কিয়েভ তাদের তুলনামূলক কম সৈন্য নিয়ে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শিল্প শহরে লড়াই করছে বলে ঘোষণার পর রাশিয়া দাবী করছে যে, তার বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের সেভেরোদোনেটস্কের আবাসিক এলাকাগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
লুগানস্ক অঞ্চলের এই শিল্প শহর দখলে সপ্তাহব্যাপী তীব্র লড়াই চলছে। বেসামরিক লোকরা পালিয়ে গেছে এবং প্রায় ৮০০ উদ্বাস্তু একটি একটি রাসায়নিক কারখানায় আশ্রয় নিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, ‘সেভেরোদোনেটস্ক শহরের আবাসিক এলাকাগুলো সম্পূর্ণ মুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ান সেনাবাহিনী এখনও শহরের শিল্প অঞ্চল এবং নিকটতম বসতিগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাবে বিশ্বব্যাংক তার বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির অনুমিত হার কমিয়ে ২.৯ শতাংশ করেছে, যা গত জানুয়ারির পূর্বাভাসের চেয়ে ১.২ শতাংশ পয়েন্ট কম।
ব্যাংক বলেছে, দুর্বল প্রবৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান উচ্চমূল্যের নেতিবাচক প্রভাবে কয়েক ডজন দরিদ্র দেশ ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে পারে। এ সব দেশ এখনো কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম করছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিন্ম ও মধ্যম আয়ের অর্থনীতির জন্য সম্ভাব্য অস্থিতিশীল পরিণতির সাথে স্থবিরতার যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক দেশের জন্য মন্দা এড়ানো কঠিন হবে।’
ইউক্রেনের জন্য সহায়তা পরিকল্পনায় মোট ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের অধিক প্যাকেজে বিশ্বব্যাংক ১.৫ বিলিয়ন ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের সতর্কতা ঘোষণার মধ্যে রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইউক্রেন থেকে খাদ্য শস্য সরবারাহে ‘নিরাপত্তা করিডোর’ নিয়ে আলোচনার জন্য তুরস্কে পৌঁছেছেন।
রাশিয়ান নৌবাহিনীর অবরোধের কারণে বিশ্বের অন্যতম খাদ্য রপ্তানিকারক ইউক্রেনের গম এবং অন্যান্য পণ্য জাহাজীকরণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাদ্যশস্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের কাছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য আটকা পড়ে আছে। শরৎকালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭০ থেকে ৭৫ মিলিয়ন টন।’
জাতিসংঘের অনুরোধে তুরস্ক তাদের উপকূলসহ সমুদ্রে মাইন থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনীয় শস্যবহনকারী জাহাজগুলো এসকর্ট করে শস্য সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে।