নিউজ ডেস্ক:
ভারতের টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি মাঠে তার আগ্রাসী ব্যবহারের জন্য বরাবরই বিতর্কিত। কিন্তু এবার তার নামের পাশে জড়িয়ে গেল অন্যরকম এক বিতর্ক। অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জুড়ে গেল তার নাম। তবে যে ক্ষেত্র থেকে এই অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে তা কিন্তু রীতিমত চমকে দেওয়ার মতো।
বন্যার্তদের জন্য রাখা হয়েছিল অর্থ। আর সেই অর্থ থেকেই বিরাট কোহলিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪৭,১৯,০০০ টাকা। আরটিআই-এর মাধ্যমে এই তথ্য সামনে এসেছে। আর এই তথ্য জানাজানি হতেই উত্তরাখণ্ডের কংগ্রেস-মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তবে যে ব্যক্তি আরটিআই করে এই তথ্য সামনে এনেছেন, তিনি নিজেও একজন বিজেপি কর্মী। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।
আরটিআই-এর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য হতে জানা যায়, উত্তরাখণ্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ৬০ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন বিরাট। ২০১৫ সালের জুন মাসে তাকে এর জন্য এই অর্থ দেওয়া হয়। কিন্তু যেখান থেকে বিরাট কোহলিকে এই অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা আসলে ২০১৩ সালে কেদারনাথে ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দুর্গতদের তৈরি একটি ত্রাণ তহবিল ছিল।
বিরাটের এজেন্ট তথা কর্নারস্টোন স্পোর্ট অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা সিইও বান্টি সাজদেহ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং তার পাল্টা দাবি এই বিজ্ঞাপনের জন্য বিরাট কোনও অর্থই নেননি।
এদিকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের মিডিয়া উপদেষ্টা সুরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ‘পর্যটন উত্তরাখণ্ডের মেরুদণ্ড। সুতরাং, সেই স্বার্থে যদি বিরাটকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করানো হয়ে থাকে, তাতে খারাপটা কী?