নিউজ ডেস্ক:
সৌদি আরব বুধবার বলেছে, ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর না করবে ততদিন তারা ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের নীতি অনুসরণ করবে না।
ইউএই গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রথম উপসাগরীয় দেশ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এই ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এতে ধারণা করা হয়েছিল সৌদি আরবসহ অন্যান্য আরব দেশগুলো একই পথ অনুসরণ করবে।
কয়েকদিনের সন্দেহজনক নিরবতা এবং অনুরূপ চুক্তি সম্পাদনে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ মোকাবেলা করার পরে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ফিলিস্তিন ইস্যুর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ইউএই’র মতো চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি নাকোচ করে দেন।
বার্লিন সফরকালে প্রিন্স ফয়সাল সাংবাদিকদের বলেন, যে কোন সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে “ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে অবশ্যই শান্তি স্থাপন করতে হবে।”
এই ইস্যুতে সৌদি আরবের পুর্ববর্তী অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, “এটা হলে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব।”
ইসরাইলের সঙ্গে ইউএই’র চুক্তির পরে সৌদি সরকারের তরফে এটিই প্রথম প্রতিক্রিয়া। এর আগে মিশর ও জর্ডান ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাইকো মাশের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ফয়সাল ইসরাইলের “একতরফা নীতির” সমালোচনা করে বলেন,অধিকৃত পশ্চিম তীওে সম্প্রসারণ ও বসতি স্থাপন “অবৈধ” এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য “ক্ষতিকারক”।