বুধবার | ৫ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল

ঝিনাইদহ জেলায় লকডাউন নেই দেশের একমাত্র গ্রিন জোন ‘ঝিনাইদহ’

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৭:৪২:৩৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ জুন ২০২০
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দেশের একমাত্র জেলা হিসেবে ঝিনাইদহকে গ্রিন জোন ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইেট এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে কেবলমাত্র ঝিনাইদহ জেলায় লকডাউন নেই। ইতিপূর্বে কখনোই জেলা বা জেলার কোনো উপজেলা লকডাউন ছিল না। ঝিনাইদহ জেলায় ৬টি উপজেলা রয়েছে। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। এদিকে, জেলায় গতকাল রোববার নতুন করে একজন শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫ জন। তবে তাদের সবার রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। জেলায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ২৫০ জনের মতো।
ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা সেলের মুখপাত্র ডা. প্রসেঞ্জিৎ বিশ্বাস জানান, যেহেতু ইতিপূর্বে ঝিনাইদহ লকডাউন ছিল না এবং সুস্থতার হার বেশি।

এসব বিবেচনায় নতুন করে একমাত্র জেলা হিসেবে ঝিনাইদহকে লকডাউন মুক্ত রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ। দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকেই তৎপর ছিল ঝিনাইদহের প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব রোধে কঠোরভাবে মাঠে ছিল জেলা প্রশাসনের ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত, সামাজিক দূরত্ব রোধে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করা হয়েছে জরিমানা।

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার ঝিনাইদহে বসান চেকপোস্ট। যদিও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদের আগে অনেক লোক ঝিনাইদহে চলে এসেছে। তাদের চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা, অসহায়দের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দেওয়া ও করোনা আক্রান্ত রোগীদের সার্বিক খোঁজ রেখে মানসিকভাবে তাজা রাখতে সর্বদা মাঠে ছিলেন ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিণ্টু।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানিয়েছেন, ‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছি মানুষকে ঘরে রাখতে। এই জন্য জেলায় ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি সব সময়। কিন্তু তারপরেও জেলাতে ৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ জন সুস্থ হয়েছে এখন পর্যন্ত। আমরা এখনও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সকালে চকরিয়ার সড়কে ৫জনের মৃত্যু

ঝিনাইদহ জেলায় লকডাউন নেই দেশের একমাত্র গ্রিন জোন ‘ঝিনাইদহ’

আপডেট সময় : ০৭:৪২:৩৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ জুন ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

দেশের একমাত্র জেলা হিসেবে ঝিনাইদহকে গ্রিন জোন ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইেট এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে কেবলমাত্র ঝিনাইদহ জেলায় লকডাউন নেই। ইতিপূর্বে কখনোই জেলা বা জেলার কোনো উপজেলা লকডাউন ছিল না। ঝিনাইদহ জেলায় ৬টি উপজেলা রয়েছে। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। এদিকে, জেলায় গতকাল রোববার নতুন করে একজন শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫ জন। তবে তাদের সবার রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। জেলায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ২৫০ জনের মতো।
ঝিনাইদহ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা সেলের মুখপাত্র ডা. প্রসেঞ্জিৎ বিশ্বাস জানান, যেহেতু ইতিপূর্বে ঝিনাইদহ লকডাউন ছিল না এবং সুস্থতার হার বেশি।

এসব বিবেচনায় নতুন করে একমাত্র জেলা হিসেবে ঝিনাইদহকে লকডাউন মুক্ত রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ। দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকেই তৎপর ছিল ঝিনাইদহের প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব রোধে কঠোরভাবে মাঠে ছিল জেলা প্রশাসনের ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত, সামাজিক দূরত্ব রোধে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করা হয়েছে জরিমানা।

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার ঝিনাইদহে বসান চেকপোস্ট। যদিও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদের আগে অনেক লোক ঝিনাইদহে চলে এসেছে। তাদের চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা, অসহায়দের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দেওয়া ও করোনা আক্রান্ত রোগীদের সার্বিক খোঁজ রেখে মানসিকভাবে তাজা রাখতে সর্বদা মাঠে ছিলেন ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিণ্টু।
জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানিয়েছেন, ‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছি মানুষকে ঘরে রাখতে। এই জন্য জেলায় ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি সব সময়। কিন্তু তারপরেও জেলাতে ৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ জন সুস্থ হয়েছে এখন পর্যন্ত। আমরা এখনও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।