলেননি।”
তবে স্বল্প আয়ের মানুষদের মত ভর্তুকি মূল্যে নয়, চাল, ডাল, তেলের মতো কিছু নিত্যপণ্য ‘ন্যায্যমূল্যে’ বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
এক প্রশ্নে ন্যায্যমূল্যের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “বাজারে হুট করে মাঝেমধ্যে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে যায়। আমরা সরকার কর্তৃক ঘোষিত দামে পণ্য বিক্রি করব।”
ফ্যামিলি কার্ডের মতোই মধ্যবিত্তদের জন্য আলাদা কোনো কার্ড হবে কি না, তাদের কাছেও ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হবে কি না- এসব প্রশ্নের কোনো জবাব এই কর্মকর্তা দিতে পারেননি।
টিসিবি সারা দেশে সারাদেশের এক কোটি ‘ফ্যামিলি কার্ডধারী’ নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করে।
জুন মাসে পরিবারগুলো চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেল কিনতে পারবে। একজন কার্ডধারী ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন।
প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা ও চাল ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। আর প্রতি প্যাকেজের মূল্য পড়ছে ৫৪০ টাকা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এক কোটি পরিবার যখন এখান থেকে এসব পণ্য পায় তখন বাজারে চিনি, চাল, ডালসহ এসব পণ্যের উপর চাপ কমে যায়।”
কর্মযজ্ঞটা ‘অনেক বড়’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ঈদের আগে যেন মানুষের হাতে টিসিবির পণ্য পৌঁছে যায়, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব সেলিম উদ্দিন, টিসিবির চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল ইকবালও উপস্থিত ছিলেন।
সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী সারাদেশে ডিলাররা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে। নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন কার্ডধারীরা।