নিউজ ডেস্ক:
চিরচেনা ন্যু ক্যাম্পে প্রথমার্ধের পুরোটা সময় গোলের জন্য হাহাকার করেছে বার্সেলোনা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কাতালান ক্লাবটির সমর্থকদের উচ্ছ্বাস উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তার একক নৈপুণ্যে এস্পানিওলকে হারিয়েছে বার্সা।
গত ডিসেম্বরে এস্পানিওলের মাঠে ৪-০ ব্যবধানে জিতেছিল বার্সেলোনা। এবার ঘরের মাঠেও জয় ধরে রাখল তারা। মেসির জোড়া গোলে এস্পানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ব্লুগ্রেনারা।
রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন লিওনেল মেসি। আন্তর্জাতিক বিরতির পর ফিরে এসে করলেন জোড়া গোল। এনিয়ে লিগে তিন ম্যাচে ৬ গোল করলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
কুঁচকির চোটে মরক্কোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দেননি মেসি। বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে আশ্বাস দিলেও এস্পানিওলের বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। মেসি খেললেন, একাদশেই। আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজলেও বার্সার হয়ে তাকে দেখা গেল চিরচেনা রূপেই।
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে বার্সা। ম্যাচের ২১ মিনিটে ইভান রাকিতিচের শট পোস্ট ঘেঁষে চলে চায়। এর আট মিনিট পর মেসির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে থামিয়ে দেন সফরকারী দলের গোলরক্ষক।
বিরতির পর অবশেষে ম্যাচের ৭৯ মিনিটে গোলের দেখা পায় বার্সা। ডি বক্সের বাইরে তাকে ফাউল করলেও ফ্রি-কিকটি পান। সেটি কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত এক শটে এগিয়ে যায় বার্সা। এবারের আসরে ফ্রি-কিক থেকে মেসির এটা পঞ্চম গোল। এর ঠিক দশ মিনিট পর প্রতি আক্রমণে দলের ব্যবধান বাড়ান মেসি। ডি-বক্সে ব্রাজিলিয়ান তারকা ম্যালকমের কাছ থেকে পাস পেয়ে বল এস্পানিওলের জালে পাঠান আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
এস্পানিওলের বিপক্ষে এ জয়ের পর ২৯ ম্যাচে ২১ জয় ও ছয় ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬৯। ১৩ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আর ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে এ তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।